আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি তাজুল ফারুক সমর্থকদের সংবাদ সম্মেলনে, দেশের বিরাজমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দলের ভেতরে ঐক্যের আহবান



রাজশাহী সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করা না করা নিয়ে রাজশাহী অঅওয়ামী লীগের দ্ব›দ্ব প্রকাশ্য রুপ নিয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক চৌধুরীর গ্র“প সভাপতি ও সাবেক সাংসদ অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম মোহাম্মদ ফারুককে বহিস্কারের দাবি জানিয়েছিল গত ৮ আগষ্ট নবনির্বাচিত মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের সংবর্ধনা ও বিশেষ প্রতিনিধি সভায়। আজ রোববার বিকেলে সভাপতি তাজুল ফারুক সমর্থিত গ্র“পের পক্ষ থেকে বিশেষ প্রতিনিধি সভাকে অগঠনতান্ত্রিক আখ্যা দিয়ে দেশের বিরাজমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দলের ভেতরে ঐক্যের আহবান জানানো হয়। আজ রোববার জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতির উপশহরস্থ বাসায় জেলার ১০টি থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে তাজুল ফারুক দিনব্যাপী বৈঠক শেষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ আহবান জানান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গোদাগাড়ী থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক সাংসদ অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম মোহাম্মদ ফারুক, সাবেক জিপি জেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুস সামাদ, দূর্গাপুর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, মোহনপুর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. মফিজউদ্দিন কবিরাজ, চারঘাট থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. আনোয়ার হাসেন, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ রায়হানুল হক, পবা থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি ইয়াসিন আলী, পবার নওহাটা পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও নওহাটা পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র আবদুল গফুর, গোদাগাড়ী পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি মনিরুল ইসলাম বাবু, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক, বাগমারা থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুস সোবহান চৌধুরী, তানোর থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ-আল মামুন, বাঘা থানা আওয়ামী লীগ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফারুক আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক, পুঠিয়া থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম ফারুক। সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বাঙালি জাতির মহান নেতা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট স্বপরিবারে হত্যা করা হয়। ২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের জাতীয় নেতৃবৃন্দকে হত্যা প্রচেষ্টা চালিয়ে সাহসী নারী নেত্রী মিসেস আইভী রহমানসহ অন্ত:ত ২২ জনকে হত্যা করে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। ২০০১ সালের কারচুপির নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর জোট ক্যাডাররা পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী সমর্থক ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু-আদিবাসী স¤প্রদায়ের ওপর চালানো হয় হত্যা-নির্যাতন-সন্ত্রাস আর লুটতরাজ। ২২ জানুয়ারির নীলনকশার একতরফা নির্বাচনের প্রচেষ্টা চালাতে গিয়ে বিএনপি-জামায়াত জোটের কারণেই ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারির পট পরিবর্তনের ঘটনা ঘটে।

জেলা আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, চলতি ২০০৮ সালের ৪ আগষ্ট অনুষ্ঠিত রাজশাহী, খুলনা, সিলেট ও বরিশাল সিটি করপোরেশন, নওহাটা পৌরসভাসহ ৯টি পৌরসভার নির্বাচনে আওয়ামী লীগ চারটি সিটি করপোরেশন ও ৮টি পৌর মেয়র পদে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়। জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে চার সিটির মেয়র ও নওহাটা পৌরসভাসহ ৮টি পৌরসভার মেয়রদেরকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। নেতৃবৃন্দ বলেন, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের পর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক চৌধুরী, উনার মামাত ভাই মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাজশাহীর নবনির্বাচিত মেয়র জনাব এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন সাহেবকে ব্যবহার করে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তাজুল ইসলাম মোহাম্মদ ফারুকসহ জেলা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন। এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক চৌধূরী গত ৮ আগষ্ট একক সিদ্ধান্তে জেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ সাধারণ সভা ও নবনির্বাচিত মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ প্রতিনিধি সভা আহবানের জন্য কমিটির সভাপতির অনুমতি নিতে হয়।

কিন্তু সাধারণ সম্পাদক সাহেব তা করেননি। এমনকি সভাপতিকে মোবাইল কিংবা চিঠির মাধ্যমেও জানানো হয়নি। ওই অবৈধ সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে সিটি নির্বাচনে দলীয় মেয়র প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করার অভিযোগ উত্থাপন করানো হয় জেলা আওয়ামী লীগের বাইরের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদেরকে দিয়ে। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন আগষ্ট মাস শোকের মাস। এই মাসে কোন সংবর্ধনা অনুষ্ঠান নৈতিকভাবে আওয়ামী লীগের রীতিবিরুদ্ধ।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আওয়ামী লীগে নতুন কেউ নন। তিনি আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার একজন পরীক্ষিত সৈনিক। তিনি স্কুল জীবনে ঈশ্বরদী থানা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে তার রাজনৈতিক জীবনের সূচনা করেন। এরপর তিনি ধাপে ধাপে তার নিজ জন্মস্থান রাজশাহীর দূর্গাপুরে উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ১৯৯১ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী হিসেবে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে ১৯৭৭ সালে ঘরোয়া রাজনীতি শুরুর সময় থেকে রাজশাহী জেলার বিভিন্ন থানা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সহযোগী অঙ্গ সংগঠনকে সুসংগঠিত করার জন্য অগ্রণী ভূমিকা রাখেন এবং নিরলস পরিশ্রম করেন।

আশির দশকের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানে তার ভূমিকা অগ্রগণ্য। মাগুড়া উ-পনির্বাচনে কারচুপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে তাজুল ইসলাম মোহাম্মদ ফারুক এবং খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হারুন অর রশিদ এই দুইজনের বিরুদ্ধে তৎকালীন বিএনপি সরকার মামলা করেছিল। আপনারা জানেন, তিনিই সর্বপ্রথম সংবাদ সম্মেলন করে জঙ্গি নেতা বাংলা ভাইবিরোধী আন্দোলনের সূচনা করেছিলেন। সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে বিভিন্ন থানা আওয়ামী লীগের ১৫ জন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক লিখিত বক্তব্যে বলেন, পারিবারিক উত্তরাধিকার সূত্রে আওয়ামী লীগ না করলেও তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি কখনও আওয়ামী লীগ ছেড়ে অন্য কোন দলে যোগদান বা আবার দলে ফিরে আসার মত কোন সুবিধাবাদি আচরণও দেখাননি। একারণেই ষড়যন্ত্রকারীরা তাজুল ইসলাম মোহাম্মদ ফারুককে বারবার হত্যা প্রচেষ্টা চালায়।

অপরদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক চৌধুরী ২০০১ সালের ৮ মে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন এবং রাজশাহী-১ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেছিলেন। লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, ২০০৪ সালের ২০ ফেব্র“য়ারি বাঘাতে চক্রান্তকারী নেতাদের ইন্ধনে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি তাজুল ইসলাম মোহাম্মদ ফারুককে (তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক) হত্যার উদ্দেশে সশস্ত্র হামলা চালানো হয়। এতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক আখতার-উজ-জামান, আওয়ামী লীগ নেতা নূরুল ইসলাম ঠান্ডুসহ অন্ত:ত কুড়িজন নেতা লাঞ্ছিত হন। গুরুতর আহত হন তাজুল ইসলাম মোহাম্মদ ফারুক। সেদিনের হামলায় তিনি অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন।

এই ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের ২০০৪ সালের ২১ ফেব্র“য়ারি অনুষ্ঠিত সভায় সর্বসম্মতিক্রমে নেয়া সিদ্ধান্তে জনাব খায়রুজ্জামান লিটনকে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে অব্যাহতিদান এবং জনাব ওমর ফারুক চৌধুরীর প্রাথমিক সদস্য পদ বাতিলের সুপারিশ নেয়া হয়েছিল। ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারি যে জাতীয় নির্বাচন হবার কথা ছিল তার পূর্বে জনাব খায়রুজ্জামান লিটন বিএনপি দলীয় প্রার্থী নাদিম মোস্তফার সঙ্গে যোগসাজশ করে রাজশাহী-৪ পুঠিয়া-দূর্গাপুর আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী তাজুল ইসলাম মোহাম্মদ ফারুকের বিপক্ষে জোরালোভাবে কাজ করেছেন। শুধু তাই নয়, জনাব খায়রুজ্জামান লিটন কেন্দ্রীয় সদস্য হবার সুযোগে গোটা জেলায় আওয়ামী লীগের ভেতরে পরিকল্পিতভাবে গ্র“পিং-দ্ব›দ্ব বাধিয়ে রাখেন। ২০০১ সালের ১২ অক্টোবর পুঠিয়ার ঝলমলিয়াতে বিএনপি দলীয় সাংসদ নাদিম মোস্তফার ক্যাডাররা তাজুল ইসলাম মোহাম্মদ ফারুককে হত্যা প্রচেষ্টা চালায়। সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে রাজশাহীসহ উত্তরাঞ্চলে বাংলা ভাই ওরফে সিদ্দিকুল ইসলাম ও শায়খ আবদুর রহমানের নেতৃত্বে জামাআ’তুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের জঙ্গি তৎপরতা শুরু হয়।

২০০৪ সালে জঙ্গিরা আওয়ামী লীগ ও প্রগতিশীল রাজননৈতিক দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের হত্যা-নির্যাতনের পাশাপাশি ব্যাপক চাঁদাবাজি-লুটতরাজ চালাতে থাকে। ২০০৪ সালের ২৩ মে জঙ্গি হত্যা-নির্যাতনের প্রতিবাদ ও জঙ্গিদের বিচারের দাবি ও সশস্ত্র জঙ্গিদের রাজশাহী অভিযান প্রতিহত করার লক্ষ্যে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ ও ১১ দল রাজশাহীতে অর্ধদিবস হরতাল আহবান করে। কিন্তু মহানগর আওয়ামী লীগ এই হরতালের বিরোধিতা করে। নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০০৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন ও কাউন্সিলের মাধ্যমে জনাব তাজুল ইসলাম মোহাম্মদ ফারুক ও জনাব ওমর ফারুক চৌধুরী যথাক্রমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। নির্বাচনের পর পরই পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়।

কিন্তু সাধারণ সম্পাদক জনাব ওমর ফারুক কমিটিতে তার ব্যক্তিগত লোকদেরকে ঢুকানোর দাবিতে অটল থাকেন। উপজেলাসমূহের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকদের মতামতের ভিত্তিতে কমিটি গঠন করতেও রাজী না হওয়ায় অদ্যবধি জেলা কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা যায়নি। ফলে জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি বলতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং ১০টি থানা ইউনিট কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মিলে মোট ২২ জন সদস্য রয়েছে। গত ৮ আগষ্ট জেলা আওয়ামী লীগের যে বিশেষ প্রতিনিধি সভা হয়েছে সেখানে এই ২২ জনের মধ্যে মাত্র ৬/৭ জন উপস্থিত ছিলেন। এই সভা সম্পর্কে জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক চৌধুরী সাংবাদিকদের কাছে বলেন, ‘সিটি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিরোধিতা করায় নেতা-কর্মীরা তাজুল ইসলাম মোহাম্মদ ফারুকের ওপর বিক্ষুব্ধ।

কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে সভার বিষয়ে এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের সম্মতি থাকা মানেই কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মতি থাকা’। জনাব ফারুক চৌধুরীর এই বক্তব্য আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রবিরোধী। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিগত সময়ে বিএনপি দলীয় প্রার্থীর সাথে যোগসাজশ করে তাকে সংসদ সদস্য নির্বাচনে পরাজিত করানোর ষড়যন্ত্র, বাঘায় তাকে হত্যা প্রচেষ্টা, বর্তমান সরকারের সময়ে তার (তাজুল ফারুকের) ছোট জামাতা রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম আকাশ এর নামে মিথ্যা অভিযোগে মামলা করিয়ে গ্রেফতার ও নির্যাতন করানোর কারণে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি তাজুল ইসলাম মোহাম্মদ ফারুক সিটি নির্বাচনে কারও পক্ষে কিংবা বিপক্ষে মাঠে নামেননি। তারপরও জনাব খায়রুজ্জামান লিটন মোবাইল করে হলেও তাকে একটিবারের জন্যও জনাব লিটনের পক্ষে মাঠে নামার জন্য বলেননি। জনাব তাজুল ফারুকের সঙ্গে জনাব লিটনের একদিন মুখোমুখি সাক্ষাৎ হলেও লিটন মুখ ফিরিয়ে নেন তাজুল ফারুকের দিক থেকে।

এই অবস্থায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক একজন সংসদ সদস্যের পক্ষে জনাব লিটনের জন্য মাঠে না নামা কত বড় অপরাধ? আপনাদের কাছে এই প্রশ্ন রাখলাম। লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়েছে, জনাব তাজুল ইসলাম মোহাম্মদ ফারুক রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কোন প্রার্থীর পক্ষে বা বিপক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ না করলেও তিনি রাজশাহী জেলার নওহাটা পৌরসভার নির্বাচনে নওহাটা পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি মেয়র প্রার্থী জনাব আবদুল গফুরের পক্ষে তার (তাজুল ফারুক) সর্বশক্তি নিয়োগ করেছিলেন। আমরা মনে করি এটিই ছিল জেলা আওয়ামী লীগের সকল নেতার দায়িত্ব। যা শীর্ষ নেতাদের অনেকেই পালন করেননি। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জাতির এই চরম ক্রান্তিলগ্নে আমরা বিভিন্নভাবে নির্যাতিত এই জেলার আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীগণ মনে করি, প্রতিটি শীর্ষস্থানীয় নেতার একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত দেশের জনগণ এবং নিজ নিজ দলের কল্যাণের লক্ষ্যে কাজ করা।

সেইক্ষেত্রে আপনাদের মাধ্যমে আমরা আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে প্রতিটি আওয়ামী লীগ নেতার কাছে আহবান জানাচ্ছি যে, আসুন আমরা সকলে মিলে সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে সত্য কথা বলে জনগণের উন্নয়নের লক্ষ্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শেষ স্বপ্ন এই বাংলাদেশকে সেনার বাংলায় গড়ে তোলার প্রত্যয় নিয়ে দলের মধ্যে সুদৃঢ় ঐক্য গড়ে তুলি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার স্থায়ী জামিন দিয়ে শেখ হাসিনাসহ সকল আওয়ামী লীগ নেতার নামে দায়ের করা সকল মামলা প্রত্যাহার এবং জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন করার দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। সংবাদ সম্মেলনের আগে অনুষ্ঠিত বৈঠকে জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আগামি ১৫ আগষ্ট নওহাটায় দিনব্যাপী জাতীয় শোক দিবস পারণ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.