আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি চাই



জাহাঙ্গীর আলম আকাশ শুধুমাত্র উত্তরাঞ্চলেই প্রায় ২০ লাখ আদিবাসীর বসবাস। এসব আদিবাসীদের সাংবিধানিক কোন স্বীকৃতি নেই। উপরন্তু আছে আদিবাসীদের ওপর হত্যা-নির্যাতন-সন্ত্রাস, নারী লাঞ্ছনা, ভুমিগ্রাস প্রভৃতি। এই অবস্থার পরিবর্তন চাই আমরা। আরও আছে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর শিক্ষা, চিকিৎসাসহ মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়া।

বিশ্ব আদিবাসী দিবসে এই আমাদের প্রত্যাশা। কারণ এই দেশ সবার। কাজেই এখানে সমানাধিকার প্রতিষ্ঠাই আমাদের সবার কামনা হওয়া উচিত। ‘আদিবাসীরা প্রতিনিয়ত তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত। ভূমি, খাদ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তারা।

আন্তর্জাতিকভাবে তাদের স্বীকৃতি দেয়া হলেও দেশের সংবিধানে তাদের স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। তাই বঞ্চিত আদিবাসীদের অধিকার নিশ্চিত করতে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে। ’ আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উপলক্ষে গতকাল শনিবার সকালে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। বেসরকারি সংস্থা ক্যাপাসিটি বিল্ডিং অফ ভলান্টারী অর্গানাইজেশন (সিসিবিভিও), আদিবাসী গ্রাম সমাজ সংগঠন ও রাজশাহী প্রেসক্লাব যৌথভাবে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। রাজশাহী পাবলিক লাইব্রেরিতে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সিসিবিভিও সভাপতি এভারিস্ট হেমব্রমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিন।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সমাজসেবা অধিদফতরের সাবেক উপ-পরিচালক মোজাম্মেল হক, সিসিবিভিও সাধারণ সম্পাদক সারওয়ার-ই-কামাল স্বপন, রাজশাহী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান, আদিবাসী নেতা উত্তম কুমার খালকো, রাফায়েল মারান্ডী, কৈশিলা গজাড়, নিরঞ্জন কুজুর, যোসেফ হাসদা, ভবেশ সরেন, সুমন মারান্ডি প্রমুখ। এদিকে, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের উদ্যোগে গতকাল রাজশাহী জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় বক্তারা আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি, পৃথক ভূমি কমিশন গঠনসহ আদিবাসীদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অধিকার বাস্তবায়নের জোর দাবী জানিয়েছেন। অন্যদিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও বিভিন্ন কর্মসূচী পালনের মধ্য দিয়ে গতকাল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও বিশ্ব আদিবাসী দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি পালন উপলক্ষে ‘আদিবাসী স্টুডেন্টস্ অ্যাসোসিয়েশন অব রাজশাহী ইউনিভার্সিটি (আসারু)’ ক্যাম্পাসে শোভাযাত্রা ও পথ সভার আয়োজন করে। শোভাযাত্রা ও পথসভা শেষে আসারুর সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য বরাবর ১২দফা দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।

দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে আদিবাসী শিক্ষার্থীদেও জন্য নূন্যতম জিপিএ ৩ এবং মোট জিপিএ ৬ নির্ধারণ করা, উত্তরাঞ্চলের আদিবাসী শিক্ষার্থীদের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার প্রদান করা, আদিবাসী কোটায় আদিবাসী নয় এমন শিক্ষার্থী ভর্তি না করা, আদিবাসী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ শিক্ষাবৃত্তি চালু করা, আদিবাসী কোটায় ভর্তির ক্ষেত্রে কোটা কমিটিতে আদিবাসী শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা, আদিবাসী শিক্ষার্থীদের প্রথমবর্ষ থেকেই আবাসিক সুবিধা প্রদান করা ইত্যাদি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.