আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এমফিল গবেষনার পথরুদ্ধ হচ্ছে



চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এমফিল গবেষনার পথরুদ্ধ হচ্ছে ফি বেড়েছে সাত গুন দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম। দীর্ঘ সেশন জটের বদনামের পাশাপাশি এখন নতুন করে যোগ হচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত ফি। শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার স্বপ্নকে পুঁজি করে আদায় করা হচ্ছে অস্বাভাবিক অর্থ। এবারের ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষে এমফিল ভর্তিচ্ছুদের নিকট থেকে আদায় করা হচ্ছে বিপুল পরিমান অর্থ যা বিগত সেশনের তুলনায় প্রায় সাত গুন বেশী। বিগত সেশনে যেখানে একজন শিক্ষার্থীর রেজিষ্ট্রেশন ও বিবিধ ফি ছিল মাত্র ২০৭২/- (দুই হাজার বাহাত্তর) টাকা সেখানে এসেশনের শিক্ষার্থীদেরকে গুনতে হচ্ছে ১৪,১৪৪/- (চৌদ্দ হাজার একশত চুয়াল্লিশ) টাকা! তারচেয়ে আশ্চার্যের খবর হলো বিগত সময়ে গ্রন্থাগার জামানত ছিল মাত্র ৫০০০/- (পাঁচ হাজার টাকা) যা পরবর্তীতে ফেরত দেয়া হত।

অথচ এবার সেই গ্রন্থাগার জামানত হলো ১০,০০০/- (দশ হাজার টাকা) যা ফেরত দেয়া হবেনা! লাইব্রেরী জামানত অফেরত যোগ্য হয় তা কেউ কখনো দেখেছে কি? এই ব্যাপারে একজন ডেপুটি রেজিষ্টারকে জি¹াসা করলে তিনি বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখ জনক। তবে যেহেতু সিন্ডিকেট এই ফি নির্ধারণ করেছে তাই আমাদের করার কিছুই নেই। তিনি বলেন সিন্ডিকেট গত বারের ফি দ্বিগুন করেছে। ফি দ্বিগুন হলে শুধুমাত্র রেজিষ্ট্রেশন ফি দ্বিগুন হবে কিন্তু জামানত দ্বিগুন এবং অফেরত যোগ্য হলো কেন? এসব প্রশ্নের কোন যৌক্তিক উত্তর নাই। যারা রেজিষ্ট্রেশনের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন তাদেরকে পাঠানো চিঠির সাথে ফি এর যে তালিকা দেয়া হয়েছে তা হল লাইব্রেরী জামানত ৫০০০/- ও রেজিষ্ট্রেশন ফি ৪১৪৪/- মোট নয় হাজার একশত চুয়াল্লিশ টাকা।

অথচ রেজিষ্ট্রেশন করতে ক্যাম্পাসে গিয়ে মোট ফি ১৪,১৪৪/- শুনে বিস্মিত হন। অনেকেই প্রস্তুতি না থাকায় রেজিষ্ট্রেশন না করেই ফিরে আসেন। আবার অনেকে লাইব্রেরী জামানত ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা অফেরত যোগ্য হওয়ায় এমফিল গবেষনার স্বপ্নকে জলাঞ্জলী দিয়ে একবুক কষ্ট নিয়ে ফিরে আসেন। ৩১আগষ্ট’০৮ ছিল রেজিষ্ট্রেশনের শেষ তারিখ। কিন্তু ১০৫ জন নির্বাচিত প্রার্থীর মধ্যে অনেকই রেজিষ্ট্রেশন করেননি।

এমফিল ভর্তিচ্ছুরা অন্তত লাইব্রেরী জামানত আগেরমত ফেরতযোগ্য করার জন্য সিন্ডিকেটের নিকট জোর দাবী করেন। তারা ছাত্রনেতৃবৃন্দ ও সংবাদপত্রের সহযোগিতা কামনা করেছেন। মাত্রাতিরিক্ত ফি নেয়ার ঘটনা শুনে ছাত্রনেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করলেও তারা জরুরী অবস্থায় নিজেদের পক্ষথেকে কিছু করার শান্তনা দিতে পারেননি। সাংবাদিকরা জানার পর এই বিষয়ে লেখার আশ্বাস দিলেও তা কতটুকু সফল হবে তা বলা মুষ্কিল। তাহলে কি এভাবে উচ্চ শিক্ষা ও গবেষনার পথ রুদ্ধ হতেই থাকবে।

অবিলম্বে চবি সিন্ডিকেট তাদের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত বাতিল করে যৌক্তিক সিদ্ধান্তে উপনীত হোক। এ ব্যাপারে সরকারের শিক্ষা মন্ত্রনালয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ও চবি ভিসি সহ সিন্ডিকেটের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি। আমরা চাই উচ্চ শিক্ষার পথ স্বপ্নকামী গবেষকদের জন্য আরো সহজ হোক। আরও সহনীয় হোক। ঘুচে যাক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কালিমা।

লেখকঃ মানবাধিকার কর্মী ও কলামিষ্ট।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.