আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্বঘোষিত ঈশ্বরেরা

সাব্বির ভাইয়ের জন্য আরো দশ লাখ টাকা দরকার। মানবতার দিকে তাকিয়ে আছি।
১. পি.এইচ.ডি সুপারভাইজর নিয়া এই গল্পটা হয়ত শুনছেন। এক শিয়াল পুঁচকা এক খরগোশেরে কইল, ভায়া আছ কেমুন? -আর কইয়োনা বদ্দা, পি.এইচ.ডি. থিসিস লিখতাছি । গোএষণার বিষয় "খরগোশ কেমনে শিয়াল খায়" অই বেটা সামসুদ্দি, ইয়ার্কি করছ? ।

এইটা কি কুনুদিন হইবার পারে? -বদ্দা চেইতেন্না। চলেন আপ্নেরে দেখায়া আনি। পরে দুইজনে মিল্লা খরগোশের বাড়িত গেল। কিছুক্ষণ বাদে খরগোশে তেলতেলা চেহারা নিয়া বাইর হয়া আইল। কিছুদিন গেলে পর একইরকমভাবে এক নেকড়ের সাথে খরগোইশশার বাতচিত।

হেতে কয়, ভাতিজা শইলডা ভালানি? শশক ভায়ে কয়, থিসিসের দ্বিতীয় চেপ্টার লিখতাছি বিষয় হইল "খরগোশে কেমনে নেকড়েগোরে দৌড়ান দেয় আর গলার ভিতরে চালান করে" - খরগুইসসা তরে খাইছি সরকার তরে স্কলারশিপ দিতাছে এইসব অবাস্তব বিষয়ে থিসিস করার লিগা? তর ত কোন ঈমান নাইরে জেডা লও আমার লগে, দেখাইতেছি তুমারে। এর বাদে আগের মতই খরগোশ দাওয়াত খাইয়া বেড়ানো মাওলানা গো লাহান তৃপ্তির চেহারা নিয়া বাইর হয়া আইল তার ডেরা থিকা। হাতে তার পিএইচডি-র সার্টিফিকেট। অহন যদি আমরা খরগোশের ডেরায় একটু চক্ষুধূলি দেই, কী দেখতাম ফারি? একটা দশাসই সিংহ গোলাম আজমের মত তেরছা চোখের চাহনি নিয়া বইসা আছে, পাশে নেকড়ে জেডা আর শিয়াল মামার হাড্ডিগুড্ডি। এই গল্প থিকা আমরা শিখলাম যে, থিসিসে কী লিখলা সেইটা বড় বিষয় না।

তোমার সুপারভাইজাররে সন্তুষ্ট করতে পারছ কিনা, সেটাই চিন্তাযুক্ত হওয়ার মত ঘটনা। ২. দুইন্নার সব দেশেই সু.ভা. রা এমন ঘষেটি বেগম হয় কিনা জানিনা, তয় জাপানের সুভাগো এই বিষয়ে বিরাট বদনাম আছে। কখানে পিএইচডি করতে আয়া নাটবল্টূ ঢিলা হওয়া বা ডিগ্রি না নিয়াই দেশে ফিরা যাওয়ার ঘটনা বহুত শোনা যায়। এরা খুব দক্ষতার সাথে তৃতীয় বিশ্বের পোলামাইয়গুলারে মানসিক যন্ত্রণা দিয়া দিয়া শেষ কইরা ফালায় খুব কম ছাত্রের মুখেই শুনলাম হেগো সুভা-রে ভালা কইতে। আপ্নেরা কইতে পারেন, অধীনস্তের কাছে বস কখনোই ভালা হয়না।

কিন্তু ঘটনার অত সহজ সমীকরণ মিলাইতে পারলে আম্মো খুশি হইতাম। খারাপ যেগুলি, ইব্লিসের চাইতেও ভয়ংকর । ভদ্রতার আড়ালে আবু গারিবের নির্যাতন চালায় গরীব দেশের ছাত্রগো উফরে। এইরকম কয়েকটার কাহিনী কইতাছি। ৩. আমার বান্ধবীর সুভার ব্যবহার দেইখা সে মাস্টার্স প্রোগ্রামে ঢুকছিল।

আহারে, কী অমায়িক! ফটর ফটর ইংলিশ কয়, তার মানে ভাষা নিয়া পব্লেম নাই। ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার আগে নিয়মিত খোঁজখবর নেয়। আস্তে আস্তে তার রূপ বাইর হইতে থাকলো। ল্যাবরে একেবারে মিলিটারি ইস্কুলের মত বানায়া রাখছে । নয়টার এক মিনিট পরে ঢুকলেও লাল দাগ।

রাইত আটটা পর্যন্ত থাকা লাগব। প্রতি উইকে সেমিনার, সেইটা ব্যাপার না। ব্যাপার হইল সেমিনার দিব শনিবারে, মানে ছুটি আসলে পাওয়া যায় একদিন। সেটাও না হয় মানা গেল। কিন্তু প্রেজেন্টেশন দিতে হইব পুরা জাপানিজ ভাষায় এবং ল্যাবের বাকি নাকপেচা সবগুলান প্রেজেন্টেশনের কন্টেন্ট ঠিকমত বুঝলো কিনা, এই দায়িত্বও জাপানিজ ভাষায় আমার বানদবীরে নিতে হইব।

এক শনিবারে একটা প্রোগ্রামে যাওয়ার অনুমতি চাইতে গেলে এই সুভার ডায়লগ ছিল, "তোমার লাইফস্টাইল ঠিক ছাত্রের মত না। বিজ্ঞানী হওয়া এত সহজ না, বুঝলা?" আর লিখতে ইচ্ছা করতেছেনা এখন । তাই গতিশীলতা দিয়া দিলাম
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.