আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পদ্মা সেতুর মুলো আর কতদিন ঝুলবে ? জাইকাও নেই পদ্মা সেতু প্রকল্পে ।

আমি লেখক নই পাঠক ----- পদ্মা সেতু প্রকল্পের অর্থায়ন থেকে এবার জাপান উন্নয়ন সংস্থাও (জাইকা) সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ শনিবার সংস্থাটির বাংলাদেশ কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গতকাল রাতেই এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এক পৃথক বিবৃতিতে বলেছে, সহ-অর্থায়নের চুক্তি অনুযায়ী বিশ্বব্যাংক প্রকল্পে না থাকায় এডিবিও সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ প্রকল্পে অর্থায়ন থেকে আজ সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিল জাইকা। জাইকার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বিশ্বব্যাংককে পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়নের অনুরোধ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জাইকাকে জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।

এটা খুবই দুঃখজনক যে বর্তমান অর্থনৈতিক কাঠামোর অধীনে তারা অগ্রসর হতে পারেনি এবং সংকট সমাধানে আমাদের পদক্ষেপ কাজে আসেনি। যদিও গত জুনে বিশ্বব্যাংক কর্তৃক ঋণ বাতিল করার পর আমরা বাংলাদেশ সরকার ও অন্যান্য সহ-অর্থায়নকারীদের সঙ্গে এ ব্যাপারে ঘনিষ্ঠভাবে আলোচনা করেছি। একটি সহ-অর্থায়নকারী হিসেবে বর্তমান কাঠামোয় আমাদের প্রতিশ্রুতি অব্যাহত রাখা সম্ভব নয়। আমাদের নীতিতে নৈতিকতার সর্বোচ্চ মানের দরকার হয়। ’ মূলত একটি শর্ত পূরণ নিয়ে সমঝোতা না হওয়ার কারণেই ভেস্তে গেছে সহজ শর্তের ঋণে পদ্মা সেতু তৈরির কাজটি।

শর্তটি হচ্ছে, দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের দায়ে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের নাম থাকতে হবে। শেষ পর্যন্ত সরকার সৈয়দ আবুল হোসেনের পক্ষেই অবস্থান নিল। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এর ফলে এ ঘটনায় একমাত্র লাভবান হলেন সৈয়দ আবুল হোসেন। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হলো পুরো দেশ। লজ্বায় ঢুবালো পুরো জাতিকে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বব্যাংককে দেওয়া চিঠিতে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশ দুর্নীতির তদন্ত অব্যাহত রাখবে। বাংলাদেশের এই আশ্বাস গ্রহণযোগ্য হবে না বলেই মনে করছেন দাতা সংস্থার প্রতিনিধিসহ বিশেষজ্ঞরা। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) সাবেক প্রধান আইনজীবী লুই মোরেনো ওকাম্পো লিখিতভাবে বলেছেন, দুদকের তদন্ত সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়নি। সুতরাং কোনো পর্যবেক্ষণ ছাড়া দুদকের তদন্তের বিশ্বাসযোগ্যতা থাকবে না বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ ছাড়া, দুর্নীতির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়নি—এই ধারণা বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকেও ক্ষতিগ্রস্ত করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সহজ শর্তে ঋণ না পেয়ে সরকার এখন দেশীয় উদ্যোগে পদ্মা সেতু করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। ৬ মাসে অনুদান জমা এক লাখ টাকা! এবং চাঁদর টাকার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে মারা গেছে ছাত্রলীগের একজন। ‘প্রয়োজনে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু করবো’ প্রধানমন্ত্রীর এমন ঘোষণার পর গত আগস্ট মাসে তফসিলি ব্যাংকগুলোতে দু’টি করে হিসাব খোলা হয়। তারপর চলে গেছে ৬ মাস। অথচ অনুদান জমা পড়েছে ১ লাখ ২ হাজার ৩৪৫ টাকা।

আর বিদেশি হিসাবে জমা পড়েছে এক হাজার ডলার। পদ্মাসেতু প্রকল্পে নিজস্ব অর্থায়নে সাধারণ মানুষের সাড়া মেলেনি। সরকারের অন্যতম নিরবাচনী ওয়াদা ছিল এটি। কিন্তু একজন বিতর্কিত দেশ প্রেমিক! কে রক্ষা করতে গিয়ে সমগ্র দক্ষিন অন্ঞ্চলের মানুষের সাথে বেঈমানী করলো সরকার। নাকি কান টানলে মাথা শুদ্ধ পুরো পরিবার এসে যাবে বলে ভয় পাচ্ছে বর্তমান সরকার ? এতেকি প্রমানিত হয় না যে বর্তমান সরকারের কাছে দেশের সর্থের চেয়ে অনেক বড় বিষয় তার দুর্নীতিবাজ নেতা নেত্রীকে রক্ষা করা? বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করার ও পুরো জাতিকে বিশ্বের দরবারে দুর্নীতিবাজ জাতি হিসাবে উপস্থাপনের অধিকার কে দিয়েছে তাদের? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.