আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খুটিনাটি



লাইব্রেরী থেকে প্রতিদিন আমরা এ পথ দিয়ে ফিরতাম। সে দিন সাথে এক বড় ভাই ছিল। খুব মজার মানুষ তিনি। ইউনির্ভাসিটিতে ভর্তি হওয়ার পরও যিনি রিক্সা চালিয়ে পড়ালেখার খরচ বহন করতেন। মল চত্বরের মধ্য দিয়া সরু পথ পড়েছে মানুষের অবিরত হাটার ফলে।

সে পথ দিয়ে আ ই আর ভবনের সামনে এসেছি। বড় ভাই আমাদের কিছুটা আগে হাটছিলেন। খুব ক্লান্ত হওয়া সত্ত্বেও তিনি গান গেতে গেতে হাটছনে। গানটা ছিল এরকম -বন্দে মায়া লাগাইছে,প্রীতি শিখাইছে...............। এর মধ্য সে আমাদের অনেকটা আগে চলে গেছে।

আনমনে হাটছে আর গান গাইছে। তখন হঠাৎ করেই পিছন থেকে একটি মোটামুটি সুন্দরি মেয়ে রাগত্ব স্বরে তাকে ডাকল.,এই মিয়া..এই...দাড়ান। সে দাড়াল। কী হয়েছে। মেয়েটি ক্ষ্যাপা স্বরে বলল,আপনি আমাদের ডিস্টাব করছেন কেন? কৈ ডিস্টাব করলাম আপনাকে? এই যে আপনি গান গাইছেন ,আমরা ওইখানে বসা ছিলাম।

বড় ভাই এতখনে খেয়াল করল মেয়েটির সাথের ছেলেটি ওখানে বসা আছে। মেয়েটি আবার বলে উঠল ,জানেন আমি কে? বড় ভাই শান্ত ভাবে বলল আমি তোমাদের ডিস্টাব করছি। এই বলে হালকা লাফ দিয়ে উপড়ের নুয়ে পড়া একটা জারুল ডাল ভাঙলেন। তারপর মেয়েটির পাছা বরাবর দুইবার আঘাত করলেন। এরমধ্য ছেলেটি মেয়েটির পাশে দাড়াল।

পিছন থেকে আমার সাথের বন্ধু বলল, ভাইজান ,আরও দুইটা লাগান। কিন্তু বড়ভাই এতটা অমানবিক নন। তিনি একটা রিক্সা ডেকে আনলেন ,তারপর মেয়েটিকে বললেন,এখন রিক্সায় ওঠ। যার মেয়ে তার কাছে ফিরে যা । ভদ্র মেয়ের মত মেয়েটি রিক্সায় উঠল।

কিন্তু রিক্সাওয়ালা যাবে না । তারপর রিক্সাওয়ালাকে দুইটা চটকানা দিলেন। রিক্সাওয়ালা কপোত-কপোতিকে নিয়ে চলে গেল।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.