আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আনন্দবাজার পত্রিকা



গত সাত/আট বছর যাবত আনন্দবাজার পত্রিকাটি ইন্টারনেটে পড়ছি। আন্তজার্তিক বিষয়ক সম্পাদকীয়, নিবন্ধ, বিজ্ঞান বিষয়ক লেখা, গল্প এবং রবিবাসরীয়তে সাক্ষাতকার, মূলত এগুলোই আমি পড়ি। খবর পড়ি অল্প, তবে শিরোনামগুলো খেয়াল করি। পত্রিকাটির মেকআপ, ছবি এবং ক্যাপশন দেখি। প্রথম পাতায় সাধারণত ৬টি বা ৭টি খবর তারা দেয়।

বিজ্ঞাপন একটি থাকে। বড় ছবি থাকে একটি। সবচেয়ে আগ্রহ নিয়ে পড়ি খেলার লেখা ও খবরগুলো, বিশেষ করে গৌতম ভট্টাচায্যের লেখা। সম্পাদকীয়গুলোর বিশ্লেষন দারুণ, ভাষার গাথুনি চমৎকার। শিরোনামগুলো বেশ আকর্ষনীয় হয়।

বিজ্ঞানটা এই পত্রিকার লোকজন খুব ভালো বোঝে। সহজ করে লেখে। কিন্তু কিছু সমস্যা আছে। নিউজে মন্তব্য ও ব্যক্তিগত আক্রমন থাকে, যা সাংবাদিকতার প্রচলিত রীতির বাইরে। এটা ভালো লাগে না।

তবে ভাষা ও বাক্য গঠনের দিক থেকে পুরো পত্রিকাটি একই রকম। প্রতিটা বিভাগের সমন্বয় দারুন। পশ্চিমবঙ্গের নিউজ বেশি, অবশ্য এটি আঞ্চলিক পত্রিকা। পত্রিকাটি সিপিআই(এম) এর সমালোচনা করে খুব বেশি। মাঝে-মাঝে মনে হয়, পত্রিকাটি তৃণমূলের সমর্থক।

খেলার খবর আমার ভালো লাগে, তবে লেখায় পরাজিত দলের প্রতি কোনো সহানুভূতি থাকে না, বরং তাদের হতাশ করে দেওয়া হয়। গৌতম ভট্টাচায্যের লেখা ভালো, কিন্তু স্টাইলে কোনো পরিবর্তন নেই। বাংলাদেশীদের নামের বানান তারা খুব বিকৃত করে লেখে। শমী কায়সারকে লেখে সমী কাইজার, মাশরাফিকে মুশরাফি, এ রকম অনেক। তারা কাজটা বুঝে করে না, এটা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়।

তারপরও পত্রিকাটি আমি পড়ছি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.