আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অসভ্যতার শেষ নেই যেখানে!



বাসের ভেতর এক লোক বেশ তোরজোরে গলাবাজি করছিল। ভাবটা এমন যেন সরকারের সব গোপন দুর্নীতি-তথ্য তিনি একাই জানেন এবং সরকারের নিকটতম হিসেবে সব প্রত্যক্ষ করেছেন। আর কাউকেই কিছু বলার সুযোগ দিচ্ছে না। বর্তমান সরকারকে নিয়ে বর্তমানে পথেঘাটে, গাড়িতে,রেস্তোঁরায় বেশ জমজমাট আলোচনা হয়। আমাদের দেশে সবচে ফালতু জিনিসও খুব মূল্যবান হয়ে উঠতে পারে যদি আমরা দেখি যে সে জিনিসটি অনেকের মাঝে আছে।

আমরা ব্যক্তিত্বহীন বলেই অন্যের মতামতটাকে নিজের মত বলে জাহির করি। নিজের অনুধাবন-উপলব্ধিকে জাগিয়ে তুলতে চাই না। এইক্ষেত্রে এখন আমাদের পথপ্রদর্শক মিডিয়ার ক্লিশি কিছু টকশো। সম্প্রতি একটি মঞ্চ-পরিবেশনায় এই টকশো নিয়ে একটি রম্য ম্যাগাজিন দেখে বুঝতে কষ্ট হয় না আসলে পাবলিক এসবকে কী চোখে দেখে। তারপরও পাবলিক দেখে, গেলে এবং বমিও করে পরম্পরায়।

অতএব যাহা শুনিবে রাত্রিজাগরণে টকশো নামক কানসাফকরা অনুষ্ঠানে, তাহাই পূণরায় শুনিতে হইবে,বাসে, রাস্তায়, বাজারে। আজকের পাবলিক বাসেও একই দৃশ্য। টিআইবির রিপোর্টে এই সরকারের দুর্নীতি ধরা পড়েছে। মোজাফ্ফর স্যারকে আমি ব্যক্তিগতভাবে যতটুকু চিনি তাতে তাঁর প্রতি আমার শ্রদ্ধা আছে পূর্ণমাত্রায়। কিন্তু নিঃসঙ্কোচে মেনে নেবার মতো কোনও রিপোর্ট আমি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে পাইনি।

বিশেষকরে যেসব জরিপ চালানো হয় তার বেশিরভাগই হয় দায়সারাগোছের এবং অনুমান নির্ভর কিছু কৌশলী ডাটার মাধ্যমে। যার বেশিরভাগটা হয় টেবিল ওয়ার্ক এর মাধ্যমে, ফিল্ড পর্যায়ে পয়ৃবেক্ষণের মাধ্যমে নয়। যদি সেভাবেই পর্যবেক্ষণ করে কোনও রিপোর্ট তৈরী করতে হয় তাহলে এই সরকারের দুর্নীতি -দুর্নীতি নিরূপন করতে আরও অন্তত একবছর সময় লাগার কথা। সরকারের একবছরের দুর্নীতি ২-৩মাসেই পেয়ে গেলো টিআইবি? তারা কি গায়েব জানে? আমাকে যদি বলা হয় এই সরকারের দশটি ভালোকাজ বলতে আমি কষ্টমস্ট করে বলতে পারবো। তবে যদি বলা হয় এই সরকারের ২টি খারাপ কাজের কথা, আমি(প্রমাণ সাপেক্ষে) বলতে পারবো না।

একটি হয়ত হুজুগে বাঙালির মতো বলতে পারি দ্রব্যমূল্যের দাম। বাসভাড়া নিয়ে যে হৈচৈ তা নিতান্তই অমূলক। যেই দেশে কোটিকোটি টাকা নষ্ট হয় বিদেশি সিগারেটের পেছনে সেই দেশে ১০টাকার ভাড়া ১২টাকা হলে এমনকিছু সর্বনাশ হয়ে যায় না। .. গাড়ির ভাড়া নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার সব গাড়িতে টিবকট সিস্টেম করে দিয়েছে। একজন ভদ্রলোক সরকারের এইকাজটিতেও অশেষ নিন্দা দেখতে পান কারণ টিকেট ছাপানোর টাকাটাতো বাঁচতো।

কিন্তু তাতে আপনার অভিযোগ কীভাবে প্রমাণ করা যেত। এতো যিনি বোঝেন তার কি আরও আগে বোঝা উচিৎ নয় যে ঢাকা শহরের অফিস আদালতগুলো এতো ডেকোরেটেড করা হয় কেন? খেজুরপাতার শাসনওতো করা যায়। সবকিছুতে ভুল খোঁজা নিদারূণ অসভ্যতা...

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.