আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যে রাজনৈতিক নেতা চিকিতসার নামে বিদেশে গিয়ে লুটপাটের অর্থ ভোগ করার জন্যে বিশেষ সুযোগ নেয় -সে জনগনের প্রতিনিধি না।

যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি

বাংলাদেশের জন্মের পর থেকেই একদল সুবিধাভোগী শ্রেনী রাজনীতিতে এসেছে। এদের অনেকে এসেছে উত্তাধিকার সূত্রে। এইটা দোষের কিছু না - কমপক্ষে যদি তাদের রাজনীতিবিদ হিসাবে সামান্যতম মেধা আর প্রজ্ঞা থাকে। আমাদের পাশের দেশে ইন্দিরা গান্ধীও উত্তরাধিকার সূত্রে আসা একজন রাজনীতিক - কিন্তু মানুষের কাছে বাবার চেয়ে মেয়ের পরিচয়টাই বড়। জর্জ ডব্লিউ বুশ তার পিতার মতো পদাংক অনুসরন করে প্রেসিডেন্ট হয়েছে।

সমস্যা হয় তখনই যখন এই উত্তরাধিকার সূত্রে আসা রাজনীতিকগন দেশটাকে তাদের বাবার বা মায়ের সম্পত্তি মনে করে - বাবা নাম বিক্রি করে সুযোগ সুবিধা নিতে চায়। আর বাংলাদেশের মানুষও দেখি বাবার ছবি দেখে মেয়েকে নেতা মানে আর স্বামীর ছবি দেখে স্ত্রীকে। শুধু খালেদা, হাসিনা বা তারেকের কথাই নয় - সাইফুর রহমানের পুত্র, জুলফিকার আলী ভুট্টো এমপির স্ত্রী এলেন ভুট্টো অর্থনীতিবিদ কিবরিয়ার পুত্র আর আহসানুল্লাহ মাস্টারের পুত্রসহ আরো অনেক। দেখেশুনে মনে হচ্ছিলো রাজনীতি একধরনের ব্যবসা যা উত্তারিধাকের উপর বর্তায়। এখানে না আছে কোন মেধার মূল্যায়ন - না আছে আদর্শের দাম।

কথা আসলে বলছিলাম রাজনীতিবিদদের বিদেশে চিকিৎসার জন্যে গমন কতটা নৈতিক - সেই প্রসংগে। বাংলাদেশের প্রথম সারির চারটা দলই কোন না কোন সময় ক্ষমতায় ছিলো। এদের নেতারা কি জানতেন না উনারা একসময় অসুস্থ হবেন - কমপক্ষে তাদের নিজেদের চিকিতসার জন্যে দেশে একটা স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলা দরকার। উনারা ক্ষমতায় থাকাকালীন সরকারী অর্থে বিদেশে গিয়ে চিকিতসা করান আর ক্ষমতা থেকে চলে যাবার পর লুটপাটের অর্থ দিয়ে উন্নত চিকিতসার জন্যে বিদেশে যান। কিন্তু আজ পর্যণ্তও বাংলাদেশের শতকরা আশি ভাগ মানুষ নূন্যতম চিকিতসার সুযোগ পাবার মতো অবকাঠামো বা সুযোগ তৈরী হয়নি।

এই ব্যর্থতার জন্যে কি উনারা লজ্জিত? মনে হয় না। তারপরও দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসাবে না হয় হাসিনা-খালেদার জন্যে বিশেষ বিবেচনা করা যেতে পারে - কিন্তু তাদের ছেলেমেয়েও কোন হিসাবে বিশেষ বিবেচনার দাবী করে? দেশের জন্যে তাদের কোন অবদানটা আছে? একজন সাধারন কয়েদী যদি আর্থাইটিসে ভোগে তাহরে তাকে হ্যান্ডকাফ বেঁধে পুলিশসহ মেডিকেলের সাধারন বেডে শুয়ে থাকতে হয় - দেখা যায় হয়তো সেই কয়েদি কয়েক হাজার টাকা চুরি করেছিলো। আর তারেক হাজার কোটি টাকা লুটপাট করার পর তাকে বিশেষ বিবেচনায় বিদেশে পাঠানোর জন্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার উৎসাহী কথা শুনে সত্যই অবাক হলাম। কবে দেশের বিচার সবার জন্যে সমান হবে? কবে আমরা সামন্ততান্ত্রিক চিন্তা থেকে বেড়িয়ে আসবো? আরো অবাক হলাম বাংলাদেশের সংবাদপত্র আর টিভি চ্যানেলগুলোর ভুমিকা দেখে। আমাদের সময়ের সম্পাদক নাইমুল ইসলাম খান যেভাবে তারেকের মুক্তির জন্যে মুক্তকচ্ছ হয়েছেন - মনে হচ্ছে উনি শফিক রেহমানের ভুমিকায় নিজেকে দ্রুতই বসাতে স্বক্ষম হবেন।

কিভাবে একটা শিশুকে রাজনীতির দাবার গুটি হিসাবে ব্যবহার করছেন এরা - সত্যই লজ্জাজনক। সরকারের পদক্ষলন হয়েছে - হয়তো আরো তলিয়ে যাচ্ছে এই সরকার। আর বিগত দেড়বছর ঘাপটি মেরে বসে থাকা দূর্বিত্তের দল আবাররো স্বপ্ন দেখা শুরু করেছে - কোথা থেকে শুরু করবে। দেখেশুনে মনে হচ্ছে - পিতার পরিচয়েই যথেষ্ঠ বাংলাদেশে - হাজার কোটি টাকা লুটপাটের পরও তার মুক্তিই এখন বাংলাদেশের একমাত্র সমস্যা। অবাক বাংলাদেশ - অবাক তার রাজনীতিবিদ আর তাদের উত্তরাধিকার - তারচেয়েও অবাক সুবিধাবাদী সংবাদ মাধ্যমগুলো।

বিশেষ দ্রষ্ঠব্য - জামায়াত নামে আরেকটা ফ্যাসিস্ট দল - যারা নিজেদের ইসলামের রাজনীতির ঠিকাদার হিসাবে দাবী করে তারা তাদের দূর্নীতিবাজ নেতার মুক্তির জন্যে ভারপ্রাপ্ত আমির রাজাকার ইউসুফকে সৌদী আরব পাঠিয়েছে আর আরেক রাজাকার কামরুজ্জামান আমেরিকায় বিভিন্ন জন্যে কাছে ধর্না দিচ্ছে। এদেরও খুঁটির অবস্থানটা কোথায় - বুঝতে পারেন কি? ঈশ্বর বাংলাদেশের সহায় হোন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.