আধুনিক কবিতার সংজ্ঞা :
"যাহা পড়িবে কিন্তু উহার মাথামুন্ডু কিছুই বুঝিবে না উহাই কবিতা। "
আধুনিক কবিদের কবিতা লেখার প্রস্তুতি :
১। একটি মোটা বাংলা অভিধান হাতে কাছে নেয়া
২। অভিধান ঘেঁটে দাঁত-ভাঙা কিছু শব্দ খাতায় জমাকরণ
৩। এরপর অদ্ভুত শব্দের দেয়াল রচনা
৪।
সৃষ্টি হলো পান্ডিত্যপূর্ণ কবিতা।
এ কবিতা বোঝার সাধ্য কারো নাই। আমি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি, কবি নিজেও বোঝে না কবিতার অর্থ।
তারপরও ওইসব কবিদের ভাঁড়ামীপূর্ণ ভাবের বাতাসে টেকা দায়।
কারণ দৈনিক পত্রিকার সাহিত্য পাতায় স্থান দেয়া হয় ওইসব দুর্বোধ্য কবিতা (?)।
কঠিন শব্দের লাবড়া দিয়ে কবিতা লেখেন এমন এক কবির সাথে একদিন আমার বেশ তর্ক বেধে গেলো। উনি আমাকে বললেন, "মিয়া আমনে তো এইরম শব্দ আর ভাষা জীবনে চোউক্ষেও দেহেন নাই, লিখবেন ক্যামতে?"
আমি বলেছিলাম, আমি কবি হিসেবে নয়, একজন পাঠক হিসেবে আপনার কাছে এসেছি।
উনি বললেন, পাঠকে কবিতার কি বুঝবো? যত্তোসব আজাইরা প্যাচাল। আমার কবিতা বুঝতে হইলে তিন বছর কবিতার উপর গবেষণা করতে হইবো।
আমি হেসে বলেছিলাম, রবী ঠাকুর, নজরুল, জীবনানন্দ, হুমায়ুন আজাদ, নির্মলেন্দু গুণের কবিতা পড়ার জন্য তো গবেষণা করতে হয় না।
আপনি কি তাদের চেয়েও বড় কবি নাকি?
উনি রেগে গিয়ে বলেছিলেন, কালজয়ী কবিতাগুলো ব্যতিক্রম শব্দের হয়।
আমি বলেছিলাম, তাই নাকি? দুনিয়ার বুকে পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে এমন একটি কবিতার নাম বলুন তো- যে কবিতাটি দুর্বোধ্য করে লেখা হয়েছে।
আমার প্রশ্নটাকে হা হা করে হেসে উড়িয়ে দিয়ে বললেন, এ রকম হাজার হাজার উদাহরণ আছে।
আমিও নাছোড় বান্দা। বললাম অন্ততঃ একটি কবিতার নাম বলুন।
বলতে পারলে কোনো দিনও আর কবিতা লিখবো না।
তাই নাকি ? বলেই তথাকথিত ওই কবি ভাবতে লাগলেন। দশমিনিট ভাবার পর বললেন, রাতে খুঁজে বের করে সকালে জানাবো।
আমি বলেছিলাম, খুঁজতে হবে কেনো? কালজয়ী কবিতাগুলো তো সবার মুখে মুখেই ঘোরে ফিরে।
উনি এবার চোখ গরম করে বললেন, আমার সাথে আপনি ঝগড়া বাধাতে এসেছেন নাকি?
আমি কোনো উত্তর না দিয়ে চলে এসেছি।
কবির নাম আপনাদের অনেকেরই পরিচিত। নামটা বললাম না। ওনার লেখা প্রায়ই বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় যত্নসহকারে ছাপা হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।