আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মহাবিশ্বের বয়স - ইসলাম বিদ্বেষীদের ছয় দিনে মহাবিশ্বের অজ্ঞতার জবাব। Einstein's theory of relativity proves the Quran right

দিন দূরে নয় আমার আত্মা উড়বে সেই দিন উধ্বাকাশে অনেক কিছু জানব সেদিন যা জানিনা এই নিবাসে। সময় আপেক্ষিক। আইনাইস্টাইন থেকে আমরা জানি যে আমার ঘড়ি আর আপনার ঘড়ি একইহারে ঘুরবে বা চলবে না। সময়( অথবা আমাদের ঘড়ির হার) নির্ভর করে গতি এবং গ্র্যভিটিতে। যদি আমার ঘড়ি অতি গতিতে থাকে এবং এটি যদি একটি শক্তিশালী মাধ্যাকর্ষণ বলে থাকে তাহলে আমার ঘড়ি আপনার ঘড়ির তুলনায় ধিরে চলবে ( উদাহরন ধরুন দুইটি ঘড়ি একটি প্ল্যান রাখা অথবা মহাবিশ্বে কোন এক নভোযানে আর একটি আপনার সাথে এখন নভোযানের যদি আলোর গতিতে ছুটে চলে আর তা যদি একটি শক্তিশালী মাধ্যাকর্ষণে থাকে তাহলে ওই ঘড়িটি পৃথিবীতে রাখা ঘড়ির চেয়ে ধিরে চলবে।

কোরআন [২২:৪৭]জান্নাত/জাহান্নামের সাথে পৃথিবীর সময়ের তুলনা করছে। ( ১দিন বনাম ১০০০ বছর) কিছু সময় আবার কোরআন[৭০:৪] পৃীথিবীর সময়ের সাথে ওয়ার্ম হোলের সময়ের তুলনা করছে ( ১ দিন বনাম ৫০,০০০ বছর){ এখানে ওয়ার্ম হোলব্যপার হল ফেরেশতারা ওয়ার্ম হোল ব্যবহার করে এই মহাবিশ্বে বিচরণের জন্য} মুসলিমরা বিশ্বাস করে যে জান্নাত আর জাহান্নাম উভয়ই পৃথিবির চেয়ে অতি বৃহৎ ( বা বিরাট ) । (কিন্তু এখন পর্যন্ত আল্লাহর আরশ চেয়ে অতি ক্ষুদ্রতর)। দ্যা থিওরি অফ জেনারেল রেলেটিভিটি বলে যে সময় পৃথিবীর থেকে অধিক ভর বিশিষ্ট বা বিরাট কোন বস্তুর কাছে অতি ধিরে অতিক্রম করে। ( ঘড়ি একটি শক্তিশালী মাধ্যাকর্ষণ বলে ধিরে চলে)।

এতএব জেনারেল রিয়েলিটিভিটি( সাধারণ আপেক্ষিক তত্ত্ব) মতে, সময়ের উচিৎ পৃথিবীর চেয়ে জান্নাত/জাহান্নামে অধিক ধিরে চলা (আই মিন জান্নাত/ জাহান্নামে সময় অতি ধিরে যাবে আমাদের পৃথিবীর সময়ের চেয়ে)। আর আল্লাহ তাই বলছেন। কোরআন বলছে যে জান্নাত/জাহান্নামের ১ দিন আর আমাদের গনা পৃথিবীতে তা ১০০০ বছর। [Quran 22.47] They challenge you to bring forth that torture [in Hell] and Allah will not break His promise; a day of your Lord [Paradise/Hell promise] is like a thousand years of what you count. '' তারা আপনাকে আযাব ত্বরান্বিত করতে বলে। অথচ আল্লাহ কখনও তাঁর ওয়াদা ভঙ্গ করেন না।

আপনার পালনকর্তার কাছে একদিন তোমাদের গণনার এক হাজার বছরের সমান। ‘’ আর এখানে আল্লাহ শপথ করেছেন যে যে ব্যক্তি জান্নাত/জাহান্নামে বিশ্বাস করেনি তাকে জাহান্নামে শাস্তি দেয়া হবে( প্রত্যক দিন বা আমরা এক দিন করে হিসাব করতে পারি) আর তার পৃথিবীতে তা এক হাজার বছর। আর ইহাই জেনারেল রিয়েলিটিভিটি বলছে যে সময় ধির গতিতে চলবে একটি বিরাট সামনে(বস্তু)। জান্ননাত/জাহান্ননাম পৃথিবী থেকে অধিক বিশাল এবং সময়ের উচিৎ সেখানে ধিরে চলা পৃথিবির চেয়ে। এখন আসি মূল কথায়।

ইসলাম বিদ্বেষী রা ( নাস্তিক,সংশয় , মানবতাবাদীরা )বলে কোরআন বাইবেল থেকে ছয় দিনে মহাবিশ্বের সৃষ্টির কথা ধার বা নকল করেছে। ক্রিস্টিয়ান রা বিশ্বাস করে যে স্রষ্টা ছয় দিনে পুরো মহাবিশ্ব শ্রৃষ্টি করেছেন আর সপ্তম দিনে ঈশ্বর বিশ্রামে গেলেন। মুসলিমরা বিশ্বাস করে যে ছ্য়টি পর্যায়কালে( এখানে আরবি শব্দ আর আইয়াম মানে কাল, অর্থাৎ লম্বা সময় দিন না। ( (Qur'an 32:4, 10:3, 11:7, 25:59, 57:4, 50:38, and 7:54) means not only "days," but also "age, period, moment, term.) (There are very few translations and commentaries of the Quran that note how the word 'days' should really be taken to mean 'periods'. the language of the time, the possible meaning of the word that many translators themselves still continue to translate by the word 'day' yaum, plural ayyam in Arabic.) অতিক্রম করেছে আল্লাহর হিসাবে(আরশে) কিন্তু আমরা তা অনুভব করছি ১৩.৭ মিলিয়ন পৃথিবীতে। মুসলিমরা এও বিশ্বাস করে যে আল্ললাহ তার আরশে বদ্ধ নন।

মানে তিনি স্থান কালে সীমা বদ্ধ নন। বরং তিনি একে সৃষ্টি করেছেন এবং বর্ণনা হিসাবে ব্যবহার করেছেন । কোরআন বলছে যে আল্লাহর আরশ হল পুরো মহাবিশ্ব থেকে প্রশস্ত। এতএব আল্ললহর আরশের ভর কত? আল্লাহ্‌র আরশ হল পৃথিবীর থেকে অনেক বিরাট । সুতারাং সময়ের উচিৎ সেখানে পৃথিবীর চেয়েও ধিরে চলা ।

আমাদের সোলার সিস্টেমের বয়স হল ৪.৫৬৭ বিলিয়ন বছর। পৃথিবীর শুরুও একই সময়ে সূর্যের সাথে আমাদের প্রতিবেশী গ্রহ গুলোও ৪.৫৬৭ বিলিয়ন বছরের পুরানো। যাইহোক মহাবিশ্ব হল ১৩.৭ ± ০.২ বিলিয়ন বছর। এই জায়গায় পৃথিবীর সময় হল মহাবিশ্বের এক- তৃতীয়াংশ (৪.৫৬৭ বিলিয়ন বছর/(ভাগ) ১৩.৭ বিলিয়ন = ১/৩)মুসলিমরা রা তাই বিশ্বাস করে। এখন মোল্লা দেখবেন কোরআনের এস্ট্রফ্যসিক্স হল ছয় দিনের মহাবিশ্বের সৃষ্টি আর সূর্য আল্লাহর চেয়ার( যদি তা আরশ তা ভুল ব্যখ্যা করে এই নিয়ে ইনশাল্লাহ সামনে নোট লিখবো) কোরআন বলছে যে আল্লাহর আরশের সময় মহাবিশ্বে ২ দিনের সময়।

পৃথিবী ও এর মধ্যে সবকিছুই ৬(ইয়াম পর্যায়) কালের পুরানো। (২/৬=১/৩) [Quran 7.54] And your Lord, Allah, who created the Heavens and the Earth in six days and then settled on the Throne.. ‘’ নিশ্চয় তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহ। তিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলকে ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর আরশের উপর অধিষ্টিত হয়েছেন। ‘’ এই ছয় দিন হল আরশে; এতএব বর্ণনার কাঠামো অনুযায়ী সৃষ্টি হল আরশে পৃথিবীতে না।

[Quran 41.9] Say: "Is it that you deny Him [Allah] who created the Earth in two days? And you claim others to be equal to Him? He is the Lord of (all) the Worlds." বলুন, তোমরা কি সে সত্তাকে অস্বীকার কর যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন দুই দিনে এবং তোমরা কি তাঁর সমকক্ষ স্থীর কর? তিনি তো সমগ্র বিশ্বের পালনকর্তা। তাই নাস্তিক কাঠ –মোল্লাদের পৃথিবীর হিসাব এইখানেই শেষ। ওই দুই দিন ও ছিল আরশে। বর্ণনার কাঠামোর অনুযায়ী সৃষ্টি এখনও আরশে পৃথিবীতে নয়। যখন আল্লাহ বলছেন তিনি এই মহাবিশ্ব(Heavens,) ও পৃথিবীর সৃষ্টি করেছেন এবং সবকিছু এরই মধ্যে(আপ্নি এবং আমি সহ) ছয় দিনে(আইয়াম ) এর মানে হল তিনি বর্ণনা করেছেন অস্তিত্তের পর্যায়(period of existence). পৃথিবী ২ দিনের জন্য থেকে অস্তিত্তে আছে( ৬- এর বাইরে) আল্লাহর আরশের সময় , মহাবিশ্বের সময়ে ২ দিনের পুরানো।

পৃথিবী ও এর সবকিছুর মধ্যে ৬ দিনের পুরানো। আর ইহাই পৃথিবীর সময় তুলে ধরে বা তৈরি করে যা মহাবিশ্বের এক- তৃতীয়াংশ। ((২/৬=১/৩) একভাবে পৃথিবীর সময়ে , পৃথিবীর বয়স হল ৪.৫৬৭ বিলিয়ন বছর। যেহেতু মহাবিশ্বের বয়স হল ১৩.৭ বিলিয়ন বছর। আর এটাও এক-তৃতীয়াংশ((৪.৫৬৭ বিলিয়ন বছর/(ভাগ) ১৩.৭ বিলিয়ন = ১/৩)।

এতএব এটা একই অনুপাত পৃথিবী ও আল্লাহর আরশের সময়ে। (it is the same ratio in Earth time or in God's Throne time). সাধারণ আপেক্ষিক তত্ত্ব ব্যখ্যা করে কেন আল্লাহর আরশে সময় পৃথিবীর সময়ের চেয়ে এতো ধিরে অতিক্রম করে। জেনারেল রিয়েলিটিভিটি ব্যখ্যা করে কেন ৬ দিন(আইয়াম) আল্লাহর আরশে গিয়েছে কিন্তু আমরা তা পরিমান বা হিসাব করেছি ১৩.৭ বিলিয়ন বছর। ( আল্লাহর আরশে প্রত্যক দিনের পরিমান বা হিসাব আমাদের পৃথিবীর হিসাবে তা ২.২৮ বিলিয়ন বছর) এতএব কোরআনের মতে , আল্লাহর আরশ>জান্নাত/জাহান্নাম(ছোট)> পৃথিবী (আরো ছোট) ভর যত ক্ষুদ্রতর, সময় তত দ্রততর। আজ আমরা নিশ্চিত যে সময় আপেক্ষিক, যা হল ঘড়ির সাথে মহাবিশ্বের বয়স পর্যবেক্ষক জন্য বিভিন্ন ঘড়ি চলছে বিভিন্ন রেট বা হারে।

উদাহরনঃ একজন পর্যবেক্ষক যিনি মহাবিশ্বের বয়স হিসাব করলেন ৩ বিলিয়ন বছর। , যাইহোক তিনি এতি মধ্যে পৃথিবীর বয়সো হিসাব করে ফেলবেন যা হবে ১ বিলিয়ন বছর। কিন্তু কোরআন আমাদের একটি অনুপাত বা ratio দিচ্ছে তা হল (১/৩) এবং এই অনুপাত যেকোনো পর্যবেক্ষণে সঠিক হবে (অপর যেকোনো ঘড়ির হারে) । যদি কোরআন একে অন্য যেকোনো অনুপাত দিতো তাহলে এটি বিভিন্ন পর্যবেক্ষণে বা ভুল হত। কোরআন ৩২:৫ হল সময় বনাম দূরত্ব যা আমাদের কে ফেরেশতাদের গতি দেয় স্পীড অফ লাইট কোরআন ২২.৪৭ এবং ৭০.৪ সময় বনাম সময় (no distance) কোরআন [২২:৪৭]জান্নাত/জাহান্নামের সাথে পৃথিবীর সময়ের তুলনা করছে।

( ১দিন বনাম ১০০০ বছর) কিছু সময় আবার কোরআন[৭০:৪] পৃীথিবীর সময়ের সাথে ওয়ার্ম হোলের সময়ের তুলনা করছে ( ১ দিন বনাম ৫০,০০০ বছর){ এখানে ওয়ার্ম হোলব্যপার হল ফেরেশতারা ওয়ার্ম হোল ব্যবহার করে এই মহাবিশ্বে বিচরণের জন্য) বাইবেল বলছে পৃথিবী হল এক দিনের সৃষ্টি ; পৃথিবীর বয়সে থেকে মহাবিশ্বের বয়স সমান হচ্ছে। এতএব বাইবেলের মতে মহাবিশ্বের বয়স ছয় হাজার বছর।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.