আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মহাবিশ্বের সীমানা



মহাবিশ্বের সীমানা 1 আজ থেকে প্রায় ৫০০০০ বছর আগে। মানুষ তখন সভ্যতা বলতে তেমন কিছু শিখেনি। কিন্তু তারা এটুকু বুঝেছে, একসাথে দলবদ্ধ হয়ে থাকলে টিকে থাকতে সুবিধা। পাহাড় ঘেরা এই অঞ্চলে মানুষের পূর্বপুরুষের কয়েকটি দল বসবাস করছে। খাদ্যাভাব নেই, তাই তারা দ্রুত বেড়ে চলেছে সংখ্যায়।

তবে বিপদও রয়েছে, মাঝে মাঝেই হিংস্র শ্বাপদের খাদ্য হতে হয়। তাদের নিজেদের বসবাসের একটি নির্দিষ্ট জায়গা রয়েছে। এর বাইরে সাধারনত তারা যায় না। বাইরে অচেনা জগতে বিপদ—এটা তারা জানে। তাই তাদের সিমানা নির্দিষ্ট, এতেই তারা নিরাপদ বোধ করে।

তাদের কেউই কখনও এই সিমানা অতিক্রম করার কথা ভেবেও দেখেনি। ভাবার প্রয়োজনও হয়নি। এইখানে বসবাসকারি একটি দল অন্য দলগুলি থেকে ভাল অবস্থানে আছে। এই দলটির নেতা একজন স্বাস্থ্যবান নরবানর। তার ঘাড়টি বেশ মোটা।

সে দলের অন্যান্য সদস্য থেকে বেশি শক্তিশালি ও বড়সড়। সুখেই দলটির দিন যাচ্ছিল। শুষ্ক মৌসুমে খাবারের অভাবে দক্ষিন থেকে হিংস্র প্রাণী এই অঞ্চলে এসে পরে। তাদের হিংস্রতা যেন শতগুনে বেড়ে গেল এই প্রচুর খাবারের জগতে এসে। পশুগুলি এতদিনের অভুক্ত অবস্থা থেকে দ্রুত মুক্তিলাভ করতে চাইল।

ঘাড়মোটার দলটি দেখল অন্যান্য দলের করুন পরিনতি। তারা গুহা থেকে তাই খুব একটা বেরত না। খাবারের অভাবে তারা দুর্বল হয়ে পরল। তবুও নিরুপায় হয়ে তাদের একসময় বেরতে হল। একসময় তারাও আক্রান্ত হল।

এভাবে সংখ্যায় কমতে কমতে ৪৩ জনের বিরাট দলটির মধ্যে মাত্র বেচে রইল ৫ জন—ঘাড়মোটাসহ। তারা কখনও পাহারের অপারে যাওয়ার কল্পনাও করেনি। কিন্তু আজ পরিস্থিতি বদলেছে। এখানে থাকলে সবাই মারা পরবে। তাই তারা বাধ্য হয়েই পাহাড়ের ওপারে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল।

তারা কখনও কল্পনা করতে পারেনি পাহাড়ের ওপারে কোন জগত আছে। সে জগত বরফময়। স্থানটি আগের বনাঞ্চল থেকে অনেক উচুতে অবস্থিত। শীতের কারণে গ্রীষ্মপ্রধান অনেক শ্বাপদ এখানে অনুপস্থিত। শীতপ্রধান শ্বাপদরা আছে তবে সংখ্যায় কম।

একদিন তারা আকাশ থেকে আগুনের গোলা ছুটে যেতে দেখল। তাদের মধ্যে বিবর্তনের ওই মানবীয় স্তর এখনও আসেনি যা একটি চিন্তাশিল-কৌতুহলি মন উপহার দিবে। কিন্তু ঘাড়মোটা অবাক বিস্ময়ে পুরো ঘটনাটা দেখল। এই রকম ঘটনার প্রকৃত ব্যাখ্যা মানষের জানতে সময় লাগবে প্রায় ৫০০০০ বছর। 2 ২৩৭৭ সাল।

মানব সভ্যতা এখন উন্নতির চরম শিখরে। এখন আর পৃথিবী বিভিন্ন দেশে বিভক্ত নয়, পুরো পৃথিবীই একটি দেশ। মানুষ মিল্কি ওয়ে গ্যালাক্সির কেন্দ্রের কাছাকাছি কৃত্রিম গ্রহ বানিয়েছে। ওয়ার্ম হোল ব্যাবহার করে মহাকাশ ভ্রমন সহজ হয়ে গেছে। এখনকার মানুষ মহাবিশ্বের প্রান্তসীমার ওপারে কি আছে তা জানতে চায়।

গত দশ বছর ধরে পৃথিবীর কক্ষপথে একটি মহাকাশযান তৈরি করা হচ্ছে। মহাকাশযানটি যাত্রীদের মহাবিশ্বের ওপারে নিয়ে যাবে। যানটিতে মোট ৩০ জন সমানসংখ্যক নারী পুরুষ যাত্রী থাকবে। যানটি যাত্রাপথের মহাজাগতিক কনিকা ব্যবহার করে শক্তি সংগ্রহ করবে। মহাকাশযানটির বাইরের ধাতব আবরণটি হল কনিকা সংগ্রাহক।

যেকোনো বস্তুকে শক্তিতে রুপান্তরের প্রক্রিয়া এই পৃথিবীর মানুষ ১০০ বছর আগেই জেনেছে। গ্রাভিটন কনার সাহায্যে পৃথিবীর মতই মাধ্যাকর্ষণ সৃষ্টি করা হয়েছে যানটিতে। নবায়নযোগ্য খাবারের পাশাপাশি গ্রীনহাউসের তাজা খাবারের ব্যবস্থা আছে। প্রতিরক্ষার জন্য রয়েছে অ্যান্টিম্যাটার গান। যাত্রীদের দীর্ঘজীবন নিশ্চিত করার জন্য শিতলঘরের ব্যবস্থা রাখা আছে।

মহাকাশচারীদের শিতলঘরে অবস্থানের সময় মহাকাশযানটি কে নিয়ন্ত্রন করবে একটি সুপার কম্পিউটার। মহাকাশচারীদের নেতৃত্ব দিবে রিপিন। তার বয়স মাত্র ২৫ বছর। বহু বাছাই করে তাকে নেয়া হয়েছে। আজ মহাকাশযানটি যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে।

মানবজাতির জন্য আজ একটি ঐতিহাসিক দিন। রিপিন কম্পিউটারকে ওয়ার্ম হোল পোর্টাল তৈরি করতে নির্দেশ দিল। পোর্টাল তৈরি হতে ১০ মিনিট লাগলো। লক্ষ লক্ষ আলোকবর্ষ দূরত্ব যেতে ১ সপ্তাহ সময় লাগবে। ওয়ার্ম হোল পোর্টাল মহাকাশের দুটি অতি দূরবর্তী বিন্দুকে স্থান সঙ্কোচনের মাধ্যমে কাছে এনে দেয়।

এই পোর্টাল তৈরি করতে নক্ষত্রের বিশাল শক্তি ভাণ্ডার কাজে লাগানো হয়। ১ লক্ষ আলোকবর্ষ দূরের আন্তঃছায়াপথীয় মহাকাশে তাকালে, তাঁরাদের কম চোখে পড়ে। এখন রিপিনদের লক্ষ মিল্কিওয়ে গালাক্সির প্রতিবেশী এন্ড্রোমিডা গালাক্সির কেন্দ্রে যে সুপার ম্যাসিভ ব্লাকহোল রয়েছে তার কাছাকাছি যাওয়া। এজন্য আলফা সেঞ্চুরি নক্ষত্রটির প্রভূত শক্তি ব্যাবহার করা হবে। এন্ড্রোমিডা গালাক্সির কেন্দ্রে এসে দেখা গেল ব্লাকহোলের দিকে নিকষ কাল অন্ধকার কিন্তু এর দুই বিপরীত দিক থেকে অতি উজ্জ্বল শক্তিরশ্মি বের হচ্ছে।

গোটা সৌরজগতের চেয়ে বড় এই ব্লাকহোলটি। ব্লাকহোলের দানবীয় শক্তিকে ব্যাবহার করে রিপিন আশা করছে মহাবিশ্বের প্রান্তে চলে যাবে। মানব ইতিহাসে এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় ওয়ার্ম হোল পোর্টাল এটি। কম্পিউটার হিসাব কষে বের করেছে মহাবিশ্বের প্রান্তে যেতে সময় লাগবে ২৫০০ বছরের কিছু বেশি। রিপিনকে চিন্তিত দেখাল।

আসলে সে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্দান্ত নিতে যাচ্ছে। এই সিদ্ধান্তের সাথে যদি সে একা জড়িত থাকতো তাহলে কোন সমস্যা হত না, তাই সে একটি সভা ডাকার কথা চিন্তা করতে লাগল। কারন ইচ্ছা করলে সে মগজে ইস্থাপিত একটি যন্ত্রের সাহায্যে সবার সাথে যোগাযোগ করতে পারে। কিন্তু কেন জানি সে সভা ডাকাই বেশি পছন্দ করল। মহাকাশযানটি এখন নিয়ন্ত্রন করছে সুপার কম্পুটার।

সভাকক্ষে সবাই একটি উপবৃত্তাকার টেবিলের চারপাশে বসে আছে। কক্ষটির মৃদু নরম আলো মনে বেশ প্রশান্তি এনে দেয় এমন। কিন্তু রিপিনের ঘাম রিসাক্লিং ডিভাইসটি কাজ বাড়িয়ে দিয়েছে। মহাকাশযাত্রীদের প্রত্যেকের পোশাকের সাথে এই ডিভাইসটি থাকে। মহাকাশযানের ও যাত্রীদের কোন কিছুই ফেলনা নয়।

চিন্তিত মুখে রিপিন বলল, ‘আজকে এই সভা ডাকা হয়েছে একটি খুবিই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য। শুধু আমার ব্যাপার হলে, সিদ্ধান্ত আমি নিতে পারতাম কিন্তু----। , তার কথা শেষ হওয়ার আগেই সবাই প্রায় একসাথে যা বলে উটলো, তার সারমর্ম হল অভিযানের স্বার্থে যে কোনো সিদ্ধান্ত তারা মেনে নিতে প্রস্তুত। রিপিন এবার আশ্বস্ত হয়ে বলল, ‘তাহলে আমার সিদ্ধান্ত আপনাদের জানিয়ে দেই। মহাবিশ্বের প্রান্তসীমায় যেতে কম্পিউটারের হিসাব মত যে সময়টুকু লাগবে, আমরা যদি শিতলঘরে কাটাইও সে সময় পরযন্ত বাঁচব না।

মহাবিশ্বের প্রান্তসীমার ওপারটা দেখার জন্য আমরা অবশ্যই বেঁচে থাকব না কিন্তু আমাদের সন্তানরা বেঁচে থাকলে অবশ্যই তা দেখে যেতে পারবে এবং পৃথিবীবাসী তা জানার সুযোগ পাবে। আমাদের এই জন্মজন্মান্তরের মহাঅভিযান সফল হবে। , সবাই সমস্বরে সমর্থন জানিয়ে বলে উঠল, ‘হ্যাঁ তাই হোক। , ওদের এই মতৈক বিংশ শতাব্দীর বেশির ভাগ মানুষের কাছে বিস্ময়কর মনে হবে কিন্তু মনে রাখতে হবে যে ওরা ২৩৭৭ সালের একতাবদ্দ হানাহানি বিহীন পৃথিবীর সন্তান। কম্পিউটারের মেমোরি মডিউলে বিষয়ভিত্তিক পরাশুনার যাবতীয় উপাদান সংরক্ষিত আছে।

বাস্তব পৃথিবীর অভিজ্ঞতা পাওয়ার জন্য কম্পিউটার প্রোগ্রামের সাহায্যে নিউরাল পোর্ট দিয়ে মস্তিস্কে পার্থিব অনুভুতির সৃষ্টি করা হয়। ফলে মহাকাশে জন্ম নিয়েও, একজন অনুভূতিশীল পরিপূর্ণ মানুষ হিসাবে একটি শিশু গড়ে উঠবে। এছাড়াও একই প্রক্রিয়ায় কাল্পনিক চরিত্রের সাথে মিথস্ক্রিয়ায় অংশগ্রহন করে সঠিক আচরন শেখা যাবে। এই দীর্ঘ মহাকাশ ভ্রমনে মনোবৈকল্য যাতে না ঘটে তার জন্যই এই সাবধানতা। 3 প্রায় ২৫০০ বছর পর মহাকাশযানটি তার কাঙ্ক্ষিত মহাবিশ্বের শেষ সিমানায় এসে পৌঁছল।

মহাকাশের একদিকে নিরেট অন্ধকার, কোন তারা নেই। এর অপর দিকে তারা ঝলমল করছে---মহাকাশের পরিচিত চেহারা। রিপিন দ্যা ফরটি ওয়ান্থ---মহাকাশযানটির অধিনায়ক কম্পিউটারকে মহাকাশের ঐ অন্ধকার দিককে বিশ্লেষণ করার জন্য একটি প্রব পাঠানোর নির্দেশ দিলো। বেশ কিছুক্ষন অপেক্ষা করার পরও অবস্থা একই রকম দেখা গেল। অর্থাৎ মহাকাশের অন্ধকার দিকটির প্রকৃতি সম্পর্কে কোন তথ্য জানা সম্ভব হল না।

এদিকে মহাকাশযানটি ঘুরতে ঘুরতে একটি অজানা অস্বাভাবিক কালচে ধূসর গ্রহের সামনে এসে পরল। একটি ব্লাকহোলকে ঘিরে গ্রহটি আবর্তিত হচ্ছে। গ্রহটির রঙ কালচে ধূসর হওয়ায় মহাকাশের সাথে মিশে গেছে যেন, সহজে চোখে পড়ে না। গ্রহটি স্ক্যান করে একটি আশ্চরজ বৈশিষ্ট্য লক্ষ করা গেল। গ্রহটি একটি নিখুঁত গোলক।

কোনও ভাবেই এই নিখুঁত গোলাকৃতির জন্য প্রকৃতিকে দায়ী করা যায় না। রিপিনরা সিদ্ধান্ত নিল যে গ্রহটিতে তারা নামবে। গ্রহটির একদিকে একটি ক্ষুদ্র আলোকবিন্দু দেখা গিয়েছিল, সেদিকেই তাদের যাওয়ার লক্ষ। শেষ পরজন্ত তারা সেই আলকবিন্দুতে এসে পৌছুলো। তারা সেখানে পৌঁছুন মাত্রই আলোকবিন্দুটি মানবাকৃতি নিল।

রিপিনরা আজানা আশঙ্কায় ভয় পেয়ে গেলো। কিন্তু অবয়বটি যেহেতু মানবাকৃতির, রিপিনরা কিছুটা আশ্বস্ত হল কারন অবয়বটি ভয়ঙ্কর আকার নিতে পারত। রিপিন দ্যা ফরটি ওয়ান্থ বলল, ‘আমি রিপিন দ্যা ফরটি ওয়ান্থ। প্রথম রিপিনের সাক্ষাৎ বংশধর। তুমি কে? এই গ্রহটি কি?’ অবয়বটি কিছুটা কেঁপে উঠে আবার আগের মত স্থির হয়ে বলল, ‘আমি এই গ্রহের নিয়ন্ত্রক।

এই গ্রহটি একটি সুপার-ডুপার সুপার কম্পিউটার। পুরো গ্রহটির বেশীরভাগ অংশই মেমোরি ব্যাংক দিয়ে গঠিত। এতে পুরো মহাবিশ্বের গ্যান, স্মৃতি সঞ্চিত আছে। এই গ্রহটি তৈরি করেছে মহাগ্যানি জাতি গায়ানরা। অবয়বটির কথা শুনে রিপিন 41 এর মনের সুপ্ত বাসনাটি জেগে উঠল, সে বলে উটল, ‘আমাদের মহাবিশ্বের সিমানা কোথায় আর আমাদের মহাবিশ্বের ওপারে কি আছে?’ অবয়বটি এমনভাবে বলা শুরু করল যেন মজা করছে, ‘মহাবিশ্বের সীমানা আছে তবে সময়ের এককে বিচার করলে তা ইস্থির নয়।

তুমি যদি কোন মহাকাশযান নিয়ে মহাবিশ্বের সীমানার শেষে চলে যাও এবং তারপর যদি তা অতিক্রমও কর তবে মহাবিশ্বের সিমানা বেড়ে যাবে তততুকুই যতটুকু তুমি যাবে। আসলে মহাবিশ্বের ওপারে আছে অন্যান্য অপরাপর মহাবিশ্বগুলি। অনেকটা জীবদেহে একটা কোষ যেমন অন্যান্য পার্শ্ববর্তি কোষগুলির সাথে সহাবস্থান করে, আমাদের মহাবিশ্বও সেরকম অবস্থায় আছে। আর তোমাদের পাঠানো প্রবটি ফিরিয়ে আন নইলে মহাবিশ্বের স্বাভাবিক আকার নস্ত হয়ে যাবে। রিপিন 41 সম্মতিসূচক মাথা নাড়ল।

এরপর রিপিন 41 জিজ্ঞেস করল, ‘অন্য মহাবিশ্বে যাওয়ার কোন উপায় আছে?’ অবয়বটি বলা শুরু করল, ‘এখন পরজন্ত আমাদের জানা মতে অন্য মহাবিশ্বে যাওয়া যাবে তবে তার জন্য আমাদের এই গোটা মহাবিশ্বের অর্ধেক শক্তি ব্যাবহার করতে হবে। তবে তোমরা হয়তো কোন দিন এর থেকে সহজ উপায় বের করে ফেলতে পার। তোমাদের যা করতে হবে তা হল তোমাদের কৌতূহলটাকে বজায় রাখা। আমার মেমরি মতে ৫০০০০ বছর আগে তোমাদের যে পুরবপুরুষ ঘাড়মোটার মধ্যে প্রথম কৌতূহলের বীজ বপন হয়েছিল তা আজ আরও বিকশিত। রিপিন জানতে চাইল, ঘাড়মোটার কথা এত দূরে থেকে আপনি কিভাবে জানলেন? অবয়বটি বলল, তোমরা যেমন বিদ্দুতচুম্বকিয় তরঙ্গের সাহায্যে যোগাযোগ করো তেমনি আমরা মহাবিশ্বের সংযোজক ইস্থানের সবচে ক্ষুদ্র একক string এর মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষা করে চলি।

ইস্থান-ই আমাদের যোগাযোগের মিডিয়া। তোমাদের ব্যাপারে আশান্বিত হতে গিয়ে অন্য আরেকটি কথা বলতে ভুলেই গিয়েছি তাহলো অন্য মহাবিশ্বে পদার্থবিজ্ঞ্যানের নিয়মও ভিন্ন রকম হতে পারে যা আমাদের জন্য বিপদজনক হতে পারে। রিপিন 41 এবার জিজ্ঞেস করল, ‘আমরা পৃথিবীতে কিভাবে তারাতারি ফিরতে পারি?’ অবয়বটি বলল, ‘আমাদের এদিককার মহাকাশে কোয়েজার পাওয়া খুব একটা দুর্লভ নয়, এটির সাহায্যে তোমরা সহজেই দ্রুত পোর্টাল তৈরি করে পৃথিবীতে ফিরে যেতে পারবে। একটি কোয়েজারের উজ্জ্বলতা একটি গোটা গালাক্সি থেকেও বেশি। তোমাদের কৌতূহল কিছুটা মিটানোর জন্য আমি তমাদেরকে মেমোরি মদিউলের একটি ক্ষুদ্র ভারসন দিচ্ছি।

বিদায় রিপিন 41। বিদায়। এরপর অবয়বটি অপসৃত হল। রিপিনরা মডিউলটি নিয়ে তাদের যানে ফিরে গেল। বিদায় গায়ান গ্রহ।

বিদায়। রিপিনদের, খবর পৌঁছে দিতে হবে প্রিথিবিতে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.