আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গ্লোবাল ওয়ার্মিং : পুরনো কথা

ইচ্ছেমতো লেখার স্বাধীন খাতা....

বিজ্ঞানী, অর্থনীতিবিদ, রাজনীতিবিদসহ সচেতন মানুষ বিশ্বব্যাপী পৃথিবী নামের গ্রহটির ভবিষ্যৎ নিয়ে এখন চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। সবাই জানেন গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের কারণে পৃথিবী আজ হুমকির সম্মুখীন। ভয়ঙ্কর এ পরিস্থিতিতে কোনো বিজ্ঞানীই নির্দিষ্ট করে বলতে পারছেন না, কি ঘটতে যাচ্ছে। হিমালয়ের কোন হিমবাহটি ছোট হয়ে যাচ্ছে বা গ্রিনল্যান্ডের বরফ কি পরিমাণ কমে যাচ্ছে...... এগুলো মাপা গেলেও সামগ্রিকভাবে বিষয়টির ভবিষ্যদ্বাণী করা যাচ্ছে না। বিভিন্ন দেশের সরকার, আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং ইউনিভার্সিটিগুলো এ বিষয়ে গবেষণা করার জন্য বহু লোক নিয়োগ করছে।

বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে জানাচ্ছেন, গ্রিনহাউস গ্যাস কমানোর জন্য দূষণকারী ইন্ডাস্ট্রিগুলোর সংস্কার করা এবং সংস্কারের অযোগ্য ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ করে দেয়া, সাধারণ গাড়ির পরিবর্তে ইলেকট্রিক এবং হাইব্রিড গাড়ির প্রচলন করা, ফ্রিজ, এসিসহ বিভিন্ন ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতিতে গ্রিনহাউস গ্যাস ব্যবহার না করা, বিকল্প জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানো ইত্যাদি উদ্যোগ প্রয়োজন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিজ্ঞানীদের এসব গবেষণা অর্থহীন থেকে যাচ্ছে। সরকারি নীতিনির্ধারকরা পরিবেশ প্রশ্নে ছাড় দিতে নারাজ কারণ এতে অর্থনীতির ক্ষতি হতে পারে। গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের কারণে সাম্প্রতিক পরিবেশ বিপর্যয়ের ঘটনাকে সাধারণ দুটি প্যারামিটার দিয়ে চিহ্নিত করা যায়, এক. বৃষ্টিপাত, দুই. সাইক্লোন, জলোচ্ছ্বাস, বন্যা ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। আমাদের বঙ্গোপসাগরের সাইক্লোনের মাত্রা বহুগুণে বেড়ে গেছে।

কিছুদিন আগে আমেরিকার উপকূলে পর পর তিনটি সাইক্লোন আঘাত হেনেছে। কোথাও খুব বেশি বৃষ্টি হচ্ছে আবার কোথাও একেবারেই বৃষ্টি হচ্ছে না। এখন প্রতি দশকে ৯% করে মেরু বরফ গলছে বলে বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন। গ্রিনল্যান্ডের বরফ গলে যাবার হার সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা যেমন বৃদ্ধি করছে তেমনি নষ্ট করছে আবহাওয়ার ব্যালেন্স। গ্রিনল্যান্ডের দক্ষিণ অংশে এবং এন্টারর্টিকার পূর্ব অংশে বরফ গলে যাচ্ছে কিন্তু গ্রিনল্যান্ডের উত্তর অংশে এবং দক্ষিণ মেরুর পূর্ব অংশে বরফ গলার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

কোথাও কোথাও তুষারপাতের ফলে বরফের পুরুত্ব বাড়ছে। এন্টারর্টিকার বরফের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে গেলে পৃথিবীর জন্য তা ডেকে আনবে মহা বিপদ। বছরে প্রায় ০.৪ মিলিমিটার করে গ্রিনল্যান্ডের বরফের পুরুত্ব কমছে। এই হার সমান থাকলে এক শতাব্দীতে মাত্র ৪ সেন্টিমিটার বরফ কমবে। কিন্তু এই হার সমান থাকছে না।

বিশ্ব যতো গরম হচ্ছে এই হার ততো বাড়ছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.