আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক!



একদিন বুদ্ধ বললেন, আমি সমস্ত মানুষের দুঃখ দূর করব। দুঃখ তিনি সত্যিই দূর করতে পেরেছিলেন কিনা সেটি বড়ো কথা নয়। বড়ো কথা হচ্ছে- তিনি এটি ইচ্ছা করেছিলেন, সমস্ত জীবের জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছিলেন। (বুদ্ধদেব-প্রসঙ্গ/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ) মানব-ইতিহাসের যেসব মহামানবের কথা আমরা জানি, তাঁদের মধ্যে গৌতম বুদ্ধকেই আমার কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় চরিত্র বলে মনে হয়।

রাজকীয় ভোগ-বিলাস ছেড়ে তিনি একদিন মানব-জীবনের রহস্য সন্ধান আর মানব-কল্যাণের উপায় আবিষ্কারের জন্য বেরিয়ে পড়েছিলেন। আর বুদ্ধুত্ব লাভের পর উচ্চারণ করেছিলেন সেই অমোঘ বাণী- 'পৃথিবীর সকল প্রাণী সুখী হোক। ' খেয়াল করা দরকার যে, তিনি শুধু মানুষের সুখই কামনা করেননি, করেছেন সকল প্রাণীর সুখ-কামনা। আর যিনি নিজের সমস্ত বৈষয়িক সুখ পরিত্যাগ করে দীর্ঘ সাধনার পর এমন একটি বাক্য উচ্চারণ করেন- তখন মনে হয়, তিনি যেন পৃথিবীর সকল প্রাণীর দুঃখ নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। তাঁর জীবনটিও ছিলো রোমাঞ্চকর।

একবার সেই জীবনের দিকে আমরা চোখ ফিরিয়েও দেখতে পারি। বহুকাল আগে সিদ্ধার্থ নামক এক চন্দ্রগ্রস্থ যুবরাজ, কোনো এক জোসনাপ্লাবিত ভরা পূর্ণিমার রাতে রাজ্য-রাজপ্রাসাদ-স্ত্রী-পুত্র-পরিজন ছেড়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন। আরেকটি অজানা পূর্ণিমায় যিনি বুদ্ধত্ব লাভ করেছিলেন- হয়েছিলেন গৌতম বুদ্ধ। শুধু কি ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়া? তাঁর জীবনের সমস্ত প্রধান ঘটনাগুলো ঘটেছে পূর্ণিমার রাতে। একে কি কাকতালীয় বলবো? নাকি অন্য কোনো ব্যাখ্যা আছে এর? তাঁর রূপকথার মতো জীবনকাহিনীর দিকে চোখ ফেরালেই হয়তো এর উত্তর পাওয়া যাবে।

রাজা শুদ্ধোধনের স্ত্রী রাণী মায়া একদিন স্বপ্নে দেখলেন- স্বর্ণের পর্বতে পরিভ্রমণরত ছয় দাঁত বিশিষ্ট একটি সাদা হাতি কোনো ব্যথা না দিয়েই তাঁর শরীরের বাঁ পাশ দিয়ে ঢুকে পড়লো। তিনি জেগে উঠলেন, রাজাকে জাগিয়ে স্বপ্নটা জানালেন। রাজা স্বপ্নের ব্যাখ্যা জানতে রাজ্যের সব জ্যোতিষীকে ডাকলেন। জ্যোতিষীরা ব্যাখ্যা দিলেন- রাণী এমন একজন পুত্রের জন্ম দেবেন যিনি হয় জগতের সম্রাট হবেন অথবা হবেন জাগ্রত ও আলোকিত এমন একজন মানুষ যিনি মানবজাতির মুক্তির জন্য নিজেকে উৎসর্গ করবেন। স্বাভাবিক প্রত্যাশা অনুযায়ী রাজা চাইলেন রাজপুত্রের ভাগ্যে প্রথমটিই ঘটুক- তাঁর পুত্র যেন জগতের সম্রাট হয়।

রাণী যে রাতে স্বপ্নটি দেখেছিলেন সেটি ছিলো পূর্ণিমার রাত। নির্দিষ্ট সময়ে কোনো বেদনা ছাড়াই রাণী একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দিলেন। একটি ডুমুর গাছ আনত হয়ে তাঁকে সহায়তা করলো। শিশুটি রাণীর দাঁড়ানো অবস্থাতেই ভূমিষ্ট হলো এবং জন্মের পরপরই উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিমে যথাক্রমে চার পা হাঁটলো এবং সিংহের স্বরে বললো- আমি তুলনাহীন, এটিই আমার শেষ জন্ম। শিশুটি যে রাতে ভূমিষ্ট হলো সেটিও ছিলো পূর্ণিমার রাত।

রাজা শুদ্ধোধন পুত্রের নাম রাখলেন সিদ্ধার্থ। তিনি তাঁর সন্তানকে নিয়ে একই সঙ্গে আশান্বিত এবং দুশ্চিন্তাগ্রস্থ। আশান্বিত- কারণ তাঁর পুত্র জগতের সম্রাট হবার সম্ভাবনা নিয়ে জন্মেছে। চিন্তিত- কারণ তিনি জ্যোতিষীদের কাছে জানতে পেরেছেন, তাঁর ছেলের গৃহত্যাগী হয়ে যাবার মতো বিপদজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। রাজপুত্র সিদ্ধার্থ যদি বার্ধক্য, জরা, মৃত্যু এবং কঠোর তপশ্চর্যা- জীবনের এই চারটি সত্য সম্বন্ধে জানতে পারেন তাহলে তিনি গৃহত্যাগী হয়ে সন্ন্যাসব্রত গ্রহণ করতে পারেন এবং জগতের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করতে পারেন।

বার্ধক্য, জরা, মৃত্যু এবং কঠোর তপশ্চর্যা- এই চারটি জিনিসের সঙ্গে যেন সিদ্ধার্থের কোনোভাবেই দেখা না হয় রাজা তার যাবতীয় ব্যবস্থা সম্পন্ন করলেন। পুত্রের জন্য রাজপ্রাসাদে একটি হেরেম তৈরি করলেন এবং সিদ্ধার্থকে এসব নিয়ে মেতে থাকার ব্যবস্থা করলেন। হেরেমে তাঁকে আনন্দ-সঙ্গ দেবার জন্য আট হাজার নারী ছিলো!! ষোল বছর বয়সে তাঁর বিয়ের ব্যবস্থাও করা হলো। রাজকুমার খুব সুখে জীবনযাপন করছেন- তিনি জানেনই না যে, জীবনে দুঃখকষ্ট নামক কোনো ব্যাপার আছে। তাঁকে বার্ধক্য, জরা, মৃত্যু এবং কঠোর তপশ্চর্যা থেকে দূরে রাখা হয়েছে।

একবার সিদ্ধার্থ বাইরে বেড়াবার বাসনা প্রকাশ করলেন। দিনও নির্ধারিত হলো, তাঁর বেড়াবার যাবতীয় ব্যবস্থা সম্পন্ন হলো এবং তাঁর বেড়াবার পথে ঐ চারটির কোনোটিই যেন কোনোভাবেই তাঁর সামনে না আসতে পারে সেজন্য কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলো। পূর্ব নির্ধারিত দিনে তিনি আয়তাকার রাজপ্রাসাদের চারটি গেটের একটি দিয়ে, ধরা যাক উত্তরের গেট দিয়েই, বাইরে বেরুলেন। কিছুক্ষণ ভ্রমণের পর তিনি ভিন্ন রকমের একটি জীব দেখতে পেলেন- জীবটি সম্পূর্ণভাবে ঝুঁকে পড়া এবং কুঞ্চিত, আর তার মাথায় কোনো চুল নেই। লাঠির ওপর ভর দিয়ে হাঁটে বলে সেটাকে কোনোভাবেই হাঁটা বলা যায় না।

এই ধরনের কোনো জীব রাজপুত্র ইতিপূর্বে দেখেননি। তিনি জিজ্ঞেস করলেন- এটি কোন ধরনের জীব! গাড়োয়ান তাকে জানালো- সে মানুষ, তবে বৃদ্ধ মানুষ। বার্ধক্য তাকে আক্রান্ত করেছে। আর আমরা বেঁচে থাকলে সবাই একদিন তার মতোই হবো। কারণ মানুষের জীবনে বার্ধক্য এক অনিবার্য সত্য।

রাজকুমার প্রাসাদে ফিরে এলেন। তার মাথায় নানা চিন্তা। এর ছয়দিন পর তিনি আবার বেরুলেন- এবার ধরা যাক দক্ষিণের গেট দিয়ে। এবার তিনি একটি ডোবার মধ্যে একজন লোককে দেখতে পেলেন- লোকটির মুখ বিকৃত আর সারা শরীরে সাদা সাদা দাগ। লোকটি ছিলো কুষ্ঠরোগী।

যথারীতি রাজকুমার এরকম কোনো ব্যক্তির সঙ্গে পরিচিত ছিলেন না এবং জিজ্ঞেস করে জানতে পারলেন- লোকটি রোগ(জরা)গ্রস্থ, এবং আমাদের সবাইকেই জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে এরকম জরার মুখোমুখি হতে হবে। রাজকুমার প্রাসাদে ফিরে এলেন। তাঁর মাথায় নানা জটিল চিন্তা। এর ছয়দিন পর তিনি আবার বেরুলেন। এবার তিনি দেখলেন একজন মৃত ব্যক্তিকে।

এবার তিনি জানলেন প্রতিটি মানুষকেই একদিন মরতে হবে। মৃত্যুর সঙ্গে পরিচয় ঘটলো তাঁর। রাজকুমার প্রাসাদে ফিরে এলেন। তাঁর মাথায় নানা জটিল চিন্তা। এর ছয়দিন পর তিনি বেরিয়ে দেখা পেলেন এমন একজন লোকের যিনি জীবনের সকল বৈষয়িক সুখ পরিত্যাগ করে সাধনার পথ বেছে নিয়েছেন।

তাঁর মুখে এক আশ্চর্য দীপ্তি ও সুখ দেখে প্রাসাদে ফিরলেন সিদ্ধার্থ। রাজপুত্রের জীবন থেকে সকল সুখ বিদায় নিয়েছে। বার্ধক্য, জরা, মৃত্যু এবং কঠোর তপশ্চর্যা এই চারটির সঙ্গে তাঁর পরিচয় ঘটেছে। রাজপ্রাসাদের সুখ তাঁর সহ্য হচ্ছে না- মানুষের চিন্তায় তিনি ব্যাকুল। ঘরে মন টিকছেনা তাঁর।

এমনই এক সময়ে তিনি খবর পেলেন- তাঁর স্ত্রী একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। সংবাদ শুনে তিনি বললেন- রাহুলের জন্ম হলো! রাহুল মানে শেকল, পুত্রের জন্মকে তিনি শেকলের জন্ম হিসেবে দেখেছিলেন!! এর কিছুদিন পরই তিনি ঘর ছেড়ে গোপনে বেরিয়ে গেলেন। বেরুনোর আগে তিনি স্ত্রী-পুত্রকে দেখতে গেলেন এবং রাহুলকে চুম্বন করলেন। ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও স্ত্রীকে স্পর্শ করলেন না তিনি- করলে এদের ছেড়ে চলে যেতে পারবেন না এই ভয়ে। যে রাতে তিনি গৃহত্যাগ করলেন সেটা ছিলো পূর্ণিমার রাত।

এরপর তিনি কঠোর তপস্যায় নিয়োজিত হলেন। তপস্যার এক পর্যায়ে তিনি একবার মারাত্নক অসুস্থ হয়ে পড়লেন। একটি বানর মধু দান করে তাঁকে বাঁচিয়ে তুললো। সেটিও ছিলো পূর্ণিমার রাত। সাধনা করতে করতে এলো এক দীর্ঘ রাত।

এই রাতের পরই সিদ্ধার্থ আর সিদ্ধার্থ থাকলেন না, হয়ে গেলেন বুদ্ধ। জগতের সকল প্রাণীর দুঃখ নিজ কাঁধে তুলে নিয়ে যিনি সবার জন্য সুখ কামনা করলেন। যে রাতে তিনি এই বুদ্ধুত্ব অর্জন করলেন বা নির্বাণ লাভ করলেন সেটিও ছিলো পূর্ণিমার রাত। শুধু তাই নয় তিনি মৃত্যুবরণও করেছিলেন পূর্ণিমার রাতে। একজন মহাপুরুষের জীবনে এতসব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা কেবল পূর্ণিমার রাতেই ঘটার কারণ কি, ব্যাখ্যাই বা কি? সত্যিই সেগুলো পূর্ণিমার রাতেই ঘটেছিলো কী না- এ প্রশ্নও অবশ্য কেউ কেউ তুলতে পারেন।

কিন্তু সত্যিই ঘটেছিলো কী না সেটা আদৌ গুরুত্বপূর্ণ নয়। সেগুলো যদি পূর্ণিমার রাতে না-ও ঘটে থাকে, গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো, বুদ্ধ এভাবেই তাঁর জীবনের ঘটনাগুলোকে বর্ণনা করেছেন। এর মানে কি? এর মানে কি এই নয় যে, বুদ্ধের কাছে পূর্ণিমা একটা বিশেষ ব্যাপার ছিলো? আমার তো মনে হয় বুদ্ধ ছিলেন পুরোপুরি চাঁদে পাওয়া একজন মানুষ। যাকে বলে চন্দ্রগ্রস্থ (ইংরেজিতে- লুনাটিক) তিনি ছিলেন তা-ই। এই ধরনের মানুষগুলো পূর্ণিমায় হয়ে পড়ে ঘোরগ্রস্থ।

সম্ভবত বুদ্ধও হতেন। কোনো এক পূর্ণিমার রাতে তাঁর ঘর ছেড়ে যাওয়ার ব্যাপারটা আকস্মিক কোনো ঘটনা নয়। ঘর ছাড়ার প্রবণতা তার মধ্যে আগে থেকেই ছিলো, জোৎস্না হয়তো তাকে এই ব্যাপারে আরো বেশি ইন্ধন জোগাতো, আর পূর্ণিমা তাকে করে তুলতো ঘোরগ্রস্থ-পাগলপ্রায়। জীবনের কোনো এক সময়ে এই ঘোর এত ভয়ংকরভাবে ক্রীয়াশীল হয়ে উঠেছিলো যে, ঘর-সংসার-স্ত্রী-পুত্র-পরিজন-রাজ্য-রাজপ্রাসাদ সবই তার কাছে তুচ্ছ হয়ে যায়, তিনি ঘর ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন। শুধু তাই নয়, তাঁর জন্ম-মৃত্যু ও বুদ্ধুত্ব লাভ সবই ঘটেছিলো পূর্ণিমায়- এমনকি বৌদ্ধদের সমস্ত ধর্মীয় উৎসব কোনো না কোনো পূর্ণিমাকে কেন্দ্র করেই ঘটে।

এর মানে কি এই নয় যে, চাঁদকে তিনি বাড়াবাড়ি রকমের ভালোবাসতেন, চাঁদকে কেন্দ্র করেই তার সমস্ত কর্মকাণ্ড পরিচালিত হতো? পৃথিবীর অন্য কোনো ধর্মে তো চাঁদের এই আধিক্য দেখা যায় না! এই যাঁর চরিত্রের ধরন, তিনি যে তাঁর সাধনা শেষে প্রেম আর অহিংসার কথা বলবেন তা আর অস্বাভাবিক কি? পৃথিবীর সকল প্রাণীর প্রতি তাঁর বুক যে মমতায় ভরে থাকবে তা-ও তো স্বাভাবিক। রবীন্দ্রনাথের আকেটি কথা দিয়ে এই প্রসঙ্গ শেষ করা যাকঃ বুদ্ধদেব যে দুঃখনিবৃত্তির পথ দেখিয়ে দিয়েছেন সে পথের সবচেয়ে বড়ো আকর্ষণ কী? সে এই যে, অত্যন্ত দুঃখ স্বীকার করে এই পথে অগ্রসর হতে হয়। এই দুঃখ স্বীকারের দ্বারা মানুষ আপনাকে বড়ো করে জানে। খুব বড়ো রকম করে ত্যাগ, খুব বড়ো রকম করে ব্রতপালনের মাহাত্ন্য মানুষের শক্তিকে বড়ো করে দেখায় বলে মানুষের মন তাতে ধাবিত হয়। ...।

বিশেষ স্থানে গিয়ে, বিশেষ মন্ত্র পড়ে, বিশেষ অনুষ্ঠান করে মুক্তিলাভ করা যায়, এই বিশ্বাসের অরণ্যে যখন মানুষ পথ হারিয়েছিলো, তখন বুদ্ধদেব অত্যন্ত সহজ কথাটি আবিষ্কার ও প্রচার করবার জন্য এসেছিলেন যে, স্বার্থত্যাগ করে, সর্বভূতে দয়া বিস্তার করে, অন্তর থেকে বাসনাকে ক্ষয় করে ফেললে তবেই মুক্তি হয়; কোনো স্থানে গেলে, বা জলে স্নান করলে, বা অগি্নতে আহুতি দিলে, বা মন্ত্র উচ্চারণ করলে হয় না। এই কথাটি শুনতে নিতান্তই সরল, কিন্তু এই কথাটির জন্যে একটি রাজপুত্রকে রাজ্যত্যাগ করে বনে বনে, পথে পথে, ফিরতে হয়েছে। (বুদ্ধদেব-প্রসঙ্গ/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ) [আজ বুদ্ধ-পূর্ণিমা। হঠাৎ করেই মনে হলো বুদ্ধদেব সম্বন্ধে কিছু লেখা যাক।

তাই এই লেখা। তবে এখানে তাঁর যে জীবনকাহিনীটি বিবৃত হয়েছে, সেটি আমি আমার অন্য একটি লেখায়ও ব্যবহার করেছিলাম। পূণরাবৃত্তির জন্য পাঠকরা কিছু মনে করবেন না আশা করি। ]

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.