আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নেশার জগতের বাইরের জগতের রুপ।একটি ছেলের গল্প ও সমাপ্তি।।

খুব সহজেই হয়ত বোঝা যায় যে মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলেরা নেশা খায়, কিন্তু অনেকে হয়ত বলে সঙ্গদোষে। । আসলে ব্যাপারটা অনেক সময় থাকে প্রথম প্রেমের ছ্যাকা খাওয়া থেকে, পারিবারিক অশান্তি থেকে,অর্থাভাবে, লেখাপড়া শিখেও কোন মূল্যায়ন হয়না। তবে অতিরিক্ত শাসনেও ছেলে নষ্ট হয় আর অতিরিক্ত আদরে তো বলার বাইরে। ।

একটি ছেলের গল্প বলি, এইচ,এস,সি পরীক্ষার এক বছর আগে রিলেসনসিপ হয়েছিল। বছর যায় পাশ করে ছেলেটা, ২ বছর মেয়েটার সাথে সম্পর্ক চলতেছে। মেয়েটি এক বছরের জুনিয়ার ছিল তাই সে পাশ করার পরে বিয়ে ঠিক হয়,মেয়েটি চলে যায়। ছেলেটার ঐ একজনই ছিল ভালবাসার মানুষ বলে,খুব ভালবাসত মেয়েটি তাকে। ছেলেটি ব্লেড হাতে নিয়ে বসে নিজের রক্ত ঝরায়।

সারারাত কাঁদে,তারপর শুরু হয় নেশার জগত। কষ্ট ভুলতে এই একটি জিনিসই আছে যেটার জন্য কষ্ট ভোলা যায়। একটি সময় হয়ত উপলব্ধি আসে যে সে ভুল করছে তাই সে ভালবাসতে শিখে। যে ছেলেটি সিগারেট ভাল টানতে পারত না,সে সবার ভিতর বেশি নেশা করতে পারে। বড়লোকের ছেলেদের খারাপ হওয়ার পিছনে থাকে বাপের অগাধ টাকা,ফেসনেবল ভাব,বাবা মায়ের কেয়ারনেস পোলাপাইনরা।

। যাই হোক এই গল্পের ছেলেটির লেখাপড়ার লাইফটাই শেষ হল ছেলেটির জীবন। তবুও সে হাসতে শিখেছে ভাল ভাবে মিশতে পারে নিজের কাছে নিজেরই বিস্ময়। এক বুক দুঃখ নিয়ে ভিতরে খরা হয়েছে,চোখ দিয়ে পানি বের হয়না এখন আর। কষ্ট লাগেনা কেউ মারা গেলেও।

সবকিছুতেই সে চেষ্টা করে ভুলে যেতে পারেনা। তাই অনেক কিছু হারানোর বেদনায়, নিজেকে সর্বনাশ করে হাতড়িয়ে বেড়ায় অন্ধকার আর হতাশার ভিতর। কি করবে কি হবে নাকি মরেই যাবে,মুক্তি পাবে সবাই। এভাবেই আবার খারাপ হয়ে যায় এবং নামতে নামতে জগন্যতর মানবে পরিনত হয়। হারিয়ে যায় মানবিকতা,পাষান হয়ে যায় ব্যাবহার, বাঁচতে গেলে ভালভাবে বাঁচতে হবে এই ভেবেই নেমে পড়ে সন্ত্রাসীর রুপ নিয়ে।

হয়ত তার প্রতিশোধের ঋণের শোধ নিতে হয়ত একদিন নিজেও হারিয়ে যায়। । নেশা এমনই একটা জিনিস যেটা তাকে পাগল হতে দেয়নি বেঁচে থাকা শিখিয়েছে। নেশাকে কেন ছাড়বে কি পাবার আশায় সেটা হয়ত জানা নেই। যেদিন বুঝবে তখন আর সময় থাকবেনা।

সময় গেলে সাধন হবেনা। । । ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৩ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।