আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পন্য বর্জনের মতো ছেলেমানুষি ও বাস্তবতা বিবর্জিত আবেগ নয়, সুরক্ষিত সীমান্ত হোক গণদাবী!

"রাজনীতি মানুষের কাজ, ছাগুদের উচিৎ কাঁঠাল পাতা চিবানো, লোকালয় থেকে দূরে গিয়ে!"

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কিছু ব্যাপার যা আমরা সব সময় এড়িয়ে যাইঃ -বিজিবি দুর্নীতিপরায়ণ, সীমান্তে টাকা পয়সার লেনদেন হয় চোরাচালান ও পারাপারে সহযোগীতা করার বিনিময় ! -ভারতীয় গরু অবৈধ পারাপার করার মাধ্যমে ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশই রাজস্ব বঞ্চিত হয়। -ট্রান্সপাস বন্ধ করা সম্ভব হলে ফেন্সিডিল-ইয়াবাসহ নানাবিধ নেশাদ্রব্যের সাপ্লাই ৬০% কমে যাবে কারন মোট নেশাদ্রব্যের এই অংশটা আসে ভারত থেকে। -ভারতের সীমান্ত নীতি এগ্রেসিভ, কিন্তু শুধু আমাদের সাথে নয়। পাকিস্তান সহ আরও কিছু বৈরি প্রতিবেশী রয়েছে তাদের যাদের সাথে প্রায়ই যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করে। -বিএসএফ প্রচণ্ড দুর্নীতিপরায়ণ এবং টাকা পয়সা নিয়ে ঝামেলা হলে মেরে বাংলাদেশের সীমান্তে ফেলে রাখার ঘটনা অহরহই ঘটছে। তাই ভারতীয় পন্য বর্জনের চিন্তা ও এর মাধ্যমে সমাধান করার চিন্তাটি অযৌক্তিক, অবান্তর ও সময় সাপেক্ষ! বাংলাদেশের উপরে ভারতের অর্থনীতির কতো শতাংশ নির্ভর করে? আর আমাদের অর্থনীতির উপরে তাদের কতো শতাংশ?? বাস্তবতা হচ্ছে আমাদেরকে সচেতন হতে হবে, চাপ সৃষ্টি করতে হবে বিজিবির উপর! নিজেদের নাগরিকদের সামলে রাখাও তো তাদের দায়িত্ব, তারা কি ঠিকভাবে তা করছে?? ফেলানীকে নিয়ে আমার মাঝেও আবেগ কাজ করে যা আরদশটা বাঙালির থেকে কম নয় মোটেই, কিন্তু অতি আবেগ কি সুফল দিতে পারে? বাস্তবতা কি বলে? আমরা ভারতের সাথে যুদ্ধ করবো ? পন্য বর্জন করে ভারত নামক হস্তীর পায়ে সুঁই এর খোঁচা দেবো? না কি নিজেদের নাগরিকদের সামলে রাখবো? দেশের সীমানায় রাখবো? যা বৈধ তাই তো উৎসাহিত হওয়া উচিৎ, নয় কি? 'শুধু' মাতম জানিয়ে আমরা কি অবৈধ অনুপ্রবেশে পরোক্ষ সমর্থন দিচ্ছি না? অবৈধ পারাপার বন্ধ, সুরক্ষিত এবং অযাচিত অনুপ্রবেশহীন নোম্যানস ল্যান্ডই হোক আমাদের দাবী, বিএসএফ এর করা খুনকে যেমন আমরা নীতিগতভাবে সমর্থন করতে পারি না তেমনি অধিকার রাখি না চোরাচালান ও অবৈধ অনুপ্রবেশ এর মতো অপরাধটিকেও সমর্থন দেবার। ভারতীয় সীমান্ত নীতি তো আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই বরং আমরা আমাদের নাগরিকদের সচেতন করছি না কেন? বিজিবিকে সক্রিয় ও দুর্নীতিহীন হবার দাবী জানাচ্ছি না কেন??

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.