আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সতের শতকে প্রতিপক্ষ ছিল বিজ্ঞান, একুশ শতকে মিডিয়া



সতের শতকে প্রতিপক্ষ ছিল বিজ্ঞান, একুশ শতকে মিডিয়া। ভ্যাটিক্যানের সেই লড়াই এখনও চলছে। সংস্কারের বিরুদ্ধে ধর্মের লড়াই। ধর্ম বলেই হয়তো বিষয়টি স্পর্শকাতর। আন্তর্জাতিক মিডিয়াও চুপসে গেছে ঘটনায়।

সপ্তদশ শতাব্দিতে আক্রমণের লক্ষ্য ছিল বিজ্ঞানী গ্যালিলিও। আর এখন হ্যারি পটার। ঈশ্বর পৃথিবীকে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করিয়েছেন, তাই পৃথিবী নড়তে পারে না। বাইবেলের এই ভাষ্যের বিরুদ্ধে গিয়ে গ্যালিলিও বললেন, পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘোরে। এই অপরাধে ১৬৩৩ সালে ধর্মজ্ঞানীদের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছে গ্যালিলিওকে।

আমৃত্যু গৃহবন্দি ছিলেন তিনি, নিষিদ্ধ হয়েছিল তার লেখা। ধর্মের সঙ্গে লড়াইয়ে শেষতক বিজ্ঞানেরই জয় হয়েছে। ১২ বছর আগে ভুল স্বীকার করে গ্যালিলিওকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেন পোপ দ্বিতীয় জন পল। তবে কট্টরপন্থি বলে পরিচিত ষোড়শ বেনেডিক্ট তা' মানতে পারেননি। পোপ হওয়ার বহু আগে ১৯৯০ সালে এক বক্তৃতায় তিনি বলেছিলেন, গ্যালিলিও’র বিচার যথার্থ হয়েছিল।

এ বক্তব্যে প্রতিবাদের ঝড় ওঠেছিল ইতালিতে। লা সাপিয়েনজে বিশ্ববিদ্যালয়ে বেনেডিক্টের সফরের প্রতিবাদ জানিয়েছিল শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীরা। সফর বাতিল করতে বাধ্য হয়েছিলেন বেনেডিক্ট। ফের লড়াই শুরু। এবার ভ্যাটিক্যান বনাম হ্যারি পটার।

‘শিশুদের মন বিষিয়ে দিচ্ছে পটার সিরিজ। খ্রিস্টের ওপর বিশ্বাসে আঘাত হানছে। পটারকাহিনী আসলে জাদুবিদ্যার প্রোপাগান্ডা ছড়ায়। এগুলো শয়তানি ভাবনা’Ñ এ ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছে হ্যারি পটারের ওপর। বইকে যদি কাল ছাপানো মিডিয়া বলে আপনি মেনে নেনÑ মোটা দাগে, এটা ভ্যাটিক্যানের সঙ্গে মিডিয়ার লড়াই।

আরো মজার ব্যাপার হলো, হ্যারি পটারকে দোষারোপ করে প্রবন্ধটি বেরিয়েছে ভ্যাটিক্যানের নিজস্ব সংবাদপত্রে। সেটাও মিডিয়া। ফ্লোরেন্স বিশ্ববিদ্যালয়েল অধ্যাপক এডোয়ার্ড রিয়ালতি লিখেছেন এ প্রবন্ধটি। লেখিকা জে কে রাওলিং অবশ্য এ ব্যাপারে এখনো মুখ খোলেননি।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.