আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রিসার্চ বিষয়ক সাত সতের

যদি নির্বাসন দাও.................................................................. আমি ওষ্ঠে অঙ্গুরী ছোঁয়াবো আমি বিষ পান করে মরে যাবো! বিষণ্ন আলোয় এই বাংলাদেশ নদীর শিয়রে ঝুঁকে পড়া মেঘ, প্রান্তরে দিগন্ত নির্নিমেষ- এ আমারই সাড়ে তিন হাত তুমি।

রিসার্চ নিয়ে আমাদের মধ্যে অনেকেই যথেষ্ঠ সময় ব্যয় করেন। তাই আজ একটু চেষ্টা করবো রিসার্চ নিয়ে দু 'একটা কথা বলার জন্য। যদিও এসব লেখার পাঠক সম্পর্কে ধারণা নেই তবু একজনও যদি এখান থেকে কিছু ধারণা পেয়ে থাকেন তবে কষ্ট সার্থক মনে হবে। প্রথমেই একটা উক্তি দিয়ে শুরু করি।

When u follow only one reference it is copy (fake), when u follow two references then it is plagiarism, and if u follow more than two references then it is research. এতো গেল রিসার্চ নিয়ে মজার উক্তিটা। আসলে রিসার্চ করার জন্য সবার প্রথমে দরকার এপ্রোচ ঠিক করা। অর্থাৎ আপনি কোন এপ্রোচ ফলো করবেন। কারেক্ট এপ্রোচ ফলো করতে না পারলে আপনার রিসার্চ খুব অগোছালো হবে এবং আপনি সফল নাও হতে পারেন। রিসার্চ ক্ষেত্রে মোট তিনটা এপ্রোচ দেখা যায়।

1. কোয়ান্টিটেটিভ এপ্রোচ - সবেেচয়ে বেশি ব্যবহৃত এপ্রোচ রিসার্চের ক্ষেত্রে। সাধারণত কোয়ান্টিটেটিভ ডাটা যখন কোন রিসার্চের কি-পয়েন্টে থাকে তখন এই এপ্রোচ ব্যবহার করা হয়। এই মেথডে রিসার্চ করার সময় দুটো জিনিসকে প্রাধান্য দেয়া হয় : এক্সপেরিমেন্ট আর সার্ভে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, আপনি একটা রিসার্চ করছেন যার উদ্দেশ্য হচ্ছে অনলাইন এজু্যকেশনের ইফেক্টিভ লার্নিং মেথড নিয়ে। এই ক্ষেত্রে আপনি কোয়ান্টিটেটিভ এপ্রোচ ফলো করতে পারেন এবং ডিপেন্ড করতে পারেন এক্সপেরিমেন্টের উপর।

2. কোয়ালিটেটিভ এপ্রোচ- এই এপ্রোচটি বেশি ব্যবহৃত হয় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ক্ষেত্রে। রিকোয়ারমেন্টস ইঞ্জিনিয়ারিং-এর বিরাট অংশ জুড়ে আছে এই মেথডটি। এই ক্ষেত্রে অনেকগুলি সোর্স থেকে ইনফরমেশন সংগ্রহ করে রিসার্চ পরিচালনা করতে হয়। ধরুন, আপনি রিসার্চ করছেন- একটা সফটওয়্যারের উপযোগিতা সম্পর্কে। এেেত্র আপনি এই এপ্রোচ ইউজ করতে পারেন।

অনেকগুলো উপায়ে আপনাকে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে, যেমন- সরাসরি ক্লায়েন্ট বা স্টেকহোলডারের ইন্টারভিউ, টেলিফোন ইন্টারভিউ, অবজারভেশন, কোয়েশ্চনারি ইত্যাদি। 3. মিক্সড এপ্রোচ - এই রিসার্চ এপ্রোচে আগের দুটোকেই ফলো করা হয়। যেসব রিসার্চে নিউমারিক এবং টেক্সট ইনফরমেশন দুটোই থাকে সেসব ক্ষেত্রে এই এপ্রোচ ব্যবহার করা যায়। যেমন- আপনি একটা কম্পারেটিটিভ স্টাডি করতে চাচ্ছেন ইন্টেল, এ.এম.ডি আর আই.বি.এম প্রসেসর এর উপর। আপনি নির্দ্বিধায় মিক্সড এপ্রোচ ফলো করতে পারেন।

তথ্য বা উপাত্ত সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে কোয়ান্টিটেটিভের সার্ভে মেথড আর ইউজার কমপ্যাটিবেলিটি জানার জন্য কোয়ালিটেটিভের ইন্টারভিউ বা কোয়েশ্চনারি এপ্রোচ। একটা জিনিস মনে রাখবেন রিসার্চ করার ক্ষেত্রে অবশ্যই নির্ভর করবেন ইন্টারন্যাশনাল জার্নালের উপর। যেমন IEEE, ACM journal ইত্যাদি। ওয়েবসাইটের অধিকাংশ ইনফরমেশন বায়াসড হওয়ার যথেষ্ঠ সম্ভাবনা থাকে তাই এটাকে ওমিট করার চেষ্টা করাই শ্রেয়। ** যদি আপনাদের সাড়া পাওয়া যায় তবে রিসার্চ এপ্রোচগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত লিখবো।

নতুবা এটাই প্রথম, এটাই শেষ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.