আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দেশব্যাপী জামায়াত-শিবিরের সংঘবদ্ধ তান্ডব। সময় এলো "দেখামাত্র গুলি করার অফিসিয়াল নির্দেশ দেবার।"

যা বিশ্বাস করি না, তা লিখতে-বলতে চাই না, পারবোও না। কিন্তু যা বিশ্বাস করি, তা মুখ চেপে ধরলেও বলবো, কলম কেড়ে নিলেও লিখবো, মারলেও বলবো, কাটলেও বলবো, রক্তাক্ত করলেও বলবো। আমার রক্ত বরং ঝরিয়েই দাও, ওদের প্রতিটি বিন্দুর চিৎকার আরও প্রবল শূনতে পাবে। গতকাল রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে তাণ্ডব চালান শিবিরের কর্মীরা। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আটক শীর্ষস্থানীয় নেতাদের মুক্তি ও ট্রাইব্যুনাল বাতিলের দাবিতে ‘বিক্ষোভের’ নামে তাঁরা সহিংস তত্পরতা চালিয়েছেন।

তাঁদের হামলায় রাজধানীতে মতিঝিল থানার ওসিসহ পুলিশের অন্তত ২১ জন সদস্য আহত হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে চার দফায় ১৩টি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তাণ্ডবের ঘটনায় গতকাল রাতে মতিঝিল ও পল্টন থানায় চারটি মামলা হয়েছে। পুলিশ বাদী হয়ে দ্রুতবিচার আইনে দুটি এবং গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে দুটি মামলা করে। ওই মামলায় ৩০ জনকে আসামি করা হয়।

ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, দিনাজপুর, সাতক্ষীরা, জয়পুরহাট, ফরিদপুর, বগুড়া, সুনামগঞ্জসহ দেশের কয়েকটি স্থানে ছাত্রশিবিরের কর্মীরা লাঠিসোঁটা হাতে রাস্তায় নেমে বেপরোয়া গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন এবং পুলিশের ওপর হামলা চালান। এতে পুলিশের অন্তত ৩০ জন সদস্য আহত হন। সোমবার দুপুরে শিবিরের হামলায় আহত পুলিশ সদস্যদের কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে দেখতে যান পুলিশের আইজি হাসান মাহমুদ খন্দকার। তার সঙ্গে ছিলেন ডিএমপি’র কমিশনার বেনজির আহমেদ। তিনি হাসপাতালের তিন নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন কনস্টেবল মোকলেছুর রহমান (কং: ৭১৪৭) এর খোঁজ-খবর নেওয়ার সময় তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘‘অস্ত্র ছিলো না, গুলি করতে পারোনি? এখন থেকে শিবির দেখামাত্র গুলি করবা।

’’ এর পর চার নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন পায়ে আঘাত পাওয়া কনস্টেবল জিয়াউরকে (কং: ২৭২৯) উদ্দেশ্যে করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘‘পায়ের আঘাত সুস্থ হয়ে ওদের পা ভেঙ্গে দিবা” গতকাল অনেকেই মন্তব্যগুলোর প্রতিবাদ করেছেন। শিবির কর্মীদের দেখা মাত্র পুলিশকে গুলির নির্দেশ দেন ডিএমপি’র কমিশনার। খোদ পুলিশ প্রধান আইজিপির সামনে তিনি এ নির্দেশ দেন। কিন্তু কেন এই প্রতিবাদ? যেখানে প্রতিবাদ করার কথা এমন নেক্কারজনক তান্ডব চালানোর! এমন নির্মম ভাবে অতর্কিতে, কোনরূপ কর্মসূচি ছাড়া, মানুষের উপরে হামলা করা ও পুলিশকে নির্মমভাবে পেটানো সন্ত্রাসীদের জন্যে কিসের মানবতা? তাহলে তো মানবতা দেখাতে হত শায়খ আব্দুর রহমানের উপরেও! বাংলা ভাই কি করেছিল তাহলে? বোমাবাজি, হত্যাকান্ড, জনগনের উপরে হামলা তো তাদেরও অপরাধ ছিল! সকালে থেকে শিবির কর্মীরা রাজধানীর দৈনিক বাংলা, মতিঝিল, স্টেডিয়াম এলাকা, জিরো পয়েন্ট ও সচিবালয় এলাকায় তাণ্ডব চালান। এ সময় পুলিশের সঙ্গে শিবির কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

সে সময় মতিঝিল থানার অফিসার ইনচার্য (ওসি) হায়াতুজ্জামান, পেট্রোল ইন্সপেক্টর সানোয়ার, অপারেশন অফিসার সাজ্জাদ হোসেন, সার্জেন্ট গোলাম সারোয়ারসহ ১৮ পুলিশ সদস্য আহত হন। তাদের কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষস্থানীয় নেতাদের মুক্তির দাবিতে টানানো ব্যানার নামানোর ঘটনায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল এলাকা। গতকাল সোমবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিশ ও জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১২ জন আহত হন। এঁদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হন চারজন।

পুলিশ চার শতাধিক গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের ৩৭টি শেল ছুড়ে জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা পুলিশের ওপর ১৫-১৬টি গুলি ছোড়ে। গতকাল রাত আটটা পর্যন্ত ১৭ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তবে যে ব্যানার নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত, সেই ব্যানারটি নামানো হয়নি। যারা বলছেন গৃহযুদ্ধের কথা, দেশে অরাজকতা হবে, সেসব ধর্মান্ধর উন্মাদ এর কাছে এটা কি যথেষ্ট অরাজক অবস্থা মনে হচ্ছেনা? এরইমধ্যে, ছাত্রশিবির আগামীকাল বুধবার লক্ষ্মীপুর জেলায় আধাবেলার হরতাল ডেকেছে।

গতকাল সোমবার রাত তিনটার দিকে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক আতিকুর রহমান ও সমাজসেবা-বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এ হরতাল ডাকা হয়। RTV সহ অন্যান্য টিভি নিউজের ভিডিওতে জামায়াত শিবিরের তান্ডবের খন্ডচিত্র উঠে এসেছে। এই পাকিস্তানি গুন্ডাবাহিনী ও ক্ষমতালোভী ইসলামী নামধারী কর্মীরা রক্তের নেশায় ঝাপিয়ে পড়ে রাজপথে। ইসলামের ধুয়া তুলে কথার তুবড়ি ছোটানো দলটি কতবার "ইসলাম" বিষয়ক কাজে মাঠে নেমেছে সেটি গবেষনার বিষয়। কিন্তু হ্যা, ইস্যু যখন পেশী শক্তি প্রদর্শন ও ক্ষমতার জন্যে খুনোখুনি, অন্য দুই গুন্ডা ছাত্রদলের থেকেও অগ্রগামী দেখা যায় এই দলটিকেই।

দেশের বিরুদ্ধে ওরা যুদ্ধে ছিল, আছে এবং থাকবে। মরণপণ প্রতিজ্ঞা নিয়ে ওরা নেমেছে, দেশকে ধ্বংশ করে ফেলার নিমিত্তে। মরলে সহীদ, বাঁচলে গাজী নাকি ওদের স্লোগান। আওয়াজটি ঠিক একাত্তুরের রাজাকারদের মতই শোনায়, দেশের বিরুদ্ধে একজন দেশদ্রোহীর আওয়াজ। বিনা উসকানিতে পুলিশের উপরে হামলা করে নির্মমভাবে পেটানো হয়, ভাংচুর করা হয় অসংখ্য গাড়ি।

এই সময় নারী শিশু সহ সবাই আতঙ্কের মধ্যে পড়ে যায়। চলমান গাড়ি ব্যারিকেডের ফাঁদে ফেলে দিয়ে অতর্কিতে হামলা করে শিবির কর্মীরা। এই হামলা প্ল্যান করে করা হয় ও এজেন্ডা ধরেই করা হয়। জামায়াত চুপ থাকলেও বাচ্চু রাজাকারের ফাঁসি নিয়ে তার প্রাণপ্রিয় কর্মীরা কি আর চুপ থাকতে পারে? এমনকি শিবির যে সম্পূর্ণ একটি নোংরা রাজনৈতিক দুর্গন্ধযুক্ত দল সে বিষয় যে সন্দেহ কোনদিনও কারো ছিলনা, তা প্রমানে মাঠে নেমে পড়েছে বীর(!) সন্তানেরা। তারা স্পষ্ট জানে বাচ্চু কি কি অপরাধে ও কেন দোষী।

এই বিষয়ে তাদের কদাচিত তর্ক করতে দেখা যায়, কিন্তু রাজনৈতিক ফায়দা যেখানে ইস্যু, ন্যায়-নীতির তোয়াক্কা দলটি থোরাই করে। এভাবে জনমনে আতংক ও ত্রাস সৃষ্টি করে ইসলামের ঝান্ডা তারা কোথায় তুলছে বা কোথায় নামাচ্ছে, ভেবে দেখার সময় হয়েছে এখন। রক্তের নগ্ন রাজনীতিতে শিবির এই আগাগোড়া জামায়াতের সাথে ছিল। হরকাতুল জিহাদ, হিজবুত তাহরীর, জেএমবির মত আগ্রাসী মৌলবাদ দলগুলোর মতই আচরণ জামায়াত (ইসলামী ও বাংলাদেশ এখানে ব্যবহার অনুপযোগী) ও শিবির এর। # যুদ্ধপরাধীদের ফাঁসি চাই।

#অচিরেই ওদেরকে নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী দল হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হোক। # "প্রমানিত" শিবির বা জামায়াত মাত্রই ধরে জেলে ঢোকানো হোক। দখল করে সিলগালা করে দেওয়া সকল কার্যালয়। #সকল রাজনীতিক কর্মকান্ড নিষিদ্ধ করে দিয়ে তাদের সকল সভা/সমাবেশ ও কর্মসূচির উপরে কড়া আইন জারি করে তাদেরকে এর আওতায় নিয়ে আশা হোক। # EC তাদেরকে সংবিধান সংশোধন এর জন্যে চিঠি দিয়েছে, সংশোধন হোক বা না হোক, নির্বাচনে অংশগ্রহন করার অধিকার কেড়ে নেয়া হোক।

# BNP জামায়াত যত বেঁধে থাকলে BNP এমনিতেও হারবে, আশা করি সঠিক পথ বুঝে জামায়াতকে সরিয়ে দেবে BNP. # এমন সন্ত্রাসী বাহিনীর বেপরোয়া আচরণ মেনে নেওয়া যায়না, সংঘবদ্ধ হবার চেষ্টা করলেই গুলি করা হোক শিবির সদস্যদের উপরে। # যারা বিনাকারণে আইনের লোক পেটায়, জনগনের গাড়ি ভাংচুর করে, মানুষ হত্যা করে, মানবাধিকার নামক লুল শব্দের আনাগোনা তাদের ক্ষেত্রে দেখতে পারবনা। জামায়াত শিবির নিপাত যাক। । __________________________________________________ ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.