আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মধ্যবিত্তের ঘর!

ইমরোজ

এটা কোন কবিতা হতেও পারে, তোমার জন্য সুগন্ধি চালের ভাত খাওয়া ছেড়ে দিয়েছি, আর মোবাইলের রিচার্জের টাকাটা দিয়ে মায়ের ওষুধ কিনতে হয়, প্রেমিকার সাথে কথা বলাটা দূরে পরে আছে, তাই ওর বিয়ে হবার কথা শুনছি। আমাকে দাওয়াত করেছে কোন বিশাল হোটেলে লাউঞ্জে। সে অনেক কথা, আমার ঘড়িটা পাচ্ছি না, তাই অফিসের লেট হয় প্রতিদিন, আরেকটা কেনার টাকা জমেনি এখনো। মা ঘরে একা থাকেন, ডিশের লাইনটা আমাকে দিয়ে জোর করে খুলালেন, বললেন, "আমি বুড়ো মানুষ টিভি কে দেখবে"? অথচ মা কত রাত জেগে জেগে খবরে ডুবে থাকতেন। মা মাংসের কলিজাটা খান না, আমার জন্য রেখে দেন, তার সাথে রাতে মায়ের শূন্য প্লেট দেখে মনটা হু হু করে।

অনেক রাতে আসা হয়, মাধুরী, ঐশ্বর্য রায় দেয়াল থেকে ধনী চোখে চেয়ে দেখে, আমার নিঃস্ব বসবাস, ভাঙ্গা বিছানার শোক, বাড়িওয়ালার চিৎকার। পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎ অনেক টাকা তবু, অচল। স্বপ্নদেবী আমাকে হাত বুলিয়ে বাঁচতে বলেন, কিন্তু আমার বাঁচা অনেক কঠিন হয়ে গেছে, ক্ষমতার ঘৃণ্য পুরুষগুলোর জন্য, সুগন্ধি চাল খাওয়া হয় না। মধ্যবিত্তের অশ্রু দিয়ে যে সিঁড়ি হয়, সেটা দিয়ে অনেক উপরে ওঠাই যায়, কিন্তু সিঁড়ি একসময় রক্ত প্রসব করে। গাল বেয়ে নামে রক্তাক্ত অনুযোগ, "আমি বাঁচতে চাই"।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।