আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কুমিল্লা বিসিক শিল্প নগরী আবাসিক ভবন ভরে গেছে

মানব সেবাই আমার মূল ধর্ম কুমিল্লা বিসিক শিল্প নগরী দীর্ঘ অর্ধশত বছরেও পূর্নতা পায়নি। ১৪২ টি শিল্প প্লট নিয়ে গড়ে উঠা এই শিল্পনগরীতে এখন আবাসিক ভবনে ভরে গেছে। রাস্তা-ঘাট,ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা না থাকায় জলাবদ্ধতা বর্তমানে এই নগরীর শিল্প কাখানার মালিকদের নিকট আতঙ্ক। বৃষ্টির মৌসুমে জলাবদ্ধতার জন্য বন্ধ থাকে অনেক চালু কারখানা। এসময় বিসিক শিল্পনগরীতে কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীসহ আবাসিক ভবনগুলোতে বসবাস করা মানুষের দারুন দূর্ভোগ পোহাতে হয়।

বিসিক অফিস ঘুরে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, কুমিল্লা মহানগরের আশোকতলা এলাকায় ১৯৬০-৬১ অর্থবছরে ৫৪ দশমিক ৩৫ একর ভূমির উপর স্থাপিত হয় কুমিল্লা বিসিক শিল্পনগরী। তৎসময়ের প্রায় দু'কোটি টাকা ব্যয়ে এই শিল্পনগরীতে প্লট সংখ্যা ছিল ১৪২ টি। বিসিক অফিস সূত্র আরো জানায়, বর্তমানে এখানে চালু রয়েছে ১২৭ টি কারখানা। রুগ্ন ও বন্ধ কারখানা ১০টি। উৎপাদন উপযোগী ২টি এবং নির্মাণাধীন আরো ৩ টি কারখানা রয়েছে।

বর্তমানে এসকল চালু থাকা কারখানায় প্রায় ৬ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী নিয়োজিত। এখানকার কারখানা সমূহের সম্মিলিত বাৎসরিক উৎপাদন প্রায় সাড়ে ৩শ’ কোটি টাকার পণ্য। এর থেকে সরকারের রাজস্ব আয়ের পরিমাণ ১৮ কোটি টাকা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, এখানকার বহু শিল্প প্লটের মালিকানা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই একাধিকবার পরিবর্তন হয়। এখানে ১২৭ টি শিল্প প্রতিষ্ঠান চালু থাকার কথা বলা হলেও কার্যত এ সংখ্যা আরো কম।

বেশ কিছু প্লটে শিল্পস্থাপনের পরিবর্তে বাসা-বাড়ি, দোকান পাট নির্মাণ করেছে অনেকে। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, এখানে বহু মিল-কারখানার পাশাপাশি রয়েছে ভাংগারী দোকান, ব্যাটারী চালিত রিক্সার গ্যারেজ ও বাড়ি বানিয়ে বহু ভবনের মালিক হাজার হাজার টাকা আয় করছেন। মিল কারখানার উৎপাদন থেকে সরকার রাজস্ব পেলেও দোকানপাট, বাসা-বাড়ি থেকে কোন রাজস্ব পায় না সরকার। অথচ এগুলো শিল্প প্লট। বিসিক শিল্পনগরী প্রতিষ্ঠার অল্প সময় পর থেকেই এখানে বাসাবাড়ি নির্মাণ শুরু হলেও বিগত কোন সময়ই শিল্প নগরীর বাসা বাড়ি উচ্ছেদে কার্যকর কোন পদক্ষেপ সংশ্লিষ্ট অফিস নেয় নাই।

জানা যায়, কুমিল্লা বিসিক শিল্পনগরীর উৎপাদিত কিছু পণ্য সামগ্রী বিদেশেও রপ্তানী হয়। এর মধ্যে ফরিদ ফাইবার, পাবন টেক্সটাইল, হিন্দোল অলি, টি এন প্যাকেজ কোম্পানীর উৎপাদিত পন্য উল্লেখযোগ্য। বিসিক শিল্পনগরীর অবস্থা খুবই করুন। এখানে জলাবদ্ধতা সমস্যা প্রকট। সামান্য বৃষ্টি হলে মিল-কারখানারসহ রাস্তা ঘাট ডুবে যায় পানিতে।

যাতায়াত সমস্যাসহ জলাবন্ধতার কারনে উৎপাদন বন্ধ রাখতে হয় তখন বহু কারখানার। ড্রেন উপচে পড়ে গৃহস্থালী কার্যাদির ব্যবহারের পানি। ফুটপাত আর রাস্তাগুলোর সংস্কার নেই দীর্ঘ দিনেও। ফলে সেগুলোও ব্যবহারের অনুপযোগী। বৃষ্টি হলে বিসিক কার্যালয়ের সামনে রাস্তাটি পানিতে সয়লাব হয়ে পড়ে।

এ অবস্থায় প্রশাসনিক নির্লিপ্ততা ও কার্যকর পদক্ষেপ না থাকায় মুখ থুবড়ে পড়েছে কুমিল্লার বিসিকের অগ্রগতি। অর্থ্যাৎ শিল্পনগরী এখন আবাসিক ভবন, দোকানপাট, অটোরিক্সা গেরেজ, রাস্তা, ড্রেন, ফুটপাত আর জলাবন্ধতাকে সংঙ্গী করে বেচেঁ আছে। কুমিল্লা বিসিকের দায়িত্বশীল সূত্র জানান, বিসিকের বিবাদমান সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকায়। একটি সংস্কার মেরামত প্রকল্প মন্ত্রানলের বিবেচনাধীন রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সমস্যাগুলোর অনেকাংশই সমাধান করা যাবে ।

০১৬১১-০০৮৪৬৯ ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.