আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশ: পাকিস্তান ও থাইল্যান্ডের মাঝখানে যার অবস্থান

রাজনীতি ও অর্থনীতি এই দুই সাপ পরস্পর পরস্পরকে লেজের দিক থেকে অনবরত খেয়ে যাচ্ছে

বৃহস্পিতবার সন্ধ্যা। পরেরদিনের পত্রিকায় কি কি নিউজ যাবে, লিড কি হবে তা নিয়ে মাত্রই মিটিং শেষ করেছি। বিঞ্চুমূর্তি উদ্ধার অভিযান লিড হবে এটাই মোটামুটি সিদ্ধান্ত। মিটিং উপলক্ষ্যে পাওয়া চা'এর কাপটা নিয়ে মাত্রটা নিজের টেবিলে এসেছি। শিফট চালাচ্ছিলেন শাহনেওয়াজ ভাই।

প্রথমে এসে বললেন যে বেনজিরের সমাবেশে আবারো হামলা হয়েছে। একমিনিট পর আবার এসে বললেন বেনজীর আহত। আধা মিনিটের মধ্যে খবর দিলেন বেনজির মারা গেছেন। সঙ্গে সঙ্গে বিবিসি ধরলাম দেলা যে বেনজির আহত। সেলিম ভাই দিলেন জিও চ্যানেল।

সেখানেই দেখলাম যে বেনজির নিহত। আমি সঙ্গে সঙ্গে সংবাদটা দিলাম ব্লগে। তারপর আবার আমরা মিটিং-এ বসলাম। ঠিক করা হরো নিউজের পরিকল্পনা। নিজউ এডিটর লাজ্জাত ভাই বললেন আমি যে অন্যান্য নিউজগুলোর দায়িত্ব নিয়ে ঠিক ঠাক করি।

পাকিস্তান নিয়ে বাকিরা ব্যস্ত হয়ে গেল। এরই ফাঁকে টেলিফোনে বিভিন্ন জনতে খবর দিলাম বেনজিরের কথা। একজন বড় সরকারি কর্মকর্তা, নীতি নির্ধারণী মহলে যোগাযোগ আছে তাঁর, তাঁকে ফোন করলাম। ফোন ধরেই বললেন, ‌মাসুম আমরা এখন পাকিন্তান ও থাইল্যান্ডের মাঝখানে আছি'। কথাটা বুঝতে কয়েক সেকেন্ড সময় লাগলো আমার।

বুঝলাম এর অন্তর্নিহিত অর্থ। আসলেই তো আমরা তাই। থাকসিন সিনাওয়াত্রাকে উৎক্ষাত করে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করে থাইল্যান্ডে। থাকসিনের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ দুর্নীতির। সেই থাকসিনের দল আবার নির্বাচনে জয়ী হয়েছে।

পাকিস্তানেও পারভেজ মোশারফ ক্ষমতা দখল করেছিল একই কায়দায়। সেখানে মাইনাস-টু ফর্মুলা কাজেও দেয়। ৮ বছর পর প্লাস-টু করতে দেশে ফিরে আসেন সাবেক দুই প্রধানমন্ত্রী, দুই দলের দুই নেতা। এর মধ্যে নিহত হলেন বেনজীর। বাংলাদেশ এখন কোন পথে যাবে।

আমাদের সামনে উদাহরণ দুটি। পাকিস্তান ও থাইল্যান্ড। বাংলাদেশ কোন দিকে যাবে। বাংলাদেশ কি পাকিস্তান হতে যাচ্ছে নাকি থাইল্যান্ড। আমরা এক সময় পাকিস্তানের অংশ ছিলাম।

আবার ইদানীংকার নীতি হচ্ছে পূর্বমূখী নীতি। বাংলাদেশ এখন মাঝখানে। বাংলাদেশ কোন পক্ষে যাবে? ছবিটা ১৯৭২ এর জুলাই মাসের। সিমলা চুক্তি সই করতে বাবার সঙ্গে সিমলা যান বেনজীর।



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.