আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রয়েল বেঙ্গল টাইগার!

আসুন আমরা ভন্ডমুক্ত সমাজ গড়ি। ভন্ডরা বন্ধু হলেও পরিত্যাজ্য। এরা সমাজের বিষাক্ত কীট্!

কিছুদিন আগে আমরা কয়েকবন্ধু মিলে গিয়েছিলাম সিডনীর ট্যারোঙ্গা জু তে । এখানকার চিড়িয়াখানার ব্যাবস্থাপনা দেখে বার বার মন ফিরে যাচ্ছিল ঢাকা চিড়িয়াখানায়। এখানকার পশুপাখিকে কত পরিচ্ছন্নভাবে রাখা হয়, কত ভালো ও সুষম খাবার দেওয়া হয়।

আর বাংলাদেশে পশুপাখির খাবার মানুষ নামের কতগুলো পশুর পেটে চালে যায়। আসলে এরা পশুর চেয়েও অধম! যাই হোক এইসব ভাবছি আর হাটছি চিড়িয়াখানার এ প্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে। হঠাত্ত করে আমরা চলে যাই বাঘ মামার টেন্টে। গিয়ে দেখি রয়েল বেঙ্গল টাইগার!খুশীতে মনটা ভরে গেল। অস্ট্রলিয়ান জুতে বাংলার বাঘ।

মনে হল এখানে আসাটাই স্বার্থক। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ট্যুরিস্ট আসে এখানে। তারা দেখে বাংলার বাঘ। খুশীতে আমি বাঘ মামাদের ভিডিও করার কাজে লেগে গেলাম। অন্য বন্ধুরাও যার যার মতো ছবি তুলতে মেতে গেল।

সে কি অস্থির এই বাংলার রাজকীয় বাঘ। রাজকীয় তাদের ভঙ্গি। ছবি তোলাই মুসকিল হয়ে গেল। যাই হোক ,তখনো আমরা জানিনা যে কত বড় বিস্ময় আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। আমি হঠাত্ত চিন্তা করলাম দেখি এরা বাংলার রাজাকে নিয়ে কি লিখেছে এখানে।

তারা লিখেছে রয়েল বেঙ্গল টাইগার এসেছে ইন্ডিয়া থেকে। কোথাও বাংলাদেশের কথা উল্লেখ নাই। অথচ সত্য হচ্ছে বেশিরভাগ রয়েল বেঙ্গল টাইগার পাওয়া যায় বাংলাদেশের সুন্দরবনে। মনটা বড়ই উদাস হয়ে গেল। এভাবে আমদেরকে পাওনা থেকে বঞিত করা হল ? পরে আস্তে আস্তে আমার ক্ষোভটা এসে পড়ল, যারা এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত আছেন তাদের উপরে।

নিশ্চয়ই তারা সঠিক পদক্ষেপ নেননি এ ব্যাপারে। তারা সঠিকভাবে প্রচার চালাননি। এমনিতেই আমাদের বিশ্বমানের অর্জন কম। তাও যেগুলো আছে ,সেগুলোও যদি আমাদের অক্ষমতার জন্য সঠিকভাবে আমরা তুলে ধরতে না পারি, তাহলে এরচেয়ে কষ্ট ,বেদনা ও হতশা আর কি থাকতে পারে? সঠিক প্রচারনার জন্য ২১শে ফেব্রুয়ারি যেমন আজ আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস তেমনি এসব ব্যাপারে সঠিকভাবে প্রচারনার চালালে আমরা অনেক কিছু আন্তর্জাতিকভাবে অর্জন করতে সক্ষম হব বলেই আমার ধারনা। সুন্দরবন ও কক্সবাজার নিয়ে ইদানিং ইন্টারনেট ভিত্তিক প্রচার চলছে।

এটা এপ্রেশিয়েটেবল। সঠিক প্রচারই এদুটো বিশ্বমানের হেরিটেজকে আমরা বিশ্বময় পরিচয় করিয়ে দিতে পারি। সরকারও এব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে পারে। সরকারিভাবে বাংলাদেশে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কিনা আমি জানিনা। সরকার এ ব্যাপারে ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় ভালো ভাবে প্রচার চালাতে পারে জনসাধারনকে উদ্ভুদ্ধ করার জন্য।

নিজের দেশকে তুলে ধরার জন্য একটু স্মার্ট হতে হবে আমাদের দেশের সরকারকে। কারন বিদেশীরা তো শুধু এ দেশকে ঝড়-বন্যা-সাইক্লোনের দেশ বলেই জানে। তাতে আমাদের দেশের ভন্ড ও দুর্নিতীবাজ রাজনিতীবীদদের কোন কষ্ট হয় কিনা আমি জানিনা কিন্তু আমার মতো লক্ষ লক্ষ প্রবাসীদের ও দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশীদের মনে অনেক রক্তঃক্ষরন হয় বলেই আমি জানি।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.