আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমরা তসলিমার পক্ষে এবং আর কারা?

চলে যেতে যেতে বলে যাওয়া কিছু কথা

আমরা তসলিমা নাসরিনের পক্ষে, আমরা বাকস্বাধিনতার পক্ষে, আমরা সর্বস্ব দিয়েও হলে তসলিমা নাসরিনকে রক্ষা করব। শুধু আমরা নই গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও তসলিমার পক্ষে। গুজরাটের মুসলিমদের রক্ষা করতে না পারলেও তিনি আস্বাস দিয়েছেন তার গুজরাটে তসলিমার কেউ ক্ষতি করতে পারবে না। কিন্তু খুবই লজ্জার কথা যে মানবতা আর বাকস্বাধিনতার এই মহান সংগ্রামী নেতাকে আমেরিকা ভিসা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল, তার বিরুদ্ধে ম্যাস মার্ডারের মিথ্যে অভিযোগ এনে। যদিও উনি একই ভাষনে একটি রাজ্যের বিরুদ্বে ভারতে বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে না পারার অভিযোগ এনেছেন।

কেননা তার প্রয়োজন পড়তে পারে তসলিমার মত একজন মহান নারীবাদি লেখিকার, কাংগাল বাংগালদের নয়। তসলিমার পক্ষে আরো আছেন রাষ্ট্রীয় সমাজ সংঘ (আর এস এস), যারা তাকে আমন্ত্রন জানিয়েছেন আগ্রহ নিয়ে। ২০০৬ সালের ৯ জানুয়ারিতে কংগ্রেস সমর্থিত মহারাষ্ট্র সরকার জেমস লেইনসের বই এপিক শিভাজি নিষিদ্ধ করেছিল এই বলে এটি শিভাজি এবং তার পিতার জন্য অসম্মানজনক এবং বইটি আইন শৃংখলা বিনষ্ট ও সমাজে বিসৃংখলা তৈরি করতে পারে অভিযোগ এনে। এর এক মাস পরেই তারা এম ফিদা হোসাইনকে তিরস্কার করে নগ্ন দেবীর ছবি আকার জন্য এবং পুলিশী একশনের ব্যবস্থা নেয়া হয়। তখন বিজেপি জেনারেল সেক্রেটারি হোসাইনকে গ্রেফতার এবং বিচারের দাবি তোলে।

আর এখন বিজেপি অভিযোগ তুলেছে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তসলিমার পক্ষে না দাড়ানোর জন্য। যদিও উইকির ভাষায় তসলিমা একজন মধ্যম সারির লেখিকা, কিন্তু পশ্চিমারা এই মহান লেখিকাকে পুরষ্কৃত করেছে অসংখ্য সম্মানজনক পুরস্কারে। কেননা তারা চেয়েছে ইসলামী বিশ্বের তথা বাংলাদেশের নারীদের মুক্তি ঘটুক। তাই আমরা এটিও আশা করতে পারি যে গার্মেন্টস শিল্পের লক্ষ লক্ষ নারীদের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্যও তারা চেষ্টা চালাবে, বিদেশী কোম্পানিগুলোর চাপ সৃষ্টি করে তাদের একটি সম্মানজনক পারিশ্রমিক বেধে দিয়ে। কিন্তু কাকতালীয় এই যে পশ্চিমারা দরিদ্র দুনিয়ার সেই সব বুদ্ধিজীবিকেই সম্মান জানিয়েছে বেশি যারা নিজ ধর্ম আর সমাজের বিরুদ্ধে বিষোধগার করেছে বেশি।

তারা ঐসব বুদ্ধিজীবিদের আরাম আয়েশের ব্যবস্থা করলেও দরিদ্র দুনিয়ার মানুষদের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য খুব আগ্রহ দেখায়নি। তসলিমার আরাম আয়েশ নিয়ে ব্যস্ত আমরা, ব্যস্ত হিন্দু কট্টরপন্হিরা, ব্যস্ত সাম্রাজ্যবাদী পশ্চিমারা আর তাই তসলিমার জন্য অপেক্ষমান উজ্জল এক ভবিষত যেখানে তিনি মুসলিম নারীমুক্তির কথা বলে যাবেন অশ্লীলভাষায়, কিন্তু তখনও গার্মেন্টসের একটি মেয়েকে প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধাব্দি গরুর খাটনি খাটতে হবে, তাতেও তার দুবেলা খাবার জোটবেনা।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।