আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফিরে দেখা '৭১: এক বীরঙ্গনা মহিলার আত্মত্যাগ।

যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি

[মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে লাখ মা-বোনের উপর যে নির্যাতন চালায় পাকিস্থানী সেনাবাহিনী তার বেশীর ভাগ ঘটনাই কঠিন বাস্তবতার কারনে আমাদের কাছে অজানা রয়ে গেছে। তার মধ্যেই কিছু কিছু ঘটনা দলিল-পত্রে পাওয়া যায়। তারই একটি এখানে দেওয়া হলো। ] মোছাম্মত রহিমা খাতুন গ্রাম-আউনদাউন টাউন ডাকঘর-বাগবাটি থানা-সিরাজগঞ্জ জেলা- পাবনা ১৯৭১ সালের আগস্ট মাসে একদিন ভোর রাতে প্রায় ৫০-৬০ জন পাক সেনা আমার সোয়ামীর গ্রামে যায়। আমি ৭ মাসে শিশুসহ ঘুমিয়ে ছিলাম।

ভোর রাত্রিতে মিলিটারী আসার শব্দ পেয়ে আমার স্বামীকে পালিয়ে যেতে বলি এবং সে অনেক দ্বিধার পরে পালিয়ে যায়। এসময় ৭ জন পাক সেনা আমাদের বাড়িতে ঢুকে পড়ে এবং লাথি মেরে দরজা ভেঙ্গে ফেলে এবং আমার শিশুর সন্তানকে আমার থেকে জোর করে ছিনিয়ে নেয় মাটির সাথে আছাড় দিয়ে হত্যা করে। তারপর আমাকে এক এক জন করে ৭ জন পাক সেনা পাশবিক অত্যাচার করে। প্রায় ২/৩ ঘন্টা ধরে অত্যাচার করার ফলে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। এরপর আমাকে বন্দুকের ভয় দেখিয়ে তিন জন পাক সেনা তাদের ক্যাম্পে নিয়ে যায়।

একই দিন পাক সেনারা আরো ১০/১২ জন মহিলাকে পাক সেনারা অমানুষিক অত্যাচারের পরে ক্যাম্পে নিয়ে যায়। দেশ স্বাধীন হবার পরে সেই মহিলাদের এবং পাক সেনাদের আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। টিপসহি মোছাম্মত রহিমা খাতুন ১৭/১০/১৯৭৩ [সূত্র:- বাংলাদেশের স্বাধিনতা যুদ্ধের দলিল পত্র -৮ম খন্ড, পাতা -১৬২ ]

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.