আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সেলুকাস!

অতীত খুড়ি, খুঁজে ফিরি স্বজাতির গুলিবিদ্ধ করোটি

সম্ভবত দীজেন্দ্রলাল রায় এই সর্বনাশটা কইরা গ্যাছেন। কোনো এক প্রত্যুষে কিংবা দ্বিপ্রহরে মহাবীর আলেকজান্ডার (মতান্তরে সিকান্দার/কালাপাহাড়/জুলকারনাইন) সিন্ধু নদের পাদদেশে আইস্যা ভারতের দিকে তাকাইয়া বাংলাভাষায় বলিয়া উঠিলেন : সত্যি সেলুকাস কি বিচিত্র এই দেশ! আলেকজান্ডার গ্রিক নরপতি। গ্রিক ভাষায় বাক্যটা ঠিক কি ছিল জানি না। তবে তারপর থাইক্যা শুরু হইছে এর ব্যবহার। এতটাই যে এখন অনেকে ‘সত্যি সেলুকাস’-এর পর একটা আশ্চর্যবোধক চিহ্ন দিয়াই থাইম্যা যান।

পাবলিক বুইঝ্যা লয় উনি কি বুঝাইতে চাইছেন। কিন্তু আমিই বুঝি না ক্যাডা এই সেলুকাস। আলেকজান্ডারের বন্ধু মানুষ? উইকিপিডিয়া ঘাইট্যা জানলাম উনি নিজেও এক রাজা। মেসিডোনিয়ার। আরেকখানে পাইলাম ব্যাবিলনের।

জায়গা একোই (আমার ভুলও হইতারে)। দিগ্বিজয়ে গ্রেটের সাথী হইছিলেন তার জেনারেলদের একজন হিসেবে। পুরা নাম সেল্যুকাস নিকেটর। উচ্চারণটা সেলুসাসও হইতারে। ব্লগারদের মধ্যে যারা গ্রিক ভাষা জানেন তারা নিশ্চয়ই আমার বিভ্রান্তি দূর কইরা দিবেন।

যীশুর জন্মের ৩০৫ বছর পূর্বে পারস্য-আফগানিস্তান ও ভারতের একাংশ শাসন করতেন এই সেলুকাস। পরে চন্দ্রগুপ্তের সঙ্গে তার যুদ্ধ হয়। ইতিহাসবেত্তাদের একাংশ চন্দ্রগুপ্তের হাতে সেলুকাসের পরাজয় দেখাইছেন, সুবাদে ভারতে মৌর্য্য সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা। আবার কেউ কেউ আপোষনামার কথা বলেন। ৫০০ যুদ্ধংদেহী ঐরাবতের বিনিময়ে আফগানিস্তানসহ সিন্ধু উপত্যকা চন্দ্রগুপ্তরে দিয়া দেন তিনি।

বলা হয় চানক্য কৌটিল্য এই যুদ্ধে চন্দ্রগুপ্তরে সাহায্য করছেন। যুদ্ধটা নিয়াও একটা লোকগাঁথা আছে। কোনো এক ঝর্ণার পারে য্দ্ধু করতে করতে চন্দ্রগুপ্তর কাছে হার মানেন সেলুকাস। এরপর তারে জামাই হিসেবে বরণ কইরা নেন। সেলুকাসের মেয়ে হেলেনকে বিয়া করেন চন্দ্রগুপ্ত।

তবে চানক্য শর্ত দিয়া দেন যে হেলেনের ঔরসজাত কেউ মৌর্য্য বংশের উত্তরাধীকার দাবি করতারব না। যাউগ্গা, জানলাম এক পর্যায়ে মিশর বাদে আলেকজান্ডারের প্রায় পুরা সাম্রাজ্যই ভোগ করছেন সেলুকাস। টলেমির হাতে শেষ পর্যন্ত মরতে হইছে তারে। কিন্তু কথা তো এইডা না। এই যে স্বাভাবিক মানুষের থাইক্যা দুয়েকভুজ বেশীরা কিছু হইলেই সেলুকাস কইয়া চিল্লায়, এইডার বিষয় কি? কেমনে কি! একটু কইয়া দেন না পিলিজ পাদটিকা : সেলুমিয়া বঙ্গদেশ পর্যন্ত আসে নাই আমি সিউর


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।