আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মেয়র হতে আর চান না মহিউদ্দিন

বন্দর নগরীর উন্নয়নে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বর্তমান মেয়র মনজুর আলমকে পাশে রেখে বুধবার এক অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা দেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।
তিন বছর আগে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মনজুরের কাছে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে হেরেছিলেন চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি।
চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত সুধী সমাবেশে  মহিউদ্দিন আঞ্চলিক ভাষায় বলেন, “আইয়ন না বেগগুনে মিলি কাম গরি। আর মাত্র দুই বছর আছে (আসুন না সবাই মিলে কাজ করি। আর মাত্র দুই বছর আছে)।

আমি আর মেয়রে দাঁড়াব না। ”
এই সময় মঞ্চের সামনে বসা চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী মেয়র নির্বাচনের পর মনজুর আলমের বিরুদ্ধে মহিউদ্দিনের করা মামলার বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেন।
উত্তরে মহিউদ্দিন রসিকতা করে বলেন, “হ্যাঁ, মামলা একটা করেছিলাম। কিন্তু টাকার অভাবে চালাতে পারছি না। ”
সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচিত বর্তমান প্রতিনিধিদের তিন বছর পূর্তিতে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ৪১টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের কাউন্সিলররাও ছিলেন।


সকাল ১১টায় শুরু হওয়া এ অনুষ্ঠানে মহিউদ্দিন চৌধুরী হাজির হন বেলা দেড়টার দিকে। এরপর বক্তব্য দেন তিনি।
বন্দর নগরীর উন্নয়নে ‘সিটি গভর্নমেন্ট’ প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই দাবি করে তিনি বলেন, “মনজু সাহেবকে সর্বোত্তমভাবে সহযোগিতা করতে চাই। আমার কাছ থেকে বুদ্ধি নিলে সমস্যা হবে না। ”
মহিউদ্দিন যখন মেয়র ছিলেন তখন কাউন্সিলর ছিলেন মনজুর।

গত নির্বাচনের আগে বিএনপিতে যোগ দিয়ে এখন দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে মেয়র মনজুর বলেন, “১৭ বছর কাউন্সিলর ছিলাম। উনি (মহিউদ্দিন) অনেকবার আমাকে ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব দেন। চেষ্টা করেছি উনার কাছ থেকে শিখতে। আমি সব সময় উনাকে শ্রদ্ধা করি।

আমাদের মধ্যে যে সুসম্পর্ক আছে, তা বাংলাদেশে ব্যতিক্রম। ”
আগামী দুই বছর সিসিসি পরিচালনায় মহিউদ্দিনের সহযোগিতার প্রস্তাবকেও স্বাগত জানান মনজুর।
২০১০ সালের ১৭ জুন সিসিসি নির্বাচনে প্রায় এক লাখ ভোটের ব্যবধানে ‘রাজনৈতিক শিষ্য’ মনজুরের কাছে হারেন মহিউদ্দিন।
ওই বছরের ১৮ জুলাই মেয়র হিসেবে শপথ নেন মনজুর। সেদিনই হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগে মনজুরের বিরুদ্ধে নির্বাচনী ট্রাইবুন্যালে মামলা করেন মহিউদ্দিন।


এর আগে তিনবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের বিপুল ভোটে পরাজিত করেন মহিউদ্দিন।
সিসিসির অধীনে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পরিচালনা এবং পরিচ্ছন্নতা অভিযানের জন্য অনেকেই তার প্রশংসা করেন।
নগরীর ষোলশহর দুই নম্বর গেইট এলাকায় মহিউদ্দিনের বাসভবনের গলিটি এখনো ‘মেয়র গলি’ নামেই পরিচিত।
চট্টগ্রামের রাজনৈতিক মহলে এখনো ‘মেয়র সাহেব’ হিসেবেই পরিচিত মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন চৌধুরী।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.