আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জিনিয়াস



নিজের শিক্ষাজীবনের পেছন দিকে তাকালে আহামরি কোন রেজাল্ট কোন সময়েই ছিল না। তবে সহপাঠী হিসেবে স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে সবসময়েই প্রতিভাবানদের সঙ্গ উপভোগ করেছি। আর তাই খান্দানী কোন সিভি পেলে বেশ আগ্রহ নিয়ে পড়ি। সেদিন আমাদের বদ্দা রাগিব ভাইয়ের সিভি পড়ছিলাম উনার সাইট থেকে নামিয়ে। তো দেখি উনার বুয়েটের জিপিএর পাশে লেখা আছে সুম্মা কুম লাউডে।

শব্দটা আধা পরিচিত ঠেকল। উইকি ভাইকে প্রশ্ন করতেই বলে দিল এইটা জিনিয়াসদের পাশে লাগানোর জন্য স্পেশাল লেবেল। যেটি গ্র্যাজুয়েশনের ছাত্রদের সাধারণত সম্মানিত করা হয়। সাধারণ ভাল ছাত্রের এক কাঠি উপরে গেলে সেটারে কয় কুম লাউডে (আমার এক কাজিন পাইসিল রচেস্টার থিকা)। তার থেকে আরেকটু সরেস আউটপুট হলে ম্যাগনা কুম লাউডে।

এগুলোর জন্য শুধু একাডেমিক ফলাফলের পাশাপাশি ফলাফল পাবার জন্য কি পদ্ধতি ব্যাবহার করা হয়েছে, আর অন্যান্য কর্মকান্ডও বিবেচনা করা হয়। আর সম্মানিত করার সর্বোচ্চ খেতাব হল সুম্মা কুম লাউডে। খুব কম ছাত্রই কোন এক সময় এতদূর পর্যন্ত পৌছাতে পারে। পরীক্ষার এই ধরণের ফলাফলগুলো মূল থেকে নেয়া আর আমেরিকা আর আমেরিকা কম্প্যাটিবল প্রতিষ্ঠান গুলোতেই প্রধানত ব্যাবহার করা হয়। জিপিএ সিস্টেম ৪.০ সর্বোচ্চ স্কোর।

তবে বিশ্বব্যাপী এখনো ব্রিটিশ সিস্টেমই বেশী জনপ্রিয় বা প্রচলিত। মতলব ফার্স্টক্লাস, সেকন্ড ক্লাস, থার্ড ক্লাস ইত্যাদি। তবে সেকন্ড ক্লাসের মধ্যে আপার আর লোয়ার সেকন্ড ক্লাস বলে একটি জিনিষ প্রচলিত আছে যেটি আমাদের দেশে আজকাল আর তেমন প্রচলিত না। তবে সেখানে পড়তে গিয়ে আরেকট মজার জিনিষ পেলাম। কেমব্রীজ বিশ্ববিদ্যালয়, সেখানে এখন পর্যন্ত (৮০০ বছরে) মাত্র তিনজন ছাত্র একসাথে তিনটি বিষয়ে ফার্স্টক্লাস নিয়ে পাশ করেছেন।

তারা হলেন আব্বা ইবান (ইজরাইলের জনকদের একজন, প্রথম রাষ্ট্রদূত ছিলেন ইজরাইলের পক্ষে জাতিসংঘে), মরিস জিংকিন (আধাখান ভারত একাই চালিয়েছেন এক সময়ে, ম্যালেরিয়ায় সাবাড় করে দিয়েছে ইনাকে), নীল আস্কারশন (স্কটিশ সাংবাদিক, এখনো জীবিত)। অর্কুটে একসময় মোটামুটি বাংলাদেশী অনেককেই চিনতাম। এই দুই বোনের মত হেভী ডিউটি প্রোফাইল খুব কমই পেয়েছি। তারুণ্যের মেধাকে অভিনন্দন। রেবেকা আর ফারিয়েল ।

এনারাও দুজনেই কেমব্রীজ নন্দিনী। বাই দা ওয়ে, মিশোর নাম তো বলতেই ভূলে গেছি। তার ওমর আল জাবির ওয়েবসাইটখান দেখালে এখনো যেকোন বিলাতীর চোখ ট্যারা করে দেয়া যায়। ছোকরা সেখানেই থামেনি। এখন গিয়ে বানিয়েছে পেজফ্লেক্স।

সেটার গল্প হবে আরেকদিন।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।