আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অন্যায়ের সাথে সমঝোতার শেষ কবে?

চলে যেতে যেতে বলে যাওয়া কিছু কথা

এমন একটি সিস্টেমের কোন আভিধানিক নাম আছে কিনা জানি না যে সিস্টেমের মাধ্যমে কোন জাতি, দেশ বা সমাজ ক্রমাগত শুদ্ধতার দিকে এগিয়ে যায় কিছু সময়ের জন্য কিছুটা অন্যায় অবিচারের সাথে সমঝোতা করে হলেও। জীবনা যাপনে সৎভাবে বাচার দৃঢ় সংকল্প গ্রহন করেও আমরা আমাদের সমাজ জীবনে কোন না কোন সময় অন্যায়ের সাথে সমঝোতা করে থাকি। আপনার মা গ্রামের দেশে অধীর আগ্রহে আপনার জন্য অপেক্ষা করছেন আপনি সন্তান সন্ততিসহ ঈদ পালন করবেন বলে । আগের দিন ট্রেনের টিকেট কাটতে এসে দেখলেন টিকেট বিক্রি শেষ। শেষ পর্যন্ত ব্ল্যাকে আপনাকে বেশী দাম দিয়ে টিকেট কাটতে হল কেননা এছাড়া আপনার আর করার কিছুই ছিলনা।

এক্ষেত্রে অনিচ্ছা সত্তেও আপনি ব্ল্যাককারীকে উৎসাহিত করলেন তার অসৎকাজে। জরুরী কাজে আপনাকে স্থানীয় কমিশনারের কাছ থেকে চারিত্রিক সনদপত্র নিতে হল যদিও আপনি জানেন কমিশনারটি একজন অসৎ চরিত্রের লোক আমাদের দেশ বা সমাজকে এমনিভাবে অনেক অন্যায়ের সাথে সমঝোতা করতে হয় যদিও দেশের সার্বিক উন্নতি এতে ব্যাহত হয় না। কিন্তু অন্যায় আচরনের সাথে যে এই সমঝোতা তা অবশ্যই এক সময় অসহনীয় উঠে, প্রয়োজন পড়ে শুদ্ধি অভিযানের। নচেৎ আমাদের অস্তিত্বই হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়ে। ধরুন একটি গ্রামের এক কিনারায় কিছু ঝোপঝাড় আর আগাছার জন্ম নিল সবার অবহেলার কারনে।

কেউ গা করল না এতে ব্যক্তিগত ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় না বলে। কিন্তু কয়েক বছরে ঝোপঝাড়গুলো বনে রুপান্তরিত হলে সেখান সাপ, বিচ্ছু এমনকি একসময় বাঘেরও আনাগোনা শুরু হল। গেরস্হের গরু বাছুর বাঘের পেটে যেত লাগল। একসময় গ্রামের লোকজন সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে বন কেটে পরিস্কার করতে বাধ্য হয় নিজেদের অস্তিত্ব টিকেয়ে রাখতে। তাই আমি অত্যন্ত আশাবাদী যে নিজেদের অস্তিত্ব টিকেয়ে রাখার জন্য একসময় নিজেদের মধ্যেকার ছোটখাট মতভেদগুলো ভুলে আমরা ঐক্যবদ্ধ হব, কেটেকুটে সাফ করব সব ঝন্ঝাল।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.