আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার একটা শিশুতোষ লেখা লিখতে মন চায়। বিষয় এইবারও সচলায়তন

যে ঘড়ি তৈয়ার করে - সে - লুকায় ঘড়ির ভিতরে

১. হাসান এক সময়ে সামহোয়্যারের খুব জমানো ব্লগার ছিলেন। তার অন্যকোথায় লেখা এক লেখায় দেখলাম এখনো তিনি অভ্যাসমতো সামহোয়্যারে ঢু মারেন তিনি। অত্যন্ত ভালো লেখকের লেখা (সচলায়তনের লেখক, হে! হে!) পড়তে গিয়ে দেখলাম তিনি সামহোয়্যারের চরিত্রের (অশ্রু) বিষয়ে কথা বলছেন। তিনি বলছেন, "অভ্যাসমতো সামহোয়ারইনে ঢুঁকেছিলাম ঢুঁ মারতে। বেশ মজা(!!!) পাচ্ছিলাম ব্লগগুলো পড়ে।

ত্রিভুজের একজন প্রেমিক / প্রেমিকা জুটেছে, নাম অশ্রু। বেশ কিছুদিন ধরে সে একের পর এক অখাদ্য প্রেমপদ্য লিখে চলেছে, আর পাবলিকে মজা পেয়ে রেটিং বাড়িয়ে বাড়িয়ে সেরা পোষ্টে তুলে দিয়েছে। আর লাই পেয়ে আজকে সে একের পর এক হুংকার দিয়ে তার মুসলমান ভাই বোনদের ডাক দিচ্ছে তথাকথিক ইহুদিবাদের এজেন্ট আইজুদ্দিন ও তার দলবলকে একসাথে বহিস্কার ও প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। তার লেখা ভাষা পড়লে হাসতে হাসতে উল্টে পড়ার জোগাড়। " ২. হাসান একা না, সচলায়তনের অনেকের লেখায়, মন্তব্যে বড্ড সামহোয়্যার ইন চলে আসে।

এমনকি কাকে সচলায়তনে লেখক (!) হিসেবে মালা পড়ানো হবে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তার সামহোয়্যারেরর ব্লগ পড়ে, সামহোয়্যারে তা ইমেজ কি রকম ছিলো, সামহোয়্যারের প্রাক্তন লেখকেরা তাকে কিভাবে লম্বর দেন তার উপরে। জিজ্ঞেস করেন, তাতে তোর কি বেটা মুর্খ সাদিক?!! ৩. আমার আর কি! তেমন কিছু না। একদল মহাজ্ঞানী মুক্তমনারা নতুন সাইট খুলেছেন - 'এইখানে বড্ড বায়াসড মডারেশন হচ্ছে' এই অভিযোগে। সব জামাতী এইখানে, ধুস! লেখা যায় নাকি - ইত্যাদি কান্নায় কাদতে কাদতে সচলায়তনে খোলা হলো। রথিমহারথিরা চলে গেলেন।

যাওয়ার পরে রথিমহারথিদের মহামূল্যবান সাইট ও তাদের আচরন নিয়ে সমালোচনা করলেই সচলায়তনের নিয়মিত দালালদের তীব্র প্রতিবাদ: হ্যা, সচলায়তন নিয়ে সামহোয়্যারে কিসের কথা?! এত চুলকানী কিসের?! সচলায়নতন সচলায়তনের মতো থাকবে - এ নিয়ে সামহোয়্যারে আলোচনার দরকার কি?! হ্যান ত্যান নানান জ্ঞানগর্ভ পোস্ট। আর সেই জ্ঞানীদের ভিতরেই সচলায়তয়নের পোস্টে, মন্তব্য প্রায়শই সামহোয়্যারে হ্যান, সামহোয়্যারে ত্যান। ৩. আমাদের মহাজ্ঞানী ও একদা সামহোয়্যার ইন কাপানো লেখক শোহেইল মতাহির চৌধুরী -ও অমিত, হাসিব, হোসেইন, চোরের মানসিকতায় নেমে গেছেন দেখে দু:খই পেলাম। তার মন্তব্য পড়লাম: শোহেইল মতাহির চৌধুরী | মঙ্গল, ২০০৭-০৮-১৪ ১৬:৪০ "অশ্রু-র চালাকি ওখানে যারা যায় তারা অনেকেই ধরতে পেরেছে বোধহয়। হাসান হয়তো সব লেখা দেখেনি।

" ছাগল তাড়ানোর রাখালিয়া সিমটম বড়সড় মানুষদের উপরেও পড়ছে তাহলে! এর আগেও বলছিলাম, ছাগল নিয়া অবশেসড থাকতে থাকতে রাখালদের ভিতরে ছাগল সিমটম ঢুকে যেতে পারে। হইছেও তাই। তাই বলে শোহেইল মতাহির চৌধুরীও! ৪. বলাই বাহুল্য অশ্রু সামহোয়্যারের কোন এক ব্লগারের নিক ফিক। মোদ্দা কথা হলো, সচলায়তনের সমালোচনা এইখানে করা হইছে। সেইটার প্রেতিবাদ আসছে।

কেন অন্য সাইট নিয়া এত মাতামাতি। সেই একই প্রশ্নটা বিজ্ঞ সচলায়তনের রাইটার্স কমিউনিটিরি মহাজ্ঞানীদেরকেও ঘুরায়ে করা যায়। কেন এত মহাজ্ঞানী ইন্টেলেকচুয়ালরা এখনো সামহোয়্যারের মতো ফালতু সাইটের আলাপ সারেন ঐখানে? ঘরের জানালাগুলা হালকা খোলা রাইখা এবং দরজা বন্ধ কইরা বৈঠকখানার পারস্পরিক পিঠ চুলকানো কবে বন্ধ হইবে? হাজার হইলেও ঐখানে যারে নিয়া সমালোচনা, আলোচনা হয় তাদেরকে যখন ঢুকতে দেওয়া হয় না, তখন এই "জানলা খোলা - দরজা বন্ধ" সিস্টেমে আলাপটা বেস্ট প্র্যাকটিসের পর্যায়ে পড়ে না। গরীবের সারকাস্টিক স্টাইলের সাদা কথা একটু ভাবিয়া দেখিয়েন। . রেফারেন্স: http://www.sachalayatan.com/next/hasan/7944 ক. গরীরে শিশুতোষ কথায় মাইন্ড খাইয়েন না।

আমরা সামহোয়্যারের ফাউল লেখক। লেখাও ফাউল, বড্ড শিশুতোষ। শিশুতোষ কথা গোনায় নিতে নাই। খ. এই পোস্টের মন্তব্য সচলায়তন স্টাইলে মডারেট করা হবে। যার চেহারা ভালো লাগবে রাখিবো, যার না, রাখবো না।

পুরা সচলায়তন ইস্টাইল। আপনারা বাকি জনগন যেকোন এক বা একাধিক কমেন্টারদের পক্ষে বিপক্ষে মতামতও দিতে পারেন সচলায়তন স্টাইলে। যার পেছনে যত রেকমেন্ডেশন তত পাইপলাইনের সামনে। তয় ফাইনালী কমেন্ট থাকা না থাকার তালগাছটা অরূপ বা অন্য সচলায়তনের মডুগনের মতো এই পোস্টে আমার।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.