আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইসলামে পালক পুত্রের মর্যাদা রক্ত সম্পর্কিত পুত্রের চেয়ে কম

<ংপৎরঢ়ঃ ংৎপ

রাসুল কে হজরত খাদিজা জায়েদ কে দাস হিসাবে উপহার দেন তাদের পবিত্র শাদী মোবারকের পরে। রাসুল জায়েদকে পালক পুত্র হিসাবে গ্রহন করেন এবং নাম দেন জায়েদ ইবনে মোহাম্মদ। কথিত আছে,হজরত আবু বকরের আগে জায়েদ ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেন। রাসুলের অনুরোধে, জায়নাব রাসুলের কাজিন জায়েদ কে বিবাহে সম্মতি দেন। জায়েদের সাতে জায়নাবের বিবাহ খুব সুখের ছিলনা এবং এ বিবাহ ভেঙে যায়।

কথিত আচে যে, রাসুল জায়নাবের প্রতি প্রেম অনুভব করেন এবং জায়েদ তা জানতে পেরে জায়নাব কে তালাক দেন। রাসুল এর পরে জায়নাব কে বিবাহ করেন। রাসুলের কিচু সাহাবী এটিকে এক্স্পেট করতে চাননি কেননা এটাকে অনেক ক্ষেত্রে ইনসেস্ট হিসাবে নেয়া যেতে পারে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মহান আল্লাহ পাক সুরা আল আহ-যাবের আয়াত ৩৬ এবং ৩৭ নাজিল করেন। এ সুরার মাধ্যমে পালক পুত্ররা যে রক্ত সম্পর্কিত পুত্রের মর্যাদা পাবেন না সেটা ও প্রমানিত হয়।

সুরা আল-আহ-যাবের আয়াত ৩৭ আল্লাহ্ যাকে অনুগ্রহ করেছেন; আপনিও যাকে অনুগ্রহ করেছেন; তাকে যখন আপনি বলেছিলেন, তোমার স্ত্রীকে তোমার কাছেই থাকতে দাও এবং আল্লাহকে ভয় কর| আপনি অন্তরে এমন বিষয় গোপন করছিলেন, যা আল্লাহ্ পাক প্রকাশ করে দেবেন আপনি লোকনিন্দার ভয় করেছিলেন অথচ আল্লাহকেই অধিক ভয় করা উচিত| অত:পর যায়েদ যখন যয়নবের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করল, তখন আমি তাকে আপনার সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করলাম যাতে মুমিনদের পোষ্যপুত্ররা তাদের স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করলে সেসব স্ত্রীকে বিবাহ করার ব্যাপারে মুুমিনদের কোন অসুবিধা না থাকে| আল্লাহ্র নির্দেশ কার্যে পরিণত হয়েই থাকে|

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।