আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবানে আওয়ামী-বাকশালীদের গত্রদাহ হতেই পারে!

আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ কয়েকদিন আগে এই নতুন বছরের ২রা জানুয়ারী আমাদের বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসীদের সহযোদ্ধা ধীবর ভাই একটি আহবান জানান; জাতিয়তাবাদি ব্লগারদের দৃস্টি আকর্ষন করছি। Click This Link পরে এই বিষয়ে আরো একটি পোষ্ট দেন; জাতিয়তাবাদি ব্লগারদের দৃস্টি আকর্ষন করছি ২। Click This Link মূলত বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সহ রাজনীতি, অর্থনীতি, সামাজিক এবং বিদেশ নীতি সহ দেশের স্বার্থে সমমনাদের সচেতন থাকার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হতে অনুরোধ করেছেন। এখানে তিনি কোন অন্যায় বা আইন ভঙ করেছেন তা কেউ বলতে পারবেন না। এমনকি সামু সহ কোন ব্লগের নীতিমালা ভঙ করেছেন তাও নয়।

এটা উনার গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু এটাই সেই চিহ্নিত তথা আওয়ামী-বাকশালী ও ভারতীয় তাবেদার গোষ্ঠীর পছন্দ হল না। তারা নানা কটু ভাষা সহ নোংরা ভাষায় গালাগালি শুরু করে দিল। একজনতো ধীবর ভাইয়ের ব্যানের দাবীই করে ফেলল আরেক জন পুরানো বাকশালী বলে "জাতীয়তাবাদী ব্লগার মানে কি?" তাদের কথায় মনে হয় যে তারা ভাজা মাছটা উল্টে খেতে জানে না। তাদের সাথে যে কয়টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিরোধ তা নীচে তুলে ধরা হল; ১) ধর্মনিরপেক্ষতঃ সাধারণ ভাবে ধর্মনিরপেক্ষতাকে ইংরেজীতে এভাবে বলা যায় A person or an institution is free from the religion. তথা ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান ধর্ম হতে মূক্ত; Click This Link এই প্রসঙ্গে মূক্তমনার প্রতিষ্ঠাতা অভিজিত রায়ের একটি লেখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ; Click This Link অনেক আওয়ামীলীগার বলে ধর্মনিরপেক্ষতা মানে সর্ব ধর্মাবলাম্বীর সমান অধিকার তাদের মুখে কষে জুতা মারার মত।

এর চেয়েও অবাক করার মত কথা হল যে যে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ৭১এর মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ধর্মনিরপেক্ষতার শর্তের কথা বলা হয় সেটাও মিথ্যা। এই প্রসঙ্গে ২০১১র নভেম্বরে এক সেমিনারের কিছু বক্তব্য তুলে ধরলাম; মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, এ দেশে সুস্থ ছাত্র-রাজনীতির যেদিন থেকে ইতি ঘটেছে, সেদিন থেকে ছাত্রদের ইতিহাসের প্রতি আগ্রহও কমে গেছে। ইতিহাসের চর্চাও বন্ধ হয়ে গেছে। নূরুল ইসলাম এ সময় আলোচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবার কাছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কী—এ বিষয়ে প্রশ্ন করেন। মুহম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র—এই চারটি মূল স্তম্ভের ওপর ভিত্তি করে মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল।

এগুলোই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। আসিফ নজরুল এ প্রসঙ্গে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণাপত্রে ‘অসাম্প্রদায়িকতা’ শব্দটি থাকলেও কোথাও ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলা হয়নি। অধ্যাপক নূরুল ইসলামও এ বিষয়ে আসিফ নজরুলের সঙ্গে একমত পোষণ করেন। এই প্রজন্ম ইতিহাস পড়ে না: অধ্যাপক নূরুল ইসলাম Click This Link এই অধ্যাপক নূরুল ইসলাম হলেন বাংলাদেশের প্রথম পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য। স্বাধীনতার পরপরই তিনি সরকারের উচ্চপর্যায়ের সঙ্গে এ দেশকে গড়ে তোলার কাজে ব্যস্ত ছিলেন।

স্পষ্টতই এই ধর্মনিরপেক্ষতা ভারত হতে আগত। ভারতীয় শাসকগোষ্ঠী অত্যন্ত কুটকৌশলের মাধ্যমে আমাদের উপর গছিয়ে দেয়। তাতে অদূর ভবিষ্যতে আমাদের ৯০% জনগণের ধর্ম ইসলামী মূল্যবোধকে নষ্ট বা দূর্বল করে ১৯৪৭ সালের পূর্বাবস্থায় সহজেই নিয়ে নেওয়া যায়। এই প্রসঙ্গে গত বছর ২০১২ সালের ২২শে জানুয়ারী ভারতের কোলকাতার দৈনিক আনন্দবাজার লিখেছে "তিনি(শেখ হাসিনা) জানেন ইসলামী সত্তার মোকাবেলা করতে হবে বাঙালী সত্তা দিয়েই"; http://www.mediafire.com/?5u19wa3h3e5348u বস্তুত ১৯৪৭ সাল হতেই ভারতের স্কুল গুলোতে পাঠ্য পুস্তক ও শ্রেণী শিক্ষকগণ ভারত বিভাজন বিরোধী শিক্ষা দিয়ে আসছে। তাদেরকে বইয়ে পুস্তকে দেখানো হয় বর্তমান মানচিত্রে ভারত হচ্ছে ১৯৪৭ সালের পূর্বের ।

যা আজও সেই দেশে বিদ্যমান; Click This Link এখান থেকে বুঝা যায় ভারতের প্রায় সিংহভাগ জনগণ এমন শিক্ষায় শিক্ষিত যে আজ পর্যন্ত ১৯৪৭ সালের বিভাজন আন্তরিক ভাবে মেনে নিতে নারাজ। এদের সাথে বাংলাদেশের আওয়ামী-বাকশালী গোষ্ঠী তাল মিলায় যে ১৯৪৭ সালের দেশ বিভাগ ভুল, ভারতের সাথে সীমান্তের দরকার নাই এবং দুই বাংলা। আমরা বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসীরা ভারতের এই কুটকৌশলকে প্রত্যাখান করি। আমরা বিশ্বাস করি ১৯৪৭ সালের পর বিভিন্ন ধারাবাহিক ঘটনাই আমাদেরকে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে নিয়ে যায়। আমরা ৭১এ স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অর্জন করলেও আমাদের ৫৬ হাজার বর্গ মাইল ১৯৪৭এ প্রাপ্ত।

অর্থাৎ ১৯৪৭ এবং ১৯৭১ = স্বাধীন বাংলাদেশ। কাজেই এখানে আমাদের প্রাথমিক ইসলামী মূল্যবোধ এবং নিজেদের মুসলমান ভাবা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তারমানে এই নয় যে আমরা জোর পূর্বক বাংলাদেশকে শরীয়া রাষ্ট্রে পরিণত করব এবং অমুসলিম বা কোন নাস্তিকের নাগরিক অধিকার কেড়ে নিব। ৫ম ও ৮ম সংবিধানে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম এবং ইসলাম রাষ্ট্র ধর্ম হলেও কোন অমুসলিমের অধিকার হরণে কোন আইন হয়নি বরং তাদেরও ন্যায্য অধিকার থাকবে বলে উল্লেখ আছে। কিন্তু বর্তমানের হাসিনার সরকার ভন্ডের মত সংবিধানে ইসলাম রাষ্ট্রের ধর্মর পাশাপাশি ধর্মনিরপেক্ষতাকে যুক্ত করছে।

কাজেই ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে আওয়ামী-বাকশালী গোষ্ঠীর লাফালাফি চরম ভন্ডামি ছাড়া আর কিছুই নয়। ২) ভারতের ক্রীতদাসঃ ১৯৭১ সালে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে ডাইনী ইন্দিরাগান্ধী সুকৌশলে প্রবাসী বাংলাদেশকে বেশ কিছু অসম শর্ত স্বাক্ষরে বাধ্য করে। চুক্তি গুলো নিম্নরুপ; ১. প্রশাসনিক বিষয়ক: যারা সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে শুধু তারাই প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে নিয়োজিত থাকতে পারবে। বাকীদের জন্য জায়গা পূরণ করবে ভারতীয় প্রশানিক কর্মকর্তাবৃন্দ। ২. সামরিক বিষয়ক: বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভারতীয় সৈন্য বাংলাদেশে অবস্থান করবে।

১৯৭২ সালের নভেম্বর মাস থেকে আরম্ভ করে প্রতিবছর এ সম্পর্কে পুনরীক্ষণের জন্য দু’দেশের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ৩. বাংলাদেশের নিজস্ব সেনাবাহিনী বিষয়ক: বাংলাদেশের নিজস্ব কোন সেনাবাহিনী থাকবেনা। অভ্যন্তরীণ আইন-শৃংখলা রক্ষার জন্য মুক্তিবাহিনীকে কেন্দ্র করে একটি প্যারামিলিশিয়া বাহিনী গঠন করা হবে। ৪. ভারত-পাকিস্তান সর্বাত্মক যুদ্ধ বিষয়ক: সম্ভাব্য ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে অধিনায়কত্ব দেবেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান। এবং যুদ্ধকালীন সময়ে মুক্তি বাহিনী ভারতীয় বাহিনীর অধিনায়কত্বে থাকবে।

৫. বণিজ্য বিষয়ক: খোলা বাজার ভিত্তিতে চলবে দু’দেশের বাণিজ্য। তবে বাণিজ্যের পরিমাণের হিসাব নিকাশ হবে বছর ওয়ারী এবং যার যা প্রাপ্য সেটা র্স্টার্লিং এ পরিশোধ করা হবে। ৬. পররাষ্ট্র বিষয়ক: বিভিন্ন রাষ্ট্রের সংগে বাংলাদেশের সম্পর্কের প্রশ্নে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংগে যেগাগাযোগ রক্ষা করে চলবে এবং যতদুর পারে ভারত বাংলাদেশকে এ ব্যাপারে সহায়তা দেবে। ৭. প্রতিরক্ষা বিষয়ক: বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বিষয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করবে ভারত। ” (অলি আহাদ রচিত “জাতীয় রাজনীতি ১৯৪৫ থেকে ৭৫”, বাংলাদেশ কোঅপারেটিভ বুক সোসাইটি লি: প্রকাশিত, চতুর্থ সংস্করণ ফেব্রুয়ারী ২০০৪, পৃষ্ঠা-৪৩৩,৪৩৪)।

আমাদের মুক্তিযুদ্ধের শুরুতেই ভারত এমন ভাবে খবরদারি ও হস্তক্ষেপ করতে চেয়েছিল যে মনে হয় তারা আমাদের বন্ধু নয় বরং কোন প্রভু! এই কারণেই বঙ্গবীর ওসমানী, জিয়া, জলিল এই কয়েকজনের সাথে ভারত সরকারের বনিবনা হত না। তখনই দিল্লীর নীতিনির্ধারক সহ বাংলাদেশে ভারতীয় দালালদের মাধ্যমে সুকৌশলে ওসমানী, জিয়া ও জলিলকে পাকিস্তানপন্থী ও আ.এস.আইয়ের এজেন্ট হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। পরে শেখ মুজিব ১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারী স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে এলে ভারতীয় সৈন্যদের বিতাড়নে ইন্দিরাকে বাধ্য করা সহ ঐ সমস্ত চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য তাজউদ্দিনের উপর ক্ষুদ্ধ হন। তারপরেও মুজিবের পক্ষে ঐ সমস্ত চুক্তির বেশীর ভাগই এড়ানো সম্ভব হয়নি। তাই কোনমতে সামরিক বাহিনী রাখা গেলেও তাকে শক্তিশালী করার কোন পদক্ষেপই নেননি মুজিব।

সুমুদ্রগামী বাণিজ্যিক জাহাজ কিনতে গেলেও দিল্লীর অনুমতি নিতে হত। এছাড়াও ও.আই.সিতে যোগ দেওয়া, বিভিন্ন মুসলিম দেশের সাথে সহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনেও ভারত ও এদেশীয় ভারতপন্থীরা বাধা দেয়। এই প্রসঙ্গে বলতে হয়; পরর্বতীকালে আমার মনে হয়েছে বঙ্গবন্দু ও তাজউদ্দীন অভিন্ন লক্ষে রাজনীতি করলেও তাদের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য ছিল। বঙ্গবন্দু সেকু্যলার বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠা চাইলেও তার রাজনীতি ছিল ধর্ম সমল্প্বয়ের রাজনীতি। তাজউদ্দীনের রাজনীতি ছিল আরো একধাপ এগিয়ে সম্পূর্ণ ধর্মনিরপেক্ষতার রাজনীতি।

বাংলাদেশ শুধু নামে নয়, কাজেও সেকু্যলার রাষ্ঠ্র হোক এটা তিনি চেয়েছিলেন। এ জন্যই দেশ স্বাধীন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোর মন জয়ের চেষ্ঠা, ইসলামী শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের যোগ দেওয়া, মাদ্রাসা শিক্ষার সংস্কার ব্যতিরেকে তাতে অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধি, এমনকি মওলানা ভাসানীর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা, ভুট্টোকে অসময়ে আমন্ত্রণ জানিয়ে সদলে বাংলাদেশে আনা_ ইত্যাদি ব্যাপারে তার দ্বিমত ছিল। তিনি স্বাধীনতার প্রথম কয়েক বছর স্বাধীনতা যুদ্ধে সাহায্যকারী দেশগুলো_ বিশেষ করে ভারত, সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলোর সাহায্য ও সহযোগিতার ওপর বেশি নির্ভর করাকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিরাপদ রাখার অনুকূল নীতি মনে করতেন। নভেম্বর মাস এলেই যে প্রশ্নটি মনে উদয় হয় -আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী Click This Link এর ১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসলে ভারতের সাথে সম্পাদিত চুক্তির সিংহভাগ চুক্তির শর্তই ভেঙে ফেলেন। দেশে প্রথমে এক দলীয় বাকশাল ভেঙে বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা দেন।

বিচারক অপসারণে সংসদের পরিবর্তে জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের মাধ্যমে নিয়ম করেন। আর বৈদেশিক সম্পর্কে মধ্যপ্রাচ্যের সহ সকল মুসলিম দেশের সাথে সম্পর্ক স্থাপন সহ বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু চীনের সাথে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক সম্পর্ক গড়ে তুলেন। তারপর ১৯৭৭ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফারাক্কা বাধের বিরুদ্ধে নালিশ করেন। পরে ভারত বাধ্য হয়ে ৫ বছর মেয়াদী ৩৪ হাজার গ্যারান্টি ক্লজের বিনিময়ে বাংলাদেশের সাথে ফারাক্কা চুক্তি করে। বস্তুত এই সমস্ত বিষয়ই ডাইনী ইন্দিরা ও তার ভারতের নীতি নির্ধারকদের পছন্দ হয়নি।

তাই জিয়ার ক্ষমতায় আসার পর হতেই ভারতীয় র একের পর এক ক্যু ঘটানোর চেষ্টা করে। এক সময়ে ১৯৮১ সালের ৩০শে মে তারা সফলও হয়। সেই ১৯৭৫ সালে ইন্দিরা গান্ধী হতে ভারতীয় নীতি নির্ধারকগণ বাংলাদেশের সাথে চীনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে অপছন্দ বলতে গেলে ঘৃণা করে; Bangladesh and China have enjoyed diplomatic relations since 1975. Beijing has always encouraged Dhaka to adopt an independent foreign policy and move away from India’s orbit. Beijing may even have given Bangladesh assurances that it will come to its aid in the event of a military standoff with New Delhi. The two countries have signed many agreements on economic, cultural and military matters. Beijing has extended soft loans and military equipment comes at ‘friendship prices’. However Dhaka has been careful not to enter into a strategic military partnership with Beijing. It wishes to reap the benefits of a flexible, loose, expanding relationship. China is a major supplier of military hardware to Bangladesh. Artillery, missiles, armoured personnel carriers and personal weapons are among the equipment acquired. Naval contacts are even more important. Most Bangladeshi naval craft, including frigates, missile boats and gun boats, are of Chinese origin. New Delhi fears that Dhaka may grant China the right to set up military bases in Bangladesh. These would permit China to monitor Indian army and air force movements and would seriously compromise India’s ability to defend the Siliguri corridor in the event of hostilities. Even more worrying for India is the possibility that Bangladesh might grant China naval port facilities in Chittagong. The model here is Gwadar in Pakistan and Hambantota in Sri Lanka. Ostensibly these ports are being developed as commercial entities but, almost certainly, they will be used by China’s navy. Click This Link Click This Link যদি বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, অর্থনীতি ও মর্যাদা ঠিক রেখে চীনের সাথে সামরিক সম্পর্ক হয় তাতে ভারতের কি? বাংলাদেশ তার প্রকৃত সার্বভৌমত্ব ভোগ করুক এটা দিল্লীর নীতিনির্ধারক হতে দিবেন না। তাই তারা সময়ে সময়ে ছলে বলে কৌশলে বাইরে ও ভেতরের দালালদের মাধ্যমে বাংলাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করে। সর্বশেষ এই ২০০৭ সালের ১/১১।

যেখানে ফখরু-মঈনের সরকার ভারতপন্থী আলীগকে ক্ষমতায় আসতে সাহায্য করে। এতে অবশ্য যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউর সমর্থনও ছিল। যার প্রমাণ আমরা দেখি জাতিসংঘের কান্ট্রি ডাইরেক্টর রেনেটা লককে দিয়ে মিথ্যা চিঠি বের করা। এরপর আওয়ামীপন্থী শামসুল হুদাও বিএনপিকে বিভক্ত করার চক্রান্ত করে। বিএনপির আসল মহাসচিব দেলওয়ার হোসেনকে আলাপে না ডেকে রাতের আধারে চক্রান্তে সৃষ্টি হওয়া মেজর (অব) হাফিজকে আলাপে ডাকে।

কিন্তু দেশের কোটি বিএনপির সমর্থক সচেতন থাকায় দল সেই সময় রক্ষা পায়। কিন্তু কারসাজির নির্বাচনে আলীগকে ব্রুট মেজরিটি দিয়ে জয় রুখা সম্ভব হয়নি। এর উদ্দেশ্য ছিল ভারতের দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন তথাকথিত ট্রানজিটের নামে করিডোর যা ১৯৭২ এর মুজিব ইন্দিরা চুক্তির নদী পথের পরেও নতুন করে সড়ক, রেল এবং আমাদের দুই সুমুদ্র বন্দর অবাধে ভারতীয়দের ব্যাবহার করতে দেওয়া। মুজিবই ভারতকে সেই ১৯৭২ সাল হতে নদীপথের করিডোর দেন; ৭২ সাল থেকেই ট্রানজিট ব্যবহার করছে ভারত: রজিত মিত্তার Click This Link হাসিনা ২০০৮ এ নির্বাচনের বলেছিল তারা দেশকে সিঙ্গাপুর বানাবে বহু দেশের সাথে বহুমুখী ট্রানজিট দিয়ে। কিন্তু বাস্তবে ভারত রাজী না হলে চীনতো দূর নেপাল ও ভুটানকে আমাদের সুমুদ্র বন্দর ব্যাবহার করতে দেওয়া সম্ভব নয়।

উপরন্ত ২০১০ সালের জানুয়ারীতে হাসিনা কি কি শর্তে দিল্লীর সাথে চুক্তি করল তা আজও দেশবাসী ও সংসদ জানতে পারল না। ভারত হতে ফি নেওয়ার কথা বললে হাসিনার উপদেষ্টা রিজভী বলে "ভারত হতে ফি চাওয়া হল অসভ্যতা"। মানে ১৬ কোটি মানুষের হক চাওয়া ঠিক না। উপরন্ত এই ১৬ কোটি মানুষের কষ্টের টাকায় ভারতীয় নৌযানকে ভর্তূকি দেওয়া হচ্ছে; ফি না নিয়ে উল্টো ভর্তুকি দিচ্ছে বাংলাদেশ: দেবপ্রিয় Click This Link আর হাসিনা গংদের চরম ক্রীতদাসী আচরণের জন্য ভারত রীতিমত মাস্তানী শুরু করছে। তারা এই করিডোর ফি দিতে নারাজ; Click This Link তো এই হল তথাকথিত স্বাধীনতার স্বপক্ষের আওয়ামী-বাকশালীদের দেশপ্রেমের নমুনা।

বিগত জোট সরকার ভারতকে এই সমস্ত সুবিধা দেয়নি বিধায় এই সকল আওয়ামী-বাকশালীদের এবং আন্তর্জাতিক মহলে চারদলীয় জোটকে জঙ্গী, সন্ত্রাসী ও তথাকথিত ভারত বিরোধীর অপবাদ শুনতে হয়। ইতিমধ্যে হাসিনার বর্তমান মহাজোট ১৯৭২-৭৫ সালের মত চুরি, বাটপারি, লুটপাট এবং জুলুম করে দেশের সাধারণ মানুষের জীবনকে র্দূবিষহ করে তুলেছে। মানুষ বর্তমানে তাদের সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছে; Click This Link তাই এই সমস্ত কারণেই বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী শক্তির ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সময়ের দাবী। যারা গণতন্ত্রে নয় বাকশালে বিশ্বাসী এবং ভারতের তাবেদারীতে আনন্দিত হয় তাদের কাছে এই ধরণের ঐক্যবদ্ধতা অত্যন্ত গত্রদাহের বিষয়। উপরোক্ত বিষয় গুলো তারা কোন মতেই বিবেচনায় নিতে নারাজ।

বরং কিভাবে হাসিনা গং এটাকে চালিয়ে নিতে পারে তাই প্রতিনিয়ত বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বাজে ট্যাগিং সহ নোংরা গালাগালি করে আসছে। তাদের কোন নৈতিক ভিত্তি নাই কারণ তারা আমাদের দেওয়া কোন তথ্য ও যুক্তির ভিত্তিতে আলোচনা ও বিতর্কে পারে না। তাই গালাগালিই তাদের একমাত্র সম্বল। তারা শুধু তাদের জ্ঞান-বুদ্ধিই নয় তাদের বিবেক ও আত্নাকেও আওয়ামী-বাকশাল তত্ত্বের কাছে বন্ধক দিয়ে রেখেছে। এরাই ঘরের শত্রু বিভীষণ।

এদের জন্যই ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বাঙালীরা শেখ হাসিনাকে খুব আনন্দের সাথে বাংলাদেশের মূখ্যমন্ত্রী বলে; Click This Link না হাসিনার সরকার না এই সকল তথাকথিত স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি এর প্রতিবাদ করে। তাই তাদের কাছে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ অত্যন্ত ঘৃণার বিষয়। এই তাবেদার গোষ্ঠী এই ধরণের গত্রদাহ না হওয়াটাই ছিল অস্বাভাবিক! তারা একে যতই ঘৃণা করুক বরং এটা আমাদের আরো শক্তিশালী করবে।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.