আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দক্ষিণের কৃষক ও কৃষি ।

খুব সাধারন এক মানুষ। ভালবাসি সাধারন মানুষের জন্য কিছু করতে।

বাংলাদেশের উপকূলীয় দক্ষিনের জেলা বরগুনা। চারদিকে নদী বেষ্টিত আর অসীম সাগরের হাতছানি। কিন্তু সেই বরগুনার অধিকাংশ আবাদী জমিতেই সেচের অভাবে বছরে মাত্র একটি ফসল উৎপন্ন হয়।

ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অনেক নীচে। । একপাশে সুন্দরবন আর দুই পাশে সাগর বেষ্টিত বরগুনা জেলাতে তাই বছরে মাত্র একবার ফলন হয়। তাও আমন মৌসুমে। তাই অনেক সময় হতভাগ্য মানুষগুলোকে আধপেটা করে কাটাতে হয় পুরোট বছর।

সেচের অভাব দূর করতে দু'একটা এনজিও সৌর সেচ প্রকল্প শুরু করলেও সরকারী সহযোগিতা ও অন্যান্য সীমা বদ্ধতার কারনে সাফল্য বয়ে আনতে পারেনি আর কৃষকের মুখে হাসি ফোঁটে নি । বরগুনা সহ দক্ষিণের জেলা গুলোতে রয়েছে কৃষির ব্যাপক সম্ভাবনা । এখানকার বেশিরভাগ কৃষকই হতদরিদ্র ও শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত । তাই বরগুনার কৃষি অনেকটাই আধুনিকতার ছোঁয়া থেকে দূরে। তাই সবার আগে দরকার কৃষকের জীবন যাত্রার মানউন্নয়ন।

বরগুনার কৃষকেরা কাজের অভাবে বছরে ৬ মাস ঘরে বসে থাকে । আমাদের কৃষি জমি গুলো একফসলি ,কৃষকেরাও অল্প শিক্ষিত ফলে বরগুনার কৃষিতে বিজ্ঞানের ছোঁয়া তেমনটা লাগেনি । তাদের দিন কাটে অনাহারে - অর্ধাহারে । বরগুনায় কৃষি উৎপাদনের মধ্যে ধান চাষ অন্যতম কৃষিবিদ ও কৃষকদের সাথে কথা বল্জের জানা যায়, এ জেলায় কৃষকদের কাছে প্রধান ফসল ধানের পরেই এখন তরমুজ দ্বিতীয় অর্থকরী ফসল হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। মাত্র আড়াই মাসে তরমুজ চাষ করে মোট উৎপাদন খরচের চারগুন আয় করা যায় বলে কৃষকদের মাঝে তরমুজ চাষ ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।

জেলার আমতলী উপজেলায় তরমুজের বেশিরভাগ চাষ হয়ে থাকে। এছাড়া জেলায় এবছর বামনা, বেতাগী, পাথরঘাটা ও সদর উপজেলায় শতাধিক হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছে। আমতলীতে প্রায় সাড়ে তিন হাজার হেক্টর জমিতে এর আবাদ হয়। জেলায় ফুটি ও খিরাই চাষ হয়েছে প্রায় ৫ শ’ হেক্টর জমিতে। আর এখন এ কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রায় ২৫ হাজার কৃষক।

জানা গেছে, আমতলী উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে প্রতিটি গ্রামেই প্রায় ৭০ শতাংশ কৃষক এ বছর জানুয়ারী ও ফেব্রুয়ারী মাসে তরমুজ চাষ করেছেন। এদের মধ্যে অনেকে পারিবারিক চাহিদা মেটাতে ‘বছরে একটি ফল’ হিসাবে তরমুজ, বাঙ্গি ও খিরাইয়ের চাষ করেন। তবে মোট চাষের ৮০ শতাংশই বানিজ্যিক ভিত্তিতে চাষ করা হয় । জেলা কৃষি দপ্তর থেকে জানা যায়, গত বছর শুধুমাত্র আমতলী উপজেলায় ৩ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে প্রায় সাড়ে ১ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন তরমুজ উৎপাদিত হয়। ওই বছর তরমুজ চাষ করে আমতলীর কৃষকেরা প্রায় ২১ টাকা আয় করেছে।

কৃষকদের কৃষির আধুনিক যন্ত্রপাতি সরবারহ করতে হবে, বৈজ্ঞানিক চাষাবাদের সাথে পরিচিত করে তুলতে হবে । এক ফসলি জমিতে কিভাবে একাধিক ফসল উৎপাদন করা যায় সে উদ্যোগ নিতে হবে । যাতে কৃষকতার জমিতে সারা বছর কোন না কোন ফসল উৎপাদন করতে পারে । আর তাহলেই কৃষকের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পাবে । চাঙ্গা হবে গ্রামীণ অর্থনিতি ।


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.