আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মন্ত্রিসভা বনাম ড. ইউনূস

বাংলাদেশে এটা একটা ব্যতিক্রমী ঘটনা। সরকার তথা মন্ত্রিসভা দেশের একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। ব্যক্তিটির নাম মুহাম্মদ ইউনূস। যিনি নোবেল শান্তি পুরস্কারসহ প্রায় অর্ধশতাধিক আন্তর্জাতিক পুরস্কারে সম্মানিত হয়ে বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে সমগ্র বিশ্বে ড. ইউনূসের চেয়ে পরিচিত, স্বীকৃত ও সম্মানিত বাংলাদেশি দ্বিতীয়টি নেই।

অবশ্য তার অর্থ এই নয় যে, তিনি কোনো অন্যায় করলে সরকার আইনি ব্যবস্থা নিতে পারবে না। আইন সবার জন্য সমান।

ড. ইউনূস কী কী 'অপরাধ' করেছেন তা তলিয়ে দেখার আগে জানা দরকার মন্ত্রিসভার বৈঠকে কেন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আলোচনা হলো? মন্ত্রিসভা কেন এনবিআর বা বাংলাদেশ ব্যাংককে তদন্তের নির্দেশ দিল? মন্ত্রিসভা কি দেশের একজন নাগরিকের অপরাধের ব্যাপারে আলোচনা করতে পারে? যদি না বিষয়টি রাজনৈতিক হয়। আলোচনা করা অন্যায় নয়। তবে তা মন্ত্রিসভার জন্য বেমানান, অশোভন।

মন্ত্রিসভা সরকারের নীতি নিয়ে আলোচনা করে ও সিদ্ধান্ত নেয়। সরকারের নীতির আলোকে মন্ত্রণালয় বা অধীনস্থ বিভাগ প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির অপরাধ তদন্ত করবে। প্রাথমিকভাবে অপরাধ প্রমাণিত হলে মন্ত্রণালয় আইনি ব্যবস্থাও নিতে পারে। সবশেষে সবকিছুর ফয়সালা হবে আদালতে। যদিও বর্তমান সরকারের আমলে আদালতের বিচার সম্পর্কেও নানা সমালোচনা শোনা যায়।

তবু আদালতই শেষ ভরসা।

মন্ত্রিসভা যখন 'ব্যক্তি' ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করে তখন কারও বুঝতে অসুবিধা হয় না সরকার ড. ইউনূসকে যে কোনো উপায়ে শাস্তি দিতে বদ্ধপরিকর। এরকম পরিস্থিতি দেশের যে কোনো নাগরিকের জন্য উদ্বেগজনক। কারণ 'সরকার বনাম ব্যক্তি' কোনো যুদ্ধ হতে পারে না। হলেও তা হবে অসম যুদ্ধ।

সরকারের হাত অনেক লম্বা। সরকার চাইলে যে কোনো নাগরিককে সত্য মিথ্যা নানা মামলায় ফাঁসিয়ে শাস্তি দিতে পারে। আবার খুনের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির মামলা প্রত্যাহার করতে পারে। ফাঁসির আসামিকেও মাফ করে দিতে পারে। যেমন_ বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার তাদের দলের নেতাদের বিরুদ্ধে সাড়ে ছয় হাজার মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

একদিকে সরকার যেমন খুব শক্তিশালী তেমনি সরকারের সব ক্ষমতা পাঁচ বছর মেয়াদি। পাঁচ বছর পর কোনো সরকার পুনঃনির্বাচিত না হলে (সেই সম্ভাবনা বা দৃষ্টান্ত বাংলাদেশে নেই) তাদের নানা ভুল সিদ্ধান্ত বা খারাপ কাজ বাতিল হয়ে যায়। অন্তত বাতিল হওয়ার সুযোগ থাকে। কিন্তু কোনো সম্মানীয় লোকের সম্মান বা খেতাব সরকারের মেয়াদের ওপর নির্ভর করে না। ড. ইউনূস দেশে বা বিদেশে যত সম্মান ও খেতাব পেয়েছেন তা দেশে বা বিদেশে সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে বদলে যাবে না।

তা চির অম্লান। এটাই বড় আনন্দের। শেখ হাসিনার উদ্যোগে বর্তমান মন্ত্রিসভা ড. ইউনূসকে যতই নাজেহাল করুক নোবেল পুরস্কারসহ তার যাবতীয় পুরস্কার ও সম্মান তার নামের অঙ্গ হয়ে থাকবে আজীবন। কারও প্রতিহিংসা, ঈর্ষা, মানসিক দৈন্য বা অস্থায়ী (৫ বছর) সরকারি ক্ষমতার দম্ভ ড. ইউনূসকে এতটুকু ছোট করতে পারবে না। শুধু মানসিক নির্যাতন করতে পারবে অল্প সময়ের জন্য।

পৃথিবীর দেশে দেশে বহু দার্শনিক, জ্ঞানী, গুণী, মনীষী তার দেশে, তার সমাজে নিগৃহীত হয়েছেন। এমনকি অনেকের নিষ্ঠুর মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। কিন্তু পৃথিবীর মানচিত্রে এখনো তারা তারার মতো জ্বলজ্বল করছেন। ইতিহাসের অাঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে ওইসব লোক, যারা সেদিন নির্যাতন করেছিল। পাঁচ বছরের অস্থায়ী ক্ষমতার দম্ভে বাংলাদেশে আজ যারা ড. ইউনূসকে নাজেহাল করছেন, 'সরকারি পদ' চলে গেলে দলের কিছু লোক ছাড়া একজন সাধারণ মানুষও তাদের গ্রাহ্য করবে না।

তারা কি তা জানেন?

এবার দেখা যাক ড. ইউনূস সম্পর্কে অভিযোগগুলো কী? 'নিয়ম ভেঙে আয়কর অব্যাহতি নেওয়া, বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ লঙ্ঘন, ক্ষমতার অপব্যবহার ইত্যাদি। আয়কর অব্যাহতি প্রসঙ্গে এনবিআর গত বছরই তাদের রিপোর্টে জানিয়েছিল : 'ড. ইউনূসের আয়কর অব্যাহতি ২০০৪ সালের ১৩ জুলাই আইআরডির প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বিধিসম্মতভাবেই হয়েছে। ' মন্ত্রিসভা ওই প্রতিবেদনে সন্তুষ্ট না হয়ে আবার এনবিআরকে (নতুন চেয়ারম্যান) দিয়ে একটি নতুন প্রতিবেদন আদায় করেছে, যেখানে বলা হয়েছে, ড. ইউনূসের আয়কর অব্যাহতি আইনানুগ হয়নি!! একই এনবিআর এক বছরের মধ্যে দুরকম প্রতিবেদন কেন দিয়েছে তার মর্ম বুঝতে পাঠকের অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। কর্তার ইচ্ছায় কর্ম। এবার শেখ হাসিনা এরকমই প্রতিবেদন চেয়েছেন!

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পর্কে 'ইউনূস সেন্টার' ১০ সেপ্টেম্বর যে ব্যাখ্যা দিয়েছে তার সারকথা এখানে উদ্ধৃত হলো : নোবেল বিজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস আয়কর 'ফাঁকি' দিয়েছেন এরকম কোনো কথা এনবিআর বলেনি।

এনবিআর বলেছে, তিনি আয়কর অব্যাহতি চেয়েছেন এবং আইন অনুসারে এনবিআর সে আয়কর অব্যাহতি দিয়েছে। এখানে আইনের কোনো বরখেলাপ হয়নি। এনবিআর তার প্রতিবেদনে প্রশ্ন তুলেছে যে, 'সুপ্রিমকোর্টের রায় অনুসারে প্রফেসর ইউনূস একজন 'পাবলিক সারভেন্ট'। পাবলিক সারভেন্ট হিসেবে বিদেশে থেকে কোনো আয় গ্রহণ করতে হলে, পুরস্কার গ্রহণ করতে হলে, বিদেশে ভ্রমণ করতে হলে তাকে সরকারের অনুমতি নিতে হবে। অথচ কোনো সময় তিনি সেটা করেননি।

এতে তিনি আইন ভঙ্গ করেছেন।

সুপ্রিমকোর্ট রায় দিয়েছেন, প্রফেসর ইউনূস একজন পাবলিক সারভেন্ট। এটাও রায়ে বলা হয়েছে, ২০০০ সাল থেকে পরবর্তী ১১ বছর তিনি আইন বহিভর্ূতভাবে গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি পদে বহাল ছিলেন। এসময় এমডি পদে বহাল থাকার তার কোনো এখতিয়ার ছিল না। এই ১১ বছরে তিনি গ্রামীণ ব্যাংক থেকে যে বেতন-ভাতা ও সুবিধাদি পেয়েছেন এনবিআর বলছে তা ফেরত নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

অর্থাৎ ২০০০ সালের পর থেকে তিনি সুপ্রিমকোর্টের রায় অনুসারে আর পাবলিক সারভেন্ট ছিলেন না।

যদি পাবলিক সারভেন্ট না থাকেন তবে ২০০০ সালের পরে প্রফেসর ইউনূসের বিদেশি আয় গ্রহণ ইত্যাদি ব্যাপারে আর সরকারের অনুমোদন নেওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। একজন প্রাইভেট নাগরিকের জন্য যে আইন প্রযোজ্য সে আইনই তার ওপর প্রযোজ্য হবে। অর্থাৎ এনবিআর যে অভিযোগ করছে সে অভিযোগের কোনো ভিত্তি আর থাকে না।

গ্রামীণ ব্যাংক একটি বিশেষ আইন-সৃষ্ট প্রতিষ্ঠান।

এই আইনে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদই ব্যাংকের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। প্রফেসর ইউনূস যা কিছু করেছেন এই সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন ও সম্মতি অনুসারে করেছেন। তিনি আইন ভঙ্গ করে কোনো কাজ করেননি।

প্রফেসর ইউনূস বিদেশে থেকে যেসব খাতে আয় করেন সেগুলো হলো বক্তৃতা, তার লিখিত বইয়ের রয়েলটি এবং পুরস্কার যা করমুক্ত আয় হিসেবে তিনি প্রচলিত আইন অনুসারে দেখাতে পারেন যদি তা ব্যাংকিং চ্যানেলে নিয়ে আসেন।

প্রফেসর ইউনূস সব সময় তার বৈদেশিক আয় ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে নিয়ম অনুযায়ী এনেছেন এবং প্রতিবছর আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় সব আয় এনবিআরকে প্রদর্শন করে যখন যে কর ধার্য হয়েছে তা পরিশোধ করেছেন।

তিনি সব সময় আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় সব দেশি ও বিদেশি আয় প্রদর্শন করেছেন। কাজেই যারা কর ধার্য করেন তাদেরই দায়িত্ব হলো কোনটি আয়করমুক্ত এবং কোনটির কর দিতে হবে। কর কর্তৃর্পক্ষ কোনো দিন এ ব্যাপারে কখনোই প্রশ্ন করেনি। কখনোই কোনো নোটিস কিংবা চিঠি এনবিআর তাকে দেয়নি। (ইউনূস সেন্টারের বিজ্ঞপ্তি)

ড. ইউনূস প্রতিবছর তার দেশি-বিদেশি আয় দেখিয়ে আয়কর রিটার্ন জমা দিয়ে এসেছেন।

এনবিআর কর্তৃপক্ষ কোনো বছরই এই প্রশ্ন তোলেনি যে, তিনি বিদেশি আয়ের কর দিচ্ছেন না কেন? এনবিআর এত বছর এই মর্মে তাকে কোনো চিঠি বা নোটিসও দেয়নি। কারণ এনবিআর জানে, ড. ইউনূস বিধিসম্মতভাবেই বিদেশি আয়ের কর থেকে মুক্ত। এখনো এনবিআর একথা বলেনি যে, ড. ইউনূস তার বিদেশি আয় প্রদর্শন করেননি। বলেছে, 'তার আয়কর রেয়াত বিধিসম্মত হয়নি। ' ২০০০ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত এনবিআরে কর্মরত চেয়ারম্যান বা ঊধর্্বতন কোনো কর্মকর্তা ড. ইউনূসের এই 'অন্যায়' কাজ দেখেননি, দেখতে পেলেন শুধু বর্তমান চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন? এ ব্যাপারে প্রাক্তন চেয়ারম্যানদের বক্তব্য জানা গেলে ভালো হতো।

এনবিআর যদি কোনো বছরই আয়কর ফাঁকি সম্পর্কে ড. ইউনূসকে কোনো নোটিস না দিয়ে থাকে তাহলে সেই দোষ কি ড. ইউনূসের না এনবিআরের?

এক বছর আগে মন্ত্রিসভা ড. ইউনূসের আয় ও আয়কর সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন দিতে বলেছিল এনবিআরকে। কিন্তু বর্তমান প্রতিবেদনে দেখা গেল আয়কর ছাড়াও তারা গ্রামীণ ব্যাংকের নানা 'অব্যবস্থা' সম্পর্কেও মতামত দিয়েছেন। এই মতামত দেওয়ার কোনো এখতিয়ার কি এনবিআরের আছে? সরকার তো গ্রামীণ ব্যাংক সম্পর্কে নানা প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য একটি 'কমিশন' গঠন করেছে। মন্ত্রিসভা সেই কমিশনের রিপোর্ট পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারত। এনবিআর কেন গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনার দোষত্রুটির ব্যাপারে নাক গলাতে গেল? বিষয়টি একটু অস্বাভাবিক মনে হয় না? তাহলে আর কমিশন গঠন করা হলো কেন? মন্ত্রিসভা কি কমিশনের রিপোর্টের ওপর ভরসা করতে পারছেন না?

'প্রথম আলো' পত্রিকাকে ড. কামাল হোসেন এ প্রসঙ্গে বলেছেন : 'ড. ইউনূসের ব্যাপারে আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি।

তার মতে, এটা সংবিধান পরিপন্থী। আইনের শাসনের নূ্যনতম যে অধিকার পাওয়ার কথা, তা থেকে ড. ইউনূসকে বঞ্চিত করা হয়েছে। ' একজন সিনিয়র এনবিআর কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেছেন : 'আয়কর আইনে বিশেষ আয়করদাতা বলে কিছু নেই। প্রত্যেক আয়করদাতা সমান। অথচ একজন আয়করদাতাকে নিয়ে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে সিদ্ধান্ত হলে তা খারাপ নজির তৈরি করে।

' (১০ সেপ্টেম্বর)

শেখ হাসিনার সরকার ড. ইউনূসকে কী করতে চান তা মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্ত থেকে স্পষ্ট হয়ে গেছে। বর্তমান সরকারের মেয়াদের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ড. ইউনূসকে 'সুদখোর', 'গরিবের রক্তশোষক' বলে নিন্দা করেছিলেন। সারা বিশ্ব যাকে সম্মানের সঙ্গে 'গরিবের ব্যাংকার' উপাধিতে ভূষিত করেন শেখ হাসিনা সেখানে তাকে 'গরিবের রক্তশোষক' বলেছেন। এতে ড. ইউনূসের সম্মান বিন্দুমাত্র ক্ষুণ্ন হয়নি। কিন্তু এর মাধ্যমে শেখ হাসিনা তার ঈর্ষা, প্রতিহিংসা ও মনের ক্ষুদ্রতা প্রকাশ করেছেন।

বিশ্ববাসী সেভাবেই হাসিনাকে দেখবে। এতে শেখ হাসিনার কোনো লাভ হয়েছে কিনা জানি না। তার এই মন্তব্যগুলো কি তিনি ফিরিয়ে নিতে পারবেন কোনো দিন?

কয়েকজন মন্ত্রী ড. ইউনূস সম্পর্কে যে বিষোদগার করেছেন তা নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন দেখি না। কারণ এরা সবাই রাজনৈতিক এতিম। শেখ হাসিনার সামান্য অনুগ্রহ না পেলে রাজনৈতিক অঙ্গনে এদের কোনো মূল্য নেই।

কাজেই শেখ হাসিনাকে খুশি করার জন্য তারা ড. ইউনূস সম্পর্কে নানা সমালোচনা করতেই পারেন। তারা দিন-রাত চিৎকার করলেও ড. ইউনূসের সম্মানের সামান্য ক্ষতিও হবে না। ড. ইউনূসের অবদান ও খ্যাতির তুলনায় এসব মন্ত্রী হাতের নস্যি। শেখ হাসিনার অনুগ্রহ ও সরকারি (অস্থায়ী) পদ ছাড়া এদের ঝুলিতে আর কিছু নেই। এদের উদ্দেশ্যে প্রভু যিশুর একটি উদ্ধৃতি শুধু ব্যবহার করতে পারি : 'ঈশ্বর তাহাদের ক্ষমা কর, কারণ তাহারা কী করিতেছে তাহারা জানে না।

' মন্ত্রিসভার নির্দেশে সরকারি মহল ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে কী আইনি ব্যবস্থা নেবে তা আমরা জানি না। দেখা যাক কোথাকার পানি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়। আমার আশঙ্কা, শেখ হাসিনা ও তার দলকে এর ফল একদিন ভোগ করতে হতে পারে।

লেখক একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা।

 

 



সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.