আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছাত্রলীগ কী অপ্রতিরোধ্য??

একের পর এক অপকর্ম করে পার পেয়ে যাচ্ছে ছাত্রলীগ । সকল প্রকার আইনের ঊর্দ্ধে উঠে অপকর্ম গুলো তারা করে বেড়াচ্ছে। এমন কোন খারাপ কাজ নেই যা তাদের দ্বারা সংগঠিত হয়নি। হত্যা,খুন , গুম, ধর্ষণ, রাহাজানি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, নারী নির্যাতন, সংখ্যালঘু নির্যাতন, অশ্লীল ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে ইন্টারনেটে আপলোড এবং তার সিডি ক্যাসেট বাজারে ছড়িয়ে দেয়া, এমন কি জাতি গড়ার কারিগড় জাতির বিবেক শিক্ষরা পযর্ন্ত বাদ পড়েনি তাদের নগ্ন থাবা থেকে। প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক লাঞ্ছিত করা তাদের Routine work এ পরিনত হয়েছে।

এক কথায় যত খারাপ কাজ আছে সব কিছু করা তাদের মহান দায়িত্বে পরিনত হয়েছে। ছাত্রলীগের নাম এখন আর কেউ “ছাত্রলীগ” বলে কিনা সে বিষয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে কারন আমি যত মানুষের কাছে এ নামটি শুনি তারা সবাই একে “সন্ত্রাসীলীগ” বলে ডাকে। এদের গুণর্কীতণ করতে গেলে আজকের দিনে বলা শেষ হবে না। তার পরেও কলম যেহেতু ধরেছি তাই দু এক বাক্য লিখার ইচ্ছা পোষন করছি । রংপুরে হাফেজ রমজান আলীকে হত্যার মাধ্যমে এ সরকারের আমলে হত্যা করার হাতে খরি হয় ছাত্রলীগের।

সেখান থেকে রাজশাহী ব্শ্বিবিদ্যালয়ের শিবিরের সেক্রেটারি শরীফুজ্জামান নোমানীকে হত্যা করে এ তথা কথিত ছাত্র সংগঠনটি। এর পর একের পর এক তাদের এ দায়িত্ব ছড়িয়ে পড়ে সাড়া দেশে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির কর্মী মহিউদ্দিনকে গলা কেটে হত্যা করে তাদের সেই চির চরিত লাশের রাজনীতি শুরু করে ছাত্রলীগ কর্মী বলে চালিয়ে দিতে চাইলেও তা সফল করতে পারে নি। এ ছাড়াও তাদের হামলায় নিহত হয় মাসুদ বিন হাবিব এবং আরো একজন। আহত হয় অসংখ্য ছাত্র।

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ ঢাবিতে হত্যা করা হয় ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মেধাবী ছাত্র আবু বকরকে। দলীয় গ্রুপিং এর জের ধরে তিন তলা থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করা হয় মেডিকেল কলেজের মেধাবী ছাত্র রাজিবকে। রাজ পথে দিনে দুপুরে কুপিয়ে হত্যা করল হিন্দু সম্প্রদায়ের বিশ্বজিত দাসকে। কিন্তু প্রতি বারেই পার পেয়ে আসছে ছাত্রলীগের এসব সন্ত্রাসীরা। শুধু পার পাওয়াই নয় বরংচ নেতাদের ছত্রছায়ায় এরা আরো ভয়ংকর হয়ে উঠে।

যার ফল স্বরূপ আমরা দেখেছি বরিশাল পলিটেকনিকে প্রতিপক্ষকে কিভাবে নৃশংস ভাবে কোপাছিল ছাত্রলীগের কর্মীরা, আমাদের দেখার র্দূভাগ্য হয়েছে ছাত্রলীগের দেয়া আগুনে সিলেটের এম সি কলেজের ঐতিহ্যবাহী ছাত্রাবাস জ্বলতে। এক জন ছাত্র হিসেবে আজ নিজের প্রতি খুব ঘৃনা হয় এ কারনে যে, আমি এ যুগের ছাত্র যে যুগে ছাত্ররা (ছাত্রলীগ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপর এসিড ছুড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবির) প্রক্টরকে কলার ধরে টেনে হিছড়ে লাঞ্চিত করে । ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের উপরে হামলা সহ প্রত্যেকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তারা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে শিক্ষক নিযাতনের মত এমন জঘন্য কাজ তারা করেছে। বাংলাদেশে এমন কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাওয়া যাবে না যেখানে তারা সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে না।

কিন্তু আমাদের দেশের তথাকথিত মানবাধিকারের বিজ্ঞ লোকেরা নিরব ভুমিকা পালন করেছে এবং করছে। মুর্তির মত দাড়িয়ে দর্শকের ভুমিকা পালন করে তথাকথিত বুদ্ধিজীবি মহলের নিবোর্ধরা। তবে একটা বিষয়ে ছাত্রলীগের প্রসংশা না করে আমি পারছি না আর তাহল রাবিতে নিজেদের দলীয় কোন্দলের বলির পাঠা বানিয়ে ফারুককে হত্যা করে সেটা শিবিরের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়ার যে চক্রান্ত তারা করেছিল তা সফল ভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছে। আর তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খালাকে ধন্যবাদ জানাই এ জন্য যে, তিনিও এ সুযোগকে একদম হাত ছাড়া করেন নি। সাড়া বাংলাদেশে শিবিরের বিরুদ্ধে চিরুনি অভিযান চালিয়ে হাজার হাজার মেধাবী ছাত্রকে গ্রেফতার করে তাদের শিক্ষা জীবনের ১২টা বাজাতে তিনি সক্ষম হয়েছিলেন ।

যে মামলার জন্যে এখনো তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি শামছুল আলম গোলাপ সহ অনেককে জেলের ভাত খেতে হচ্ছে। জাহাঙ্গীর নগর দেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে কোন শিবির নেই । যেহেতু সেখানে শিবির নেই তাই তারা নিজেদের মধ্যে হামলা মামলা অব্যহত রেখেছে। হলের ছাদ থেকে প্রতিপক্ষ এবং সাধারন ছাত্রদের ফেলে হাত পা ভেংগে দেয়ার মত নির্মম দৃশ্য আমাদের দেখতে হয়েছে। শুধু তাই নয় প্রকাশ্য দিবালোকে তারা অস্রের ঝনঝনানি প্রতিনিয়ত আমাদের শোনাচ্ছে।

জাবি, রাবি, ঢাকা কলেজে সহ অনেক স্থানে তারা প্রকাশ্যে রিভালবার দিয়ে পুলিশের সামনে গুলি করেছে। কিন্তু প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোন Action না নিয়ে বরং এ সব কাজে তাদের সহযোগিতা করার প্রমান বাংলার মানুষ অসংখ্য বার পেয়েছে। একারনেই আমাদের হাড়াতে হয়েছে মা বাবার এক মাত্র ছোট্ট নিস্পাপ শিশু সন্তান রাব্বিকে। কি অপরাধ ছিল এ শিশুটির? কেন ছাত্রলীগের অর্ন্তকোন্দলে তাকে জীবন দিতে হবে? কেন ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে নিজের দলের সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হতে হল চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগে আহবায়ককে? কে দিবে এসব প্রশ্নের জবাব? চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ভর্তি বানিজ্য এসবতো বলার অপেক্ষা রাখেনা । এটা তো তাদের নিত্যনৈমত্তিক কাজ।

একটা বিষয়ে তারা পিছিয়ে ছিল, হয়ত তারা সম্মিলিত ভাবে চিন্তা করেছে যে, এ বিষয়ে কেন তারা পিছিয়ে থাকবে ? তাই এখন গভীর রাতে ছাত্রী হোস্টেলে প্রবেশের মাধ্যমে তারা প্রমান করল তারা শিক্ষা ছাড়া কোন বিষয়ে পিছিয়ে থাকতে রাজি না। এত কিছুর পরেও যদি ছাত্রলীগে লাগাম টেনে ধরা না হয় তাহলে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ খুব অন্ধকারাচ্ছন্ন। এমন ঘন কালো অন্ধকার এদেশের বুকে নেমে আসবে যাকে ভেদ করে একটি সুন্দর সকাল বাংলদেশের মানুষ কখনোই দেখতে পারবে না। তাই ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা এখন জনসাধারনের প্রানের দাবিতে পরিনত হয়েছে। প্রধান মন্ত্রীর কাছে জন সাধারনের পেক্ষ থেকে আবেদন.............দয়া করে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করুন।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.