আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অফিস শেষে ২৬ টাকা ৫০ পয়সা খরচা কইরা আসলে বাথরুমের লাইট আপনেই জ্বলে।

সুখের দিনে তোমার কথা ভাবি....দুখের সাথে একলা রয়ে যাই....

ঘটনাটা গনেশ দার কাছে শোনা (পরিচয় আরেক দিন দেবো)। এক ব্যক্তি অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে রোজ ২৬.৫০ টাকা খরচা করে ফেরে। খাওয়া দাওয়া করে, ঘুমায়, শেষ রাতে ওঠে, বাথরুম যায়, ঘুমায়, সকালে দেরী করে ওঠে, অফিস যায়, আবার অফিস ফেরার পথে ২৬.৫০ টাকা খরচা করে বাড়ি ফেরে। একদিন খুব সকালে উঠে মুখটা গোমড়া করে বসে রয়েছেন। স্ত্রীর কাছে অস্বাভাবিক লেগেছে।

জিজ্ঞাসা করেছেন, কিগো, কি হইছে? দু-তিনবার ঠেলাঠেলি করার পর ব্যক্তি বললেন, জানো আমি প্রত্যেকদিন বাড়ি আসার সময় ২৬.৫০ টাকা খরচা কইরা আসি (এতক্ষন নিশ্চয়ই ভাবছেন ২৬.৫০ টাকার ব্যাপারটা কি। ওটা আমাদের এখানকার এক বোতল বাংলা মদের দাম), খাইদাই ঘুমাই, রাতে উইঠ্যা বাথরুমে যাই, দরজা খুলি আর লাইটটা অটোমেটিক জ্বইলা যায়, প্রশ্রাব করি, দরজা বন্ধ করি, লাইট নিভা যায়, আইস্যা আবার ঘুমাই। আবার সেইদিন ২৬.৫০ টাকা খরচা কইরা আসি , খাইদাই ঘুমাই, রাতে উইঠ্যা বাথরুমে যাই, দরজা খুলি আর লাইটটা অটোমেটিক জ্বইলা যায়, প্রশ্রাব করি, দরজা বন্ধ করি, লাইট নিভা যায়, আইস্যা আবার ঘুমাই। ঘটনাটা রহস্যজনক! তাই কাইলক্যা ভাবছিলাম শালার আইজক্যা ২৬.৫০ টাকা খরচা করুম না। দেখি তো কি হয়! জানো, কাইলক্যা আইলাম, খাইলাম দাইলাম, ঘুমাইলাম, উইঠ্যা বাথরুমের দরজা খুললাম লাইটটা জ্বলল না! লাইট জ্বালাইয়া প্রশ্রাব করলাম, দরজা বন্ধ করলাম, লাইটটা তো নিভল না।

আমার সারা রাত ঘুম হয়নাই জানো। সঙ্গে সঙ্গে ঐ ব্যক্তির স্ত্রী লাফিয়ে উঠলেন। চিৎকার করে বললেন, ওরে বুইড়া পাঠা, তাই তো ভাবি ফীরিজের মধ্যে থেইকা খালি মুতের গন্ধ আসে ক্যান!... তারপরের ঘটনা জানা যায়নি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.