আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমরা নাপিত- (ব্ল্যাসফেমী)

অতি দক্ষ মিথ্যুক না হলে সত্যবাদিতা উৎকৃষ্ট পন্থা

ইশ্বর নাবিয়া আসিলেন ধরায়। এই জ্যোতির্ময় মুন্ডিত কেশ বৃদ্ধ কে, যাহার জ্যোতির্চ্ছটায় ম্লান দেবদুতের হেলমেটের বাত্তি। তার যেমন খুশী সাজো আলোয়ানের উপরে সারি সারি টর্চের বাতি, কোমরে বাঁধা লুকাস ব্যাটিারির ভার সহ্য হচ্ছিলো না বলেই তিনি জ্যোতির্ময় মুন্ডিত কেশ বৃদ্ধের সামনে আসন পিঁড়ি হয়ে বসিলেন। আলোয়ানে লাগানো বাতিগুলো নিভু নিভু, তিনি স্বগোতোক্তি করিলেন, ছ্যাহ শালার সব খানেই দুই লাম্বারি, গতকালই পানি ভরে আনলাম এর ভেতরেই চার্জ শেষ হইয়া গেলো, লুকাস ব্যাটারির সাথে সংশ্লিষ্ট সব কারিগরের উর্ধতন ৭ এবং অধস্তন ৭ প্রজন্মের সাথে করা যায় এমন নানাবিধ যৌন হয়রানিমূলক ভাবনায় মশগুল থেকে তিনি অবশেষে ভাবিলেন নাভানা কোম্পানির এম ডিকে কয়েক হাত দেখিয়া লইবো। সিদ্ধান্ত নিতে পেরে খানিকটা হালকা লাগে তার।

আরেক যন্ত্রনা , ব্যাটারির ম্রিয়মান চার্জের সাথে মশাদের কোরাস, নমরুদকে কৌশলে হত্যা করতে যেয়ে যে ভুলটা হয়ে গেছে তা সংশোধনের উপায় নেই এখন- এ চক্রান্তের সকল খবর চৌদ্দশত বছর আগেই প্রকাশিত হইয়া গিয়াছে- ইশ্বরের নানাবিধ নৃশংসতা আর গোপন অভিসন্ধি প্রকাশ করিয়াছে বলিয়া যাহাকে দোষারোপ করা যায় সেই পামর কবেই মরুভুমিতে পথ হারাইয়া তৃষ্ণার্ত মরিয়া গিয়াছে- যাউক আপদ বিদায় হইয়াছে ভাবিয়া তিনি স্বস্তির শ্বাস ছাড়িলেন। মাথার উপরে বোমারু বিমানের মতো পাক খাচ্ছে মশকের দল, নান একটু আগেই স্লান সমাপ্ত হয়েছে- শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত শকটে চড়ে অবতরনের সময়ও তেমন স্বেদ নিঃসরিত হয় নি- তবে হতচ্ছরারা কেনো জালাচ্ছে? হুমম মনে পড়লো তার। মাথার পাগড়িটাই যত নষ্টের গোড়া- সেই তোতলার সাথে সাক্ষাতের সময় সেটা বৃষ্টিতে ভিজেছিলো- সে অনেক দুর অতীতের কথা, এর ভেতরে অনেক জল অনেক স্থানে গড়িয়েছে- তবে সেই পাগড়ির কথা তিনি ভুলিয়াই গিয়াছিলেন- তাই ধোয়া হয় নি এক বারও- মনে পড়লো তিনি যখন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আজ মর্ত্যে আগমন করিবেন তখনই তিনি স্বর্গোদ্যানের ধোপাকে বলিয়াছিলেন বাপু পাগড়িটা ড্রাই ওয়াশ করে দাও দেকিনি। অনেক দিন পর পৃথিবীতে যাবো, সাজটা একটু জাঁকালো হওয়া দরকার। লেটেস্ট ডিজাইনারের করা বাতি লাগানো আলোয়ান আর এই পাগড়িটাই তার পছন্দ হয়েছিলো- পাগড়িটা ড্রাই ওয়াশ করতে না বলে মিকাইলকে ধুয়ে দিতে বললেও হতো- বললেই কেঁচে ধুয়ে দিতো সে।

নাহ ইস্রাফিলকে বলে কাজটা ঠিক করেন নি তিনি- শালার চাকরি খাবেন এমনটাই মনস্থির করিলেন ইশ্বর। বেটার এমনিতে কোনো কাজ নেই- স্বর্গের কানাই হয়ে ঘুনসিতে বাঁশী গুঁজে ঘুরে বেরায় আর হঠাৎ হঠাৎ তার নির্দেশেই বাঁশীতে ফুঁ দেয়- তখন জাপানে ইরানে ভুমিকম্প হয়- গেলোবার বাঁশীতে ফুঁ দেওয়ার সময় তার হাঁচি আসলো আর সুনামিতে ভেসে গেলো ইন্দোনেশিয়া- মিকাইলকে পাগড়ি কাঁচতে না দেওয়ার ১০০১টা যুক্তি ছিলো তার। তার প্রথম আর প্রধানটা হলো ভিনটেজ এই পাগড়ীর প্রত্নতাত্ত্বিক মূল্য নির্ধারণ করিতে পারিবে এমন স্মার্ট নয় মিকাইল- বেটা আকাট মুর্খ, শেষে কাঁচতে নিয়ে পাগড়ীর দফারফা করিবে সে- তবে ইস্রফিলের উপরে তার রাগ কমছে না কোনোভাবেই- নিশ্চিত ও ড্রাই ওয়াশ না করে বাঁশী দিয়ে কয়েক ঘা কষিয়েই তাকে ঠকিয়ে ১০ ডলার নিয়া গিয়াছে হারামজাদা। তবে এই মুন্ডিত কেশ বৃদ্ধের স্মিত হাসি আর প্রসন্ন মুখ দেখিয়া তাহরও ভেতরটা প্রশান্তিতে ভরিয়া গেলো, এমনিতেই নানাবিধ কারণে ইদানিং মেজাজটা খিঁচরে থাকে তার, তবে প্রধানতম দুঃখ তার পূত্রে স্বেচ্ছাচারী আচরণ, স্বর্গে তাহার নাক কাটিয়া ফেলিয়াছে এই অবাধ্য পূত্র- তার স্বেচ্ছাচারী জীবনযাপন আর এ সংক্রান্ত নানাবিধ অভিযোগের ফলে মনমিজাজ খারাপ থাকে তার- প্রায়শই হুরেরা এসে নানারকম নালিশ করে। অকৃতদার এই পূত্রকে পৃথিবীর কলুষতা থেকে বাঁচাতেই স্বর্গে এনেছিলেন তিনি, তবে বুঝেন নি এই পূত্র অকালেই বখিয়া গিয়া স্থানে কুস্থানে গিয়া উঁকিঝুঁকি দিতে শিখিয়াছে- এই পিপিং টম আচরণের কোনো কারণ খুঁজে পান না তিনি- তার তো কখনই এমন অভ্যাস ছিলো না- তিনি তো সবই দেখতে পান সকল গোপনই তার কাছে প্রকাশ্য- তবে কোথা থেকে পূত্র এই স্বভাব রপ্ত করিলো।

হুরেরা অভিযোগ করে দজলার তীরের গাছের মগডালে উঠিয়া লুকাইয়া বসিয়া থাকে সে দুপুর বেলায়- তখনই হুরেরা স্লানে নামে আর পূত্র হুংকার দিয়া নামিয়া আসে০ কোন পছন্দসই হুর পেলে তাকে ধরে নিয়া যায়- অমিতাচারে পূত্রের চোখের নীচে কালি পড়েছে- মুখখানা ম্লান থাকে- পূত্রের মলিন মুখ তার হৃদে শেলের মতো বিঁধে। তিনি জিব্রাইল মারফত খবর নিয়ে জানিয়াছেন এ বৃদ্ধ ৫০ বছর আগে কোনো এক পুন্নিমা রাতে স্ত্রীকে ত্যাগ করে এখানে এসে ভাবতে বসেছিলো- চন্দ্রগ্রস্ত এই যুবা সময়ের সাথে বৃদ্ধ হইয়াছে- তবে তাহার মুখের জ্যোতি ম্লান হয় নি- এ জ্যোতি বহ্মাচার্যের জ্যোতি- এ জ্যোতি অপাপবিদ্ধ কল্পনার জ্যোতি। তিনি তাকাইয়া দেখেন আর মনটা প্রশান্তিতে ভরে যায়- তিনি ঠিক করিলেন পূত্রকে ইহার শিষ্যত্ব বরণ করিতে বলিবেন- আহা মধুঝড়া মুখের জ্যোতি তার- মুন্ডিত কেশ বৃদ্ধ চোখ মেলে দেখিলেম ম্লান আলোকবর্তিকা জড়িত একজন হেঁটে চলে যাচ্ছেন পাশে লাল সাদা একটা বাক্স বহন করছে একজন তাহার তৃতীয় নয়ন জ্যোতিময়। সেখান থেকে আলো নির্গত হচ্ছে। তার প্রসন্ন মুখে স্মিত হাসি আসিলো- যাউক এত দিনে প্রার্থনায় সিদ্ধি লাভ হলো।

ইশ্বর আসিয়াছিলেন, আহা তাহাকে দেখিতে পারিলাম না= তবে সমসয়া নেই- ডাকার মতো ডাকিলে তিনি আবারও আসিবেন- প্রসন্ন মুখে বৃদ্ধ আবারও ধ্যানে বসিলেন। ইশ্বর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত শকটে বসিয়া উর্ধগমন করিতেছিলেন। তিনি পারিপার্শিকের বর্ণনা লিখিয়া রাখিতেছিলেন তাহার পামটপে- তাহার আলোয়ান পাশে পড়িয়া আছে- জব্রাইল পায়ের কাছে অনুগত কুকুরে মতো বসিয়া আছে- ব্যাটারি নামাতে বলেন নি ইশ্বর তাই ব্যাটারি সম্পর্কিত আশু কর্তব্য কি তা নির্ধারণ করিতে পারিতেছে না সে। -------------------------------- ইশ্বরের লেখার তাগিদ এসেছে আজ, তিনি বৈকালে পামটপের ভাবনাগুলোকে ছন্দে ছন্দে সাজাচ্ছিলেন তার বাঁধানো খাতায়, বায়তুল মোকাদ্দিসের সিন্দুক থেকে অনেক দিন পর তিনি খাতাখানা বাহির করিলেন- অনেক দিন পর লিখিতে বসিয়াছেন তিনি এসময় তাহার মনোযোগ বিক্ষিপ্ত করা উচিত হইবে না এটা অনেক ভাবে বুঝাতে চাইলেও নাছোড়বান্দা মোহাম্মদ তাকে কিছুতেই নিবৃত করা গেলো না- প্রহরী যতই বলে আপনি সন্ধ্যায় আসুন, তখন তিনি হাতের কাজ শেষ করে শান্তিতে শ্রান্তিতে আপনার সাথে কথা বলবেন- মোহাম্মদ ক্ষিপ্ত, চরম ক্ষিপ্ত তার প্রাণাধিক প্রিয় দৌহিত্রকে আত বড় অপবাদ দিয়াছে০ তাহার দৌহিত্রকে অপমান, তাও এই স্বর্গলোকে- এও সম্ভব? মোহাম্মদ যখন প্রবেশ করিলেন তখন ইশ্বর কুঁচকির খুঁজলি চুলকাচ্ছিলেন আয়েশে আমোদে তার চোখ বুজে ছিলো- আনন্দে তার চোখমুখ উজ্জল ছিলো- চুলকানোর ফাঁকে ফাঁকে পরবর্তী ছন্দ মিলাচ্ছিলেন ইশ্বর- আমোদে বাধা পড়িলো- ধুপ ধাপ শব্দে চোখ মেলে তাকিয়ে দেখলেন থমথমে মুখে মোহাম্মদ দাঁড়িয়ে আছে তার সামনে। সামান্য বিরক্ত হলেও সেই বিরক্তি গোপন করে তিনি প্রাণপ্রিয় বন্ধুকে সাদর সম্ভাষণ জানালেন- কর্তব্যবোধ লুপ্ত না হয়ে তাকে হাত ধরে কুশনে বসালেন কুশলাদী জিজ্ঞাসা করিবার আগে তিনি হাততালি ডাকিলেন পরিচারিকাকে- মেরে পেয়ারে হাবিবকে লিয়ে শেরাবান তাহুরা লে আও দোস্ত কি খবর? মুখ গোমড়া ক্যান? বিবিদের ঝগড়া মিটে নাই এখনও? রাখো তোমার বিবিদের প্যাঁচাল- মাইয়া মানুষের যন্ত্রনায় জীবন অতিষ্ট হইয়া গেলো- ঘরে বিবিরা চুলাচুলি করে, খাদিজা বিবিকে ঘরে থেকে বাহির করিয়া দিয়াছে- আর যুবতি বিবিদের সাথে মুখ লাড়িতে না পারিয়া মুয়ামেনা বারান্দায় বসিয়া কান্দে- এটাও দুঃখের কথা না- বন্ধুর দুঃখে ইশ্বর সহমর্মিতা প্রকাশের ভাষা হারাইয়া ফেলিয়াছেন- এত বিবি ম্যানেজ করতে হ্যাডম লাগে, তবে তাহার অবস্থা যে সঙ্গীন এটা বুঝাই যায়= হুমম বলিয়া ইশ্বর মাথা নাড়িলেন- দুঃখটা হইলো মোছলেমাকে নিয়া- ঐ বেটি আব্দার করিয়াছিলো ইমামতি করবে- তো ইমামতির অনুমতি দইলাম- আমার কাপড় পরিস্কার ছিলো না- জানোই তো ঘরে কুরুক্ষেত্র আর আমার ১০ বিবি তাও শালার নিজের কাপড় নিজেকেই কাঁচতে হয়- ইশ্বর দুঃখটা অনুভব করিয়াই যেনো আহ বলিলেন- মনে মনে কিঞ্চিৎ আমোদও বোধ করিলেন তিনি= তাহার ঘরে কোনো বিবি নাই গৃহশান্তি বিঘ্নিত হইবার কোনো সম্ভবনা নেই- কোনো পেরেশানি নাই- তো আমার নামাজে যাইতে দেরী হইয়াছে- গিয়া দেখি নামাজ শেষ- আমার দৌহিত্রকে নিয়া বান্দীর পো বান্দী দেবদুতেরা হাসাহাসি করে- আহা কি হইয়াছে বলিবা তো খোলাসা করে হাসানকে নিয়ে হাসাহাসি করে ক্যান? ঐ যে মোছলেমা, ইমামতি করিতেছিলো- যেইনা রুকুতে গিয়াছে সাথে সাথে হাসানের সামনের কাপড় উঁচু হইয়া গিয়াছে, এই নিয়া মশকরা করে বান্দীর পুতেরা- নামাজের কি হইলো? নামাজতো ঠিকভাবেই সমাপ্ত হইয়াছে- তবে হাসান নাকি নামাজ ফেলে মাঝপথে ফরজ গোসল করিতে গিয়াছে- এই নিয়াই হাসাহাসি- ইশ্বর বুঝিলেন বিষয় গুরুতর, আশু সমস্যার সমাধান করা প্রয়োজন- তিনি বলিলেন দোস্ত এক কাজ করো ব্যাক ডেটে সাক্ষর করে তোমার অনুসারীদের একটা পত্র লিখো, জিব্রাইলকে দিয়ে পাঠিয়ে দিবো- ওখানে লিখো কোনো মেয়ে পুরুষদের সামনে দাঁড়া হইয়া ইমামতি করিতে পারিবে না- তবে যদি আলাদা করিয়া মেয়েরা নামাজ পড়ে তবে সেখানে তারা ইমামতি করিতে পারিবে- তবে পুনশ্চতে একটা কথা অবশ্যই লিখিবা- মার্টিনা নাভ্রাতিলোভার সামনে যেনো কোনো মেয়ে ইমামতি না করে।

---------------- সন্ধ্যার একটু আগে ইশ্বর জরুরি সভা তলব করিলেন- নামাজে উপস্থিত সবাইকে আসিতে বলিলেন তিনি- ইত্যবসরে তিনি সিন্দুক থেকে বাঁধানো খাতা খুলিয়া তাহার নতুন শ্লোক সবাইকে শুনাইলেন- হে ইমানদার বান্দাগন লজ্জা তোমার করো গোপন লজ্জা গোপন করো পরস্পরের বাজারের কিংবা ঘরের সব দিনের শেষের যে দিন রাখিলে গোপন, আমার এ ঋণ শুধিবো আমি আখেরের দিনে লজ্জা যদি রহে গোপনে। । ইহার মর্মার্থ বুঝিয়া দেবদুতগন গম্ভীর মুখে উঠিয়া চলিয়া গেলেন ইশ্বরের মনে পড়িলো তার পূত্রের কথা- তিনি ডাকিলেন পুত্রকে- বলিলেন তোমাকে পৃথিবীতে যেতে হবে পুনরায়- সেখানে মুন্ডিত কেশ সৌম এক বৃদ্ধকে দেখিয়ে বৃক্ষ ছায়ায় বসিয়া আছে- তাহার মুখের জ্যোতি তাহাকে বিশিষ্ট করিয়াছে- তুমি তাহার কাছে অনধিক দ্বি বৎসর কাল অধ্যয়ন করিবে- ইশ্বর ভুলিয়া গিয়াছিলেন তাহার ঘড়ির কাঁটা আর পৃথিবীর ঘড়ির কাঁটা এক নয় অনেক তফাত- তাই তাহার উর্ধগমনের পর লিখতে বসবার মুহূর্তেই বৃদ্ধের মৃত্যুদশা উপস্থিত হইয়াছিলো ধ্যানে বসিয়াই তাহার মৃত্যু ঘটে- অনেক দিনের না কামানো চুল আর দাড়ির জঙ্গল পরিস্কার করে তাহার সৎকার সমাপ্ত হলো- এক নাপিত কিছু চুল টোকাইয়া ট্যাঁকে ভরিলো- অনেক অনেক দিন পরের কথা, সার্ক গঠিত হইলো- সেখানের এক সদস্য দেশের মন্ত্রী পরিষদের সদস্যরা সে চুলের কিয়দংশ লইয়া যাইবে সোনার লঙ্কায় এমনটাই ঠিক হইলো- তবে উহা কোন স্থানের কেশ ইহা নাপিত গোপন করিয়াই রাখিয়া ছিলো আজীবন- কখনও প্রকাশ করে নাই- ----------------------------------------- ইসার আগমনে বিলম্ব দেখিয়া মাহাদি আর ভরসা করিতে পারে নাই- সে ধরাধামে অবতীর্ণ হইয়াছে- এই সময়ের ভেতরেই মার্টিনা টেনিস থেকে অবসর নিয়ে বেস বল খেলা শুরু করেছে- তাহার পঞ্চাশোর্ধ বয়সেও শিয়রের কাছে নানা মাপের বেসবল ব্যাট দেখিয়া অনেকেই মুখ টিপিয়া হাসে- সেখান থেকে এক ওয়া ব্যাট চুরি করিয়া বিপ্লব পাকাইয়া তুলিয়াছিলো- বেশ গোলমেলে পরিস্থিতি হইয়াছিলো তখন- -------------------------------------------- ইশা রাতের অন্ধকারে ব্যাগ গুছাইতেছিলো- আচমকা দরজায় আলতো টোকা- এক হুর আসিয়া বলিলো আমি মা হতে চেলেছি- এখন কি করিবো তুমি বলিয়া যাও ইশা গোছানো ব্যাগ এলোমেলে করে কোথায় নিরুদ্দেশ হইলো তাহা আর জানা যায় না- পৃথিবী পাপের বিষবাস্পে ভরিয়া ঢাকিয়া গেলো ------------- অবশেষে ইশ্বর মনস্থির করিলেন ইহাই শেষের সে দিন- ইস্রাফিলকে কহিলেন বাঁশী হাতে দাঁড়াও, প্রাণপনে ফুঁ দিবে একটা- রেডি ওয়ান টু থ্রি পোঁওও ওওও ওওওও ওও বিকট আওয়াজ হইলো- ইশ্বর নীচে তাকাইয়া দেখিলেন কিছুই হয় নি কটমট চোখে তাকাইলেন ইশ্বর ইস্রাফিলের দিকে- ইস্রাফিল লাজুক হাসি দিয়া বলিলো- বাদাম ভাজা আর চানাচুর বড়ো চাপ দিতেছে- রেডি ওয়ান টু থ্রি- ভোজবাজীর মতো ধুলায় চারপাশ অন্ধকার- পৃথিবী পরিস্কার - আবার বাঁশী বাজলো, কব্বর থেকে সব মৃতেরা উঠে মার্চ করতে করতে রওনা দিলো হাশরের ময়দানে- লেফট রাইট লেফট রাইট লেফট- আরামে দাঁড়াও- আজরাইল আগে স্বর্গে পিটি ক্লাশ নিতেন- সে অভ্যাস এখনও যায় নি- হুকুম দেওয়ার পর সবার পেছনে ঘুরে ঘুরে সে দেখছিলো হাত ঠিক মতো বেঁধেছে কি না এরা- সারি সারি ন্যাংটা পাছার মাঝে কিছু মসলিনের পাজামা পড়া মানুষ দেখা যাচ্ছে- কৌতুহল থেকে তাদের সামনে ডাকলেন তিনি- কি হে সবাই ন্যাংটা মার্চপাস্ট করছে তার তোমরা পাজামা পড়ে এসেছো ক্যানো? জানো না নিরাপত্তার জন্য এখানে কাউকে কাপড় পড়ে আসতে নিষেধ করা হয়েছে- ঐ যে দেখছো মখমলের সোফা- ওটাই আরশ- ওখানে বসেই ইশ্বর বিচার কার্য পরিচালনা করিবেন- অতীতে অনেকেই তাহার প্রাণনাশের অপচেষ্টা করিয়াছিলো- বিচারের রায় শুনে ক্ষিপ্ত উন্মত্ত মানুষেরা যেনো অস্ত্রাঘাতে তাকে হত্যা করতে না পারে এজন্যই এমন কঠোর নিরাপত্তা ব্যাবস্থা- পাজামাপড়া মানুষের দল বললো- আমাদের কোনো দোষ নেই- স্বয়ং ইশ্বর আসিয়া এসব পাজামা উপহার দিয়াছেন আমাদিগকে- বড় আরামের জিনিষ- পড়ে অনেক সুখ আজরাইল মাথা চুলকাইয়া কহিলেন- আপনারা কি কোনো স্পেশাল ফোর্সের সদস্য? সকলে সমস্বরে কহিলো না হুজুর আমরা নাপিত-


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.