আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাবমেরিন কম্পিউটার



একটু ফ্ল্যাশব্যাক, নব্বুইয়ের দশকের মাঝামাঝির কথা বলছি। তেরানব্বই চুরানব্বই হবে, নতুন জিনিষ আসিয়াছে, নাম কম্পিউটার। তো সেই জিনিষের বিষয়ে ক্লাশের বিভিন্ন জনের বিভিন্ন করমের অভিজ্ঞতা, কেউ হল আমি কম্পিউটার দেখসি, আরেকজন বলে আমার খালার বাড়িতে কম্পিউটার আছে সেইটা আমি টিপে দেখসি। কেউ বলে আমি কম্পিউটার জানি, আবার কেউ বলে আমি সফটওয়ার জানি, একদিন একজন কইল যে আমি প্রোগ্রামিং জানি, তো পোলাপান তারেই বিল গেটস বানায়ে দিবার অবস্থা। আহারে মজার দিনগুলি।

আমরা যখন নটরডেমে ভর্তি হলাম, সেই বছরেই প্রথম কম্পিউটার সাইন্স সিলেবাসে ঢুকল। আর যথারীতি বায়োলজি ফাঁকি দেবার জন্য জলদি গিয়া ভর্তি হইলাম। টিচারো নতুন, সাবজেক্টও নতুন, বেশ মজা করেই ক্লাশ করতাম। আমাদের আনিস সারের ক্লাশে একবার একটা প্রশ্ন বের হল, সেটা হল, একটা নরমাল সেটাপের কম্পিউটারকে যদি পানির তলে নিয়ে যাওয়া হয়, তাহলে কি হতে পারে। এক গ্রুপের হিসাবে দুই সেকেন্ডের মধ্যেই শর্ট সার্কিট করে বুম।

আর আরেক পার্টির বক্তব্য অনুসারে, যেহেতু ডেস্কটপ টাওয়ারের ভিতরের সমস্ত অংশই ক্লোজড সার্কিট, তাই বৈদ্যুতিক চার্জ বাইরে আসার সুযোগ পাবে না। ফলে মোটামুটি সাবমেরিন হয়েও টিকে যাবার কথা। যোতদূর মনে পড়ে ওই নিয়েই তক্ক বিতর্ক করেই সেদিনের ক্লাশ আমরা পার করে দিয়েছিলাম। কদিন আগে একটু ঘাঁটাঘাটি করে দেখলাম যে, জিনিষটা আসলে সম্ভব আমাদের আজকালকার কম্পিউটারে পার্টস দিয়েই, শুধু পানিতে জিনিষটা একটু ট্রিকি। এক ড্রাম তেল ঢেলে তার ভিতরে দিব্যি কম্পিটার চালানো যায়।

প্রমাণ হিসাবে ভিডিও দিয়ে দিলামঃ)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.