আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একদিনে তোর সুখ যে বড় ওরে ও মোর পাকস্থলি।

[অন্যর দোষ না খুঁজে আগে যদি সবাই নজের দোষটা খুঁজত তাহলে বোধহয় সব সমস্যার সমাধান হয়ে যেত]............... [পথের শেষ নেই, আমার শেষ আছে, তাইত দ্বন্দ্ব] http://mamunma.blogspot.com/

পাকস্থলিকে তার প্রয়োজনের বেশী খাদ্য দ্রব্য আত্তিকরণে বাধ্য করতে হলো দুপুরে আর রাতে। যখন হয় একটু বেশী করেই হয়। আহার্য গ্রহনের এই ব্যাপারেই নয় শুধু। এই সত্য জীবনের অন্যান্য এসপেকস্টস এর বেলাতেও সত্য হয়েই কিন্তু ধরা পড়ে। অথচ ঘুম পরিত্যাগের পরবর্তীকালে দিনের শুরুতে সেই সাত সকালে ব্যাপার টা এমন ছিলনা।

সকালে শুকনো রুটি আর বিষাদ ডাল আর বিরক্তিকর ডিম ভাজি মুখে আস্বাদের প্রয়োজন মিটাতে সক্ষম না হওয়ায় আধক্ষুধা বা তারও একটু বেশী অপূর্ণ রেখেই অফিসে গমন করতে হয়েছিল। পূর্বে ব্যক্ত করা হয়েছে আমার এই নির্জন সেচ্ছা নির্বাসনের বিগত দীর্ঘ কালে নির্জন একাকীত্ব , অপরূপ সাগর রূপ আর কর্মের অনাধিক্য যতই সুখ সুখ ভাবের উদ্রেগ ঘটাক না কেনো, খানা গ্রহনের তীব্র অসুবিধা বিরহ সৃষ্টি করতে কভূ ঘুনাক্ষরেও পিছুপা হয়নি, মাঝে মাঝে কিছু ভোজন সুসময় যদিও এসেছে তাও সেটা স্বপ্রণোদিত অথবা কোন ঢাকা হতে আগত গেষ্টের বদৌলতেই। কিন্তু এই পট পুরো বদলে গেলো আজ দুপুরের প্রারম্ভেই । অফিসের এক স্টাফ , যিনি কক্সবাজারের স্থানীয় , দুপুরে দাওয়াত করেছিলেন আমাদের এইখানে অফিসার তিনজনকে( আমি সহ অন্য কলিগ আর আমাদের বস)। উহ সে অসহ্য খাওয়া।

পাকস্থলি প্রথমে খুশি হলেও , অতি খুশিতে তার বাক রুদ্ধ হওয়ার মতো অবস্থা ছিল। কেনোই হবে না। রূপচাদা ফ্রাই , ইলিশ শর্ষে, ফাইস্যা মাছ ফ্রাই , চিংড়ের দোঁ পেয়াজা অর্থাৎ মৎসের মহোৎচ্ছবের পরে মুরগী আর খাসীকে সাদর অভ্যর্থনা জানানোর মতো অতোটা মতা পাকস্থলি বহু পূবেই হারিয়েছিল। আর ডাল তো সে দেখেই নি চোখ খুলে। ¯প্রাইট আর স্পঞ্জ মিষ্টির লোভটাকেতো আর দূর করা যায়না।

লোভের বশে মানুষই ভুল কওে আর ওতো আামর শান্ত দুখী পাকস্থলি। ও তো দুপুরের বেলা। রাতে হোটেল সায়মনে চাইনিজ ফুডের দাওয়াত দিল আমার আর এক স্টাফ আমাদের এই অফিসার তিনজনকে। আবারও পাকস্থলিকে সুখ স্বপ্ন দেখানো হলো। সে স্বপ্ন দেখে বিভোর হলো।

স্থান সঙ্কুলানের বিষয়টি সে ভূলবেই তো। এখন চলছে তাই পাকস্থলির অতিরিক্ত জায়গা দখলের পরবর্তী ঠেলাঠেলি অন্যান্য অঙ্গ গুলানের সাথে। এরই মাঝে আমার বস জিজ্ঞাস করে বসলেন, ‘ কি মামুন তোমাকে তোমার স্টাফ রা এত খাওয়াচ্ছে কেনো, তুমি কি সত্যি সত্যি কক্সবাজার ত্যাগ করে ঢাকা চলে যাচ্ছো না কি’। স্যার কে বলতেই হলো , স্যার জানিনা। তবে সুযোগ পেলে তো অবশ্যই যাবো।

২০/৬/০৭


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.