আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাইশ অব্দের বাংলাদেশ

জ্ঞান শূন্য একজন মানুষ|সাধারনের চেয়েও সাধারন|প্রতিভার মধ্যে হাটা,খাওয়া,ঘুমানো,কথা বলা ছাড়া তেমন কিছু নাই|মুক্তমনাদের প্রতি আকর্ষন বেশি|যাহাই খাদ্য তাহাই প্রিয়|কষ্ট পেতে খারাপ লাগে না,সুখ পেলে সহ্য হয় না|নতুন বন্ধু পেতে আগ্রহী… ধর্মীয় কিংবা রাজনীতিক অর্থে নয়, প্রশ্নটি ভৌগলিক অর্থেঃ বাইশ অব্দে বাংলাদেশ কি টিকে থাকবে পৃথিবীর মানচিত্রে? কতদিন টিকে থাকবে এই হতদরিদ্র মানুষে ভরা পলিমাটির অসহায় ভূখন্ডটি?যে দেশে মানুষ মানুষের আয়ু নিয়ে ভাবে না,অর্থাৎ আমরা বাঙ্গালীর আয়ু নিয়ে ভাবি না সেখানে দেশের আয়ু নিয়ে ভাবনাটা বাড়াবাড়ি বলে মনে হতে পারে। বর্তমান ২০১২ অব্দের এই ক্ষুধা দরিদ্রের দেশে জন্ম হাহাকার সৃষ্টি করে, মা নুষকে করে তোলে আতংকিত। মৃত্যু পরিতৃপ্তি বা পুলকের সৃষ্টি করে। অপমৃত্যু স্বাভাবিক ও কল্যানের ব্যাপার। বাঙ্গালী অপমৃত্যুকে কল্যান বলে মনে করে ।

যদি অপমৃত্যু কে কল্যান বলে না মনে করত তাহলে মাত্র ৬ মাসে ২২৭২ জনের অপমৃত্যুর পরেও তারা চুপ কেন?যদি কল্যাকর মনে নাই করতো তাহলে তাদের মাঝে কোন প্রতিক্রিয়া নেই কেন? আর যদি তারা এই অপমৃত্যুকে ঘৃনা করে তাহলে তারা সরিস্রিপের বংশধর। শীতল রক্ত বিশিষ্ট !!! হায় বাঙ্গালী! কোন অপমৃত্যুই কোন জাতীকে কখনো এত নিঃশ্চুপ করে রাখেনি। এই বিশাল সংখ্যক অপমৃত্যু কোথায়, কিভাবে, কেন ঘটলো তা জানার কোন আগ্রহ নেই আমজনতার। এমন কি রাষ্ট্রেরও নেই। বরং এ খবর চেপে রাখার চেষ্টা চারিদিকে।

অপমৃত্যুই আমাদের নিয়তি!!!! যেখানে আমরা মানুষের কথাই ভাবি না, সেখানে কে ভাবে দেশের কথা ??? এই দেশের মাটি তো হাহাকার করে না, মিছিল করে না। গনতন্ত্রের কথা বলে না সমাজতন্ত্রের কথা বলে না, একনায়কতন্ত্রের কথা বলে না, ক্ষুধার কথা বলে না , শিক্ষার কথা বলে না। কিন্তু তার তো একটা শরীর আছে। তার শরীরটা বাঁচবে কতদিন? তাকে কি রোগে ধরে না? ধরে । তাই তার স্বাস্থ্যের খবর নেয়া দরকার ও চিকিৎসা করা দরকার।

স্বাস্থ্যের খবর যে নেয়া দরকার তার জন্য আমরা খুব উদ্বিগ্ন হই আর না হই কিন্তু পশ্চিমাদের ঠিকি এটা নিয়ে মাথা ব্যথা আছে। কারণ তাদের স্বার্থ এখানে জড়িত। তারা বলে দিয়েছে ২০৫০ অব্দের মধ্যে বাংলাদেশের অর্ধেক ও ২১০০ অব্দের মধ্যে পূরোটা ডুবে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। এই মহাপ্রলয় হওয়ার আশংকার পিছনে অনেক গুলো কারণ আছে । তার মধ্যে অন্যতম একটি কারন হচ্ছে পরিকল্পনাহীনভাবে খনিজ সম্পদ উত্তোলন ।

সব দোষ অবশ্য বাঙ্গালীর একার নয়। শিল্পন্নত দেশের কারখানায় কারখানায় উৎপাদন চলে। আর এই উৎপাদন করার জন্য লাগে প্রচুর উত্তলিত কয়লা গ্যাস ও তেল। যা তারা বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানী করে । শুধু আমদানী নয় তারা সেই দেশগুলো থেকে নিজেরাই এই খনিজ সম্পদগুলো উত্তলোন করে অপরিকল্পিতভাবে, যার ফল ভোগ করতে হয় আমাদের মত হতদরিদ্র দেশগুলোর।

যেমন ভোগ করছে নাইজেরিয়া। বাংলাদেশেও কিছু শোসক শ্রেনীর কোম্পানী প্রবেশ করেছে। যারা অপরিকল্পিতভাবে আমাদের দেশের খনিজ সম্পদ উত্তলোন করছে এবং ভবিষ্যতেও করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ফুলবাড়ীর কয়লাখনি দিয়ে আপনাদের একটা ছোট্ট উদাহরণ দেই, যে কিভাবে এই কোম্পানীগুলো আমাদের ভৌগলিক পরিবেশ নষ্ট করছে ও ভবিষ্যতে ও করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এরা এখানে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উত্তলোন করবে ।

এই উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উত্তলোন করতে হলে তাদের সেখানে প্রচুর পরিমানে পানি নিষ্কাষিত করে সেই স্থানটিকে ভূমধ্য সাগরিও অঞ্চলে পরিনত করতে হবে। সহজ ভাষায় মরুভূমী সৃষ্টি করবে। যার ফলে আমরা উত্তর বঙ্গের মানুষেরা পাব উট চরানোর মরুভূমী ক্ষেত্র। কি চমৎকার !!! কথা এখনেই শেষ নয় , এই জায়গা থেকে পানি নিষ্কাষনের ফলে গভীর শূন্যতার সৃষ্টি হবে এবং এ অঞ্চল ধিরে ধিরে ডেবে যাবে। অপরদিকে নিষ্কাষিত পানিগুলো অন্যান্য অঞ্চলে গিয়ে প্লাবনের সৃষ্টি করবে।

যার ফলে আমরা একটি দেশে মরুভূমী ও প্লাবিত ভূমী পাব। হয়ত পশ্চিমাদের কথামত আগামী ১০০ বছর এ বাংলাদেশ মরুভূমী ও প্লাবনের মাধ্যমেই বিলুপ্ত হয়ে যাবে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে । হয়ত বাঁইশ শতকে পৃথিবীতে বাংলাদেশ নামে কোন দেশ থাকবে না। থাকবে শুধু কিছু শোসক শ্রেনীর মানুষের দল ভিন্ন জাতীয় হয়ে। হয় আমেরিকান নয়ত ভারতের পরিচয় নিয়ে ।

যদি সত্যি কখনো এমন মহাপ্রলয় হয় আর, তখন যদি এমন সরকার থাকে তাহলে তারা মহাপ্রলয় মোকাবেলা না করে হয় সাঁতরানো শুরু করবে ভারতের কাটা তারের বেড়া ছোঁয়ার জন্য, নতুবা উড়াল দিবে আমেরিকার উদ্দেশ্যে। আর বাকি আমজনতারা মৃত্যু আত্মচিৎকারে সংগীত রচনা করবে শোষিত মানুষের জন্যে!!! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।