আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছাদের কার্ণিশে কাক - ১৩

। । । ক্লান্তি আমায় ক্ষমা করো । ।



হ্যালো মিস্টার রাজর্ষি: কেমন আছেন? কেমন কাটছে দিনকাল? 'সবিনয় নিবেদন' পড়িনি। তবে অডিও শুনেছি। কী নাম যেন - মফিদুল ইসলাম আর শান্তা শ্রাবন্তীর অ্যালবাম মনে হয়। সবিনয় নিবেদনের মনে রাখার ব্যাপার হচ্ছে - সম্বোধনগুলো; অপরিচেতষু, সুজনেষু এরকম আরো দারুণ দারুণ কিছু শব্দ।

বুদ্ধদেব গুহের 'মাধুকরী' নাকি খুব আলোচিত উপন্যাস। আপনি পড়েছেন? আমি একবার পড়া শুরু করেছিলাম, কঠিন মনে হয়েছে। তাই আর আগ্রহ পাইনি। বুদ্ধদেব শিকারী মানুষ। খালি বন জঙ্গল আর পাহাড়ে ঘুরে বেড়ায়।

উপন্যাসগুলোও সেরকম। আচ্ছা, আপনাকে রাজর্ষি বললাম বলে রাগ করলেন না তো? রাগ করলে কিছু করার নেই, আমি ঋতু রায় না। আমি বেলা, আপনি বড়জোর বেলা বোস বলতে পারেন। অতটুকু অধিকার আপনাকে দিলাম। হি: হি: হি:।

ভালো চাকরী হলো, এবার ভালো দেখে একটা বৌ জোগাড় করে ফেলেন। সংসার শুরু করেন। আপনার পছন্দ কেমন জানি না। কোন ক্যাটাগরীর মেয়ে পছন্দ করেন জানাবেন, দেখি ঘটক পাখী ভাইয়ের কাজটা করতে পারি কি-না। লোল।

টেক কেয়ার! < বেলা > ----------------------------------- ঘটক পাখি বেগম: আপনার মেইল পেয়ে আমি যারপরনাই আনন্দিত। আমার বিবাহের প্রজেক্ট হাতে নেয়ার যে প্রস্তাব আপনি পেশ করিয়াছেন উহাতে আমি খুশি। কিন্তু, এই লাইনে আপনার অভিজ্ঞতা কতদিনের উহা জানার আগ্রহ ছিল। হা হা হা। না ম্যাডাম।

আপনাকে আমার জন্য পাত্রী খোঁজার গুরু দায়িত্ব দিবো না। কোনদিকে আবার কী অঘটন ঘটিয়ে ফেলবেন, ঠিক নেই। আপনি লিখেছেন - 'বৌ জোগাড়' করতে। সর্বনাশ! কার বৌ ভাগিয়ে আনবো? শেষে র্যাবের হাতে ক্রসফায়ারে যেতে হবে। সবিনয় নিবেদন অডিও শুনেছেন? তাহলে আসল মজা আপনি পাননি।

চিঠি পড়তে হয়, শুনতে হয় না। শুনতে হয় নাটক। সবিনয় নিবেদন অডিও শুনলে আপনি অন্তত: দুটো জিনিস মিস করেছেন - ১) হিয়ার মাঝে লুকিয়ে ছিলে ২) কুমির। আমি ডিটেইল বলবো না, আপনি নিজে পড়ে নিবেন। তারপর জানাবেন - অডিও শুনে কতটা মিস করেছেন।

হুমম, মাধুকরী খুব আলোচিত উপন্যাস। খানিকটা ধৈর্য্য ধরে পড়তে হয়। মানবিক সম্পর্কের হিসাব-নিকাশ দারুণভাবে বুদ্ধদেবের লেখায় উঠে আসে। বাই দ্য ওয়ে, বুদ্ধদেব নিজে কিন্তু চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। নাহ, আমার রাজর্ষি হওয়ার কিংবা আপনাকে ঋতু রায় ভাবার কোন অপশন দেখছি না।

আপনার হাই, হ্যালো দিয়ে শুরু করা, শেষে গিয়ে স্পেশাল ব্র্যাকেটে বেলা লেখাটাই থাক। অফিসে ইদানিং কাজের চাপ, মাঝে ওভারটাইম করছি রাতে। আপনি ভালো থাকবেন। - সরণ ------------------------------------ হাই, দারুণ একটা জিনিস খেয়াল করেছেন। আমি মেইলে আপনাকে সম্বোধন করি হাই/হ্যালো।

শেষে বেলা থাকে ব্র্যাকেটে। আর আপনি শুরুতে বেলা লিখে কোলন চিহ্ন দেন, শেষে একটা হাইপেন দিয়ে সরণ লিখেন। হি হি:। এটাই থাক। আমাদের প্যাটেন্ট স্টাইল।

আরো একটা ব্যাপার আছে। আমি মেইল লিখি প্যারাগ্রাফ স্টাইলে। আর আপনি প্রায় প্রতি লাইন লিখেই এন্টার দেন। ফলে যেটা হয় - আমার মেইলগুলো দেখতে ছোট লাগে, আর আপনার মেইলগুলো বড় দেখায়। এটা হলো - ফাঁকিবাজ ছাত্রদের লেখার স্টাইল।

আমি নিশ্চিত - আপনি ফাঁকিবাজ ছাত্র ছিলেন। মেইলে প্রমাণ পাচ্ছি। আপনার মেইল পড়ে 'সবিনয় নিবেদন' পড়ার লোভ হচ্ছে। দেখি, খুব কুইকলি পড়ে ফেলবো। আপনার বিয়ের প্রজেক্ট যখন হাতে পেলাম না তখন অনেকটা সময় হাতে থাকলোই, ভালো কিছু বই পড়েই কাটাই।

লোল। ভেবেছিলাম, অনেক বড় মেইল লিখবো আজ, কিন্তু এখন আর লিখতে ইচ্ছে করছে না। ঘুম পাচ্ছে। রাত দু'টা বাজে। আপনি কী এখন অফিসে ওভারটাইম করছেন? আপনার মেইলের অপেক্ষায়।

< বেলা > ---------------------------------------------- বেলা: আপনার মেইল পেলাম এক্ষুণি। বলা যায় - মধ্যরাতের ডাকপিওনের হাত ধরে আপনার মেইল আসলো। ঠিক ধরেছেন - আমি এখন অফিসে। রাত এখন আড়াইটা। আপনার মেইলটা দু'বার পড়েই রিপ্লাই করছি।

খুব মজা পেলাম। আমি মেইল লেখার এত্তো ব্যাপার খেয়াল করিনি। ঠিক ধরেছেন - আমি আসলেই ফাঁকিবাজ ছাত্র। অল্প পড়ে কীভাবে পাশ করা যায় ওটা মাথায় ঘুরতো সারাক্ষণ। অফিসে এসেও ফাঁকি দিচ্ছি।

রাতের বেলা কল সেন্টারে তেমন ব্যস্ততা থাকে না। আমি ইমদাদুল হক মিলনের 'যাবজ্জীবন' পড়ছি। দারুণ উপন্যাস। আমার পাশের কলিগ - লো ভলিউমে গান শুনছে। হাবিবের - 'এসো তবে বৃষ্টি নামাই'।

আর কী লিখবো বুঝতে পারছি না। অনেকদিন পর একটা জোকস বলি আজ- "ক্লাস ওয়ান পড়ুয়া মেয়ে তার বাবাকে বলছে - 'আব্বু, বলতো - আপু কী অন্ধকারে দেখতে পায়?' বাবা তো অবাক - 'কেনো মা মণি, এ কথা কেন বলছো?' - না মানে গতকাল যখন কারেন্ট চলে গেল, আপু তখন টিউটর স্যারকে বললো - 'স্যার শেভ করেন না কেনো? খোঁচা খোঁচা লাগে। " হা হা হা। অযুত নিযুত শুভকামনা। - সরণ ---------------------------------------------- হ্যালো, নিশ্চয়ই ভালো আছেন।

'সবিনয় নিবেদন' পড়লাম গত সপ্তায়। 'মাত্তারমশাই আর কুমির' পড়ে হাসতে হাসতে আমার দম বন্ধ হয়ে আসছিল। বই পড়ে আরো অনেক কিছু জানলাম, যেগুলো অডিও অ্যালবামে ছিল না। বুদ্ধদেব একটা ফাজিল লেখক। আপনি আরও বড় ফাজিল।

শুধু ফাজিল না, ফাজিলের দাদা-নানা; এটা কী জোকস পাঠিয়েছেন? অসভ্য জোকস। আর বুদ্ধদেবকে ফাজিল কেনো বললাম - সেটা নিশ্চয় বুঝতে পারছেন। হি হি হি:। যেমন লেখক, তেমনি তার ভক্ত পাঠক। লোল।

বেস্ট অফ লাক ফর ইউ! < বেলা > (চলবে...)

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৫ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।