আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাচ্চু রাজাকারের মৃত্যুদণ্ড এবং আমার একটি আক্ষেপ!

তোমাদের ভেতর দিয়েই তো সর্বকাল চলে গেছে আমার পথ// এবং সর্বকাল আমি দাঁড়িয়েছি আমি আবার নিয়েছি পথ। গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে গতকাল স্বাধীনতাযুদ্ধের বিরোধিতাকারী জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সদস্য (রুকন) আবুল কালাম আযাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এ রায়ের ফলে জাতি হিসেবে আমরা কলঙ্ক মোচনের বড় একটি ধাপ অতিক্রম করলাম। সবই তো ঠিক আছে, কিন্তু এ অধমের বিরাট একটি আক্ষেপ রয়ে গেলো। আর তা হল, এই মৃত্যুদণ্ড ফাঁসিতে ঝুলিয়ে কার্যকর করার আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

এটা আমার একদমই পছন্দ হয় নি!! ছোটবেলায় রূপকথায় পরতাম, কঠিন অপরাধীদের রাজারা শূলে চড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড দিতেন। কিন্তু শূলে চড়ানো জিনিসটা আসলে কী? সেটা পরে জানতে পারি। 'শূলে চড়ানো' বা 'শূলবিদ্ধ করা' একটি প্রাচীন শাস্তি বা মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পদ্ধতি। একটি সুচালো দণ্ড বা খুঁটিকে দেহের বিভিন্ন ছিদ্রপথে বিশেষ করে পায়ুপথে প্রবেশ করানো হতো। তারপর খুঁটিটিকে মাটিতে গেঁড়ে দেওয়া হতো।

একসময় সুচালো অংশটি অপরাধীর শরীর ভেদ করে বুক অথবা ঘাড় দিয়ে বের হয়ে যেত। অপরাধী ব্যক্তিটি এভাবে একসময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ত। অনেক সময় খুঁটিটির মাথা সুচালো না করে ভোঁতা রাখা হত যাতে হৃৎপিণ্ড বা অন্যান্য প্রধান অঙ্গ বিদ্ধ হয়ে তাড়াতাড়ি মারা না যায়। এতে অপরাধী বেশি কষ্ট পেত। কেননা মারা যেতে কয়েক ঘণ্টা এমনকি একদিন সময়ও লাগত।

এই রাজাকারটাকে যদি জনসম্মুখে পশ্চাৎদেশে সূচালো খুঁটি ঢুকিয়ে শূলে চড়ানো হতো, তাহলে এই অধম আমি বড়োই আমোদিত হতাম!!! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।