আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাচ্চু রাজাকার বৃত্তান্ত

মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকার, পিতা মৃত আব্দুস সালাম মিয়া, সাং-বড়খাড়াদিয়া, থানা-সালথা, জেলা ফরিদপুর। বর্তমানে সেক্টর নং ০৭, রোড নং-৩৩, বাড়ি নং-০৬, থানা উত্তরা, ঢাকা এবং আজাদ ভিলা ২৭৯/৬ চাঁনপাড়া, উত্তরখান, ঢাকায় বসবাস করছেন। ১৯৪৭ সালের ৫ মার্চ ফরিদপুর জেলায় এই আসামি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজে লেখাপড়া করেছেন। মসজিদভিত্তিক এনজিও প্রতিষ্ঠান করেন।

এর চেয়ারম্যান তিনি। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সহযোগী হিসেবে ফরিদপুর জেলায় প্রথমে রাজাকার ও পরে আলবদর বাহিনীর প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এক সময় জামায়াতে ইসলামীর রোকন থাকলেও বর্তমানে কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা নেই বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। খাড়াদিয়ার মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকার জেলা আলবদরের প্রধান ও রাজাকার কমান্ডার (নেতা) হিসেবে অধিষ্ঠিত ছিলেন। বর্তমানে বাচ্চু রাজাকার প্রভাবশালী ধনাঢ্য ব্যক্তি।

তিনি ৫টি এনজিও পরিচালনা করায় তাঁর অনেক অনুসারী হয়ে পড়েছে। তিনি একজন ভাল বক্তা, ওয়াজ-নসিহতের মাধ্যমে তিনি বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য প্রদান করে লোকজনকে প্রভাবিত করেছেন। ১৯৭১ সালে বাচ্চু রাজাকার ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজের ছাত্র ছিলেন। পাকিস্তানপন্থী ইসলামী ছাত্রসংঘের সভাপতি আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন এবং ফরিদপুর ইসলামী ছাত্রসংঘের সক্রিয় সদস্য হিসেবে ১৯৭০ সালে সাধারণ নির্বাচন ও প্রাদেশিক নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী মুসলিম লীগ প্রার্থীর পক্ষে সক্রিয় কাজ করেন। সে কারণে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজাকার বাহিনী গঠন হওয়ার পূর্ব হতে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর অপকর্মের সহযোগী হিসেবে বিভিন্ন রকম অপরাধমূলক কর্মকা-ে জড়িত ছিলেন।

১৯৭১ সালের মে মাসের প্রথমার্ধে ফরিদপুর জেলায় আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চুসহ অন্যদের নিয়ে রাজাকার বাহিনী গঠিত হয়। পরে ফরিদপুরের আলবদর বাহিনী কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আবুল কালাম আজাদ মাদ্রাসায় লেখাপড়ার কারণে ভাল উর্দু বলতে পারতেন। এটাকে পুঁজি করে অন্যায়ভাবে লাভবান ও অসৎ কামনা চরিতার্থ করার লক্ষ্যে তিনি ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ স্বাধীনতাযুদ্ধের প্রারম্ভকাল হতে পাকিস্তানী সেনা অফিসারদের মন জয় করার জন্য সচেষ্ট হন। ১৯৭০-১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামী এবং পূর্ব পাকিস্তান ইসলামী ছাত্রসংঘের ফরিদপুর জেলা পর্যায়ের কমিটির সদস্য আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও আবুল কালাম আজাদ ফরিদপুর স্টেডিয়ামে অবস্থানরত পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতেন।

বাচ্চু রাজাকার পাক বাহিনীর কাছে ফরিদপুর পুলিশলাইনে অস্ত্র ট্রেনিং গ্রহণ করে পাকিস্তানী হানাদারদের কাছ থেকে অস্ত্রপ্রাপ্ত হন। তাঁর ইঙ্গিতে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী স্টেডিয়ামের ভেতরে নিরীহ মানুষকে হত্যা করে স্টেডিয়ামের ভেতরেই মাটিচাপা দিয়েছে। বহু লাশ নদীতে ও ফরিদপুর শহরে ময়লারগাড়ি নামক স্থানে ফেলে দেয়। বাচ্চু রাজাকারের নেতৃত্বে রাজাকার বাহিনী গঠিত হয়। তাঁর দলে ১২-১৩টি রাইফেল ছিল।

এই রাইফেল পেয়ে বাচ্চুর অত্যাচারের মাত্রা চরম আকার ধারণ করেছিল। হাসামদিয়া গ্রামে প্রবেশ করে হিন্দুপাড়ার মাল লুটপাট করেন ও ৪০-৫০টি ঘরে আগুন ধরিয়ে দেন। ফরিদপুর শহরে যে কটি বধ্যভূমিতে শত শত মানুষ শায়িত আছেন, তাঁদের হত্যার নির্দেশদাতা এবং নিজেও সরাসরি হত্যাকারী আবুল কালাম আজাদ। তিনি নিজে গুলি করে অসংখ্য মানুষ হত্যা করেছেন। বাচ্চু রাজাকারের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন বিভাগ যে সমস্ত অভিযোগ এনেছে তার মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন, ১৯৭৩র ধারা ৩(২) (এ) (সি-আই) (জি) (এইচ) তৎসহ ৪(১) হত্যাজনিত গণহত্যার অপরাধ সংঘটিত করা।

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত পলাতক আসামি বাচ্চু রাজাকার হিসেবে পরিচিত আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে ফরিদপুর শহর, বোয়ালমারী, নগরকান্দা থানার বিভিন্ন এলাকায় মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। তঁাঁর নেতৃত্বে ফরিদপুর জেলায় হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, অপহরণ ও দেশান্তরী, যুবতীদের ধরে পাকিস্তানী সেনাদের কাছে সোপর্দ কারার মতো ঘটনা ঘটেছে। জগদ্বন্ধু আশ্রমে হামলা, লুটপাট করার পর ৮ পূজারীকে হত্যা করা হয়। এছাড়া শহরের চকবাজারস্থ বদ্রিনারায়ণের বাড়ির রামকৃষ্ণ আগরওয়ালার বাড়িসহ কয়েকটি বাড়িতে লুটপাট করে ও তাঁদের দেশান্তরিত করা হয়। বাচ্চু রাজাকারের নেতৃত্বে কলারন গ্রামে তৎকালীন জমিদার শুধাংশু মোহন রায়কে অপহরণ ও হত্যা করা হয় ।

পরবর্তীতে তাঁর ছেলে মণিময় রায়কে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে জখম করা হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউটরদের অভিযোগপত্র উপস্থাপনে এ সমস্ত তথ্য পাওয়া গেছে। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকার ১৯৭১ সালে রাজেন্দ্র কলেজের ছাত্র ছিলেন। পাকিস্তানপন্থী ইসলামী ছাত্রসংঘের পূর্ব পাকিস্তানের তৎকালীন ছাত্রসংঘের সভাপতি আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন। ফরিদপুর ছাত্রসংঘের সক্রিয় সদস্য হিসেবে ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন ও প্রাদেশিক নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী/মুসলিম লীগ প্রার্থীর পক্ষে সক্রিয় কাজ করেন।

১৯৭১ সালের ২১ এপ্রিল আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকার স্বাধীনতাবিরোধী অন্যান্য চক্রের সঙ্গে একত্রিত হয়ে পাকিস্তানী সেনাদের অভ্যর্থনা করে ফরিদপুর শহরে নিয়ে আসেন। খানসেনাদের অত্যাচারও বাচ্চুর কাছে হার মানে। এমন কোন জঘন্য কাজ ছিল না যা তাঁর দলের লোক দ্বারা সম্ভব হয়নি। বাচ্চুর দল বিভিন্ন হিন্দু বসতিপূর্ণ গ্রামের মাল লুট করে। সে কাহিনী বড়ই মর্মান্তিক।

খানসেনাদের সহযোগীদের মধ্যে আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকার ছিলেন অন্যতম। ফরিদপুর শহর, বোয়ালমারী থানা, সালথা থানা, নগরকান্দা থানার বিভিন্ন এলাকায় মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয় খাড়াদিয়ার আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারের নেতৃত্বে। বাচ্চুর দল বিভিন্ন হিন্দু বসতিপূর্ণ গ্রামের মাল লুট করে। সে অত্যাচারের কাহিনী বড়ই মর্মান্তিক। বড়খাড়াদিয়ার নিকটবর্তী হিন্দু গ্রাম যেমন ফুলবাড়িয়া, জগনন্দী, উজিরপুর, শ্রীনগর, হাশেমদিয়া ও ময়েনদিয়া প্রভৃতি গ্রামে হিন্দুদের ঘরবাড়ি নিশ্চিহ্ন করে ফেলা হয়।

বাচ্চু রাজাকার এ সমস্ত হিন্দুর মাল লুট করে তাঁদের সর্বস্বান্ত করেছিলেন। বেশকিছু হিন্দু বাসিন্দাকে বাচ্চু রাজাকার গুলি করে হত্যা করেন। হিন্দু মেয়েদের ধরে এনে তাঁদের ওপর তাঁরা পাশবিক অত্যাচার চালিয়েছেন। বহু সোনা ও টাকা ফরিদপুর মিলিটারি মেজরের কাছে জমা দিয়েছিলেন বাচ্চু রাজাকার। মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকার, পিতা মৃত আব্দুস সালাম মিয়া, সাং-বড়খাড়াদিয়া, থানা-সালথা, জেলা ফরিদপুর।

বর্তমানে সেক্টর নং ০৭, রোড নং-৩৩, বাড়ি নং-০৬, থানা উত্তরা, ঢাকা এবং আজাদ ভিলা ২৭৯/৬ চাঁনপাড়া, উত্তরখান, ঢাকায় বসবাস করছেন। ১৯৪৭ সালের ৫ মার্চ ফরিদপুর জেলায় এই আসামি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজে লেখাপড়া করেছেন। মসজিদভিত্তিক এনজিও প্রতিষ্ঠান করেন। এর চেয়ারম্যান তিনি।

মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সহযোগী হিসেবে ফরিদপুর জেলায় প্রথমে রাজাকার ও পরে আলবদর বাহিনীর প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এক সময় জামায়াতে ইসলামীর রোকন থাকলেও বর্তমানে কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা নেই বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। খাড়াদিয়ার মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকার জেলা আলবদরের প্রধান ও রাজাকার কমান্ডার (নেতা) হিসেবে অধিষ্ঠিত ছিলেন। বর্তমানে বাচ্চু রাজাকার প্রভাবশালী ধনাঢ্য ব্যক্তি। তিনি ৫টি এনজিও পরিচালনা করায় তাঁর অনেক অনুসারী হয়ে পড়েছে।

তিনি একজন ভাল বক্তা, ওয়াজ-নসিহতের মাধ্যমে তিনি বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য প্রদান করে লোকজনকে প্রভাবিত করেছেন। ১৯৭১ সালে বাচ্চু রাজাকার ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজের ছাত্র ছিলেন। পাকিস্তানপন্থী ইসলামী ছাত্রসংঘের সভাপতি আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন এবং ফরিদপুর ইসলামী ছাত্রসংঘের সক্রিয় সদস্য হিসেবে ১৯৭০ সালে সাধারণ নির্বাচন ও প্রাদেশিক নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী মুসলিম লীগ প্রার্থীর পক্ষে সক্রিয় কাজ করেন। সে কারণে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজাকার বাহিনী গঠন হওয়ার পূর্ব হতে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর অপকর্মের সহযোগী হিসেবে বিভিন্ন রকম অপরাধমূলক কর্মকা-ে জড়িত ছিলেন। ১৯৭১ সালের মে মাসের প্রথমার্ধে ফরিদপুর জেলায় আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চুসহ অন্যদের নিয়ে রাজাকার বাহিনী গঠিত হয়।

পরে ফরিদপুরের আলবদর বাহিনী কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আবুল কালাম আজাদ মাদ্রাসায় লেখাপড়ার কারণে ভাল উর্দু বলতে পারতেন। এটাকে পুঁজি করে অন্যায়ভাবে লাভবান ও অসৎ কামনা চরিতার্থ করার লক্ষ্যে তিনি ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ স্বাধীনতাযুদ্ধের প্রারম্ভকাল হতে পাকিস্তানী সেনা অফিসারদের মন জয় করার জন্য সচেষ্ট হন। ১৯৭০-১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামী এবং পূর্ব পাকিস্তান ইসলামী ছাত্রসংঘের ফরিদপুর জেলা পর্যায়ের কমিটির সদস্য আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও আবুল কালাম আজাদ ফরিদপুর স্টেডিয়ামে অবস্থানরত পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতেন। বাচ্চু রাজাকার পাক বাহিনীর কাছে ফরিদপুর পুলিশলাইনে অস্ত্র ট্রেনিং গ্রহণ করে পাকিস্তানী হানাদারদের কাছ থেকে অস্ত্রপ্রাপ্ত হন।

তাঁর ইঙ্গিতে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী স্টেডিয়ামের ভেতরে নিরীহ মানুষকে হত্যা করে স্টেডিয়ামের ভেতরেই মাটিচাপা দিয়েছে। বহু লাশ নদীতে ও ফরিদপুর শহরে ময়লারগাড়ি নামক স্থানে ফেলে দেয়। বাচ্চু রাজাকারের নেতৃত্বে রাজাকার বাহিনী গঠিত হয়। তাঁর দলে ১২-১৩টি রাইফেল ছিল। এই রাইফেল পেয়ে বাচ্চুর অত্যাচারের মাত্রা চরম আকার ধারণ করেছিল।

হাসামদিয়া গ্রামে প্রবেশ করে হিন্দুপাড়ার মাল লুটপাট করেন ও ৪০-৫০টি ঘরে আগুন ধরিয়ে দেন। ফরিদপুর শহরে যে কটি বধ্যভূমিতে শত শত মানুষ শায়িত আছেন, তাঁদের হত্যার নির্দেশদাতা এবং নিজেও সরাসরি হত্যাকারী আবুল কালাম আজাদ। তিনি নিজে গুলি করে অসংখ্য মানুষ হত্যা করেছেন। বাচ্চু রাজাকারের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন বিভাগ যে সমস্ত অভিযোগ এনেছে তার মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন, ১৯৭৩র ধারা ৩(২) (এ) (সি-আই) (জি) (এইচ) তৎসহ ৪(১) হত্যাজনিত গণহত্যার অপরাধ সংঘটিত করা। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত পলাতক আসামি বাচ্চু রাজাকার হিসেবে পরিচিত আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে ফরিদপুর শহর, বোয়ালমারী, নগরকান্দা থানার বিভিন্ন এলাকায় মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।

তঁাঁর নেতৃত্বে ফরিদপুর জেলায় হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, অপহরণ ও দেশান্তরী, যুবতীদের ধরে পাকিস্তানী সেনাদের কাছে সোপর্দ কারার মতো ঘটনা ঘটেছে। জগদ্বন্ধু আশ্রমে হামলা, লুটপাট করার পর ৮ পূজারীকে হত্যা করা হয়। এছাড়া শহরের চকবাজারস্থ বদ্রিনারায়ণের বাড়ির রামকৃষ্ণ আগরওয়ালার বাড়িসহ কয়েকটি বাড়িতে লুটপাট করে ও তাঁদের দেশান্তরিত করা হয়। বাচ্চু রাজাকারের নেতৃত্বে কলারন গ্রামে তৎকালীন জমিদার শুধাংশু মোহন রায়কে অপহরণ ও হত্যা করা হয় । পরবর্তীতে তাঁর ছেলে মণিময় রায়কে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে জখম করা হয়।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউটরদের অভিযোগপত্র উপস্থাপনে এ সমস্ত তথ্য পাওয়া গেছে। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকার ১৯৭১ সালে রাজেন্দ্র কলেজের ছাত্র ছিলেন। পাকিস্তানপন্থী ইসলামী ছাত্রসংঘের পূর্ব পাকিস্তানের তৎকালীন ছাত্রসংঘের সভাপতি আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন। ফরিদপুর ছাত্রসংঘের সক্রিয় সদস্য হিসেবে ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন ও প্রাদেশিক নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী/মুসলিম লীগ প্রার্থীর পক্ষে সক্রিয় কাজ করেন। ১৯৭১ সালের ২১ এপ্রিল আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকার স্বাধীনতাবিরোধী অন্যান্য চক্রের সঙ্গে একত্রিত হয়ে পাকিস্তানী সেনাদের অভ্যর্থনা করে ফরিদপুর শহরে নিয়ে আসেন।

খানসেনাদের অত্যাচারও বাচ্চুর কাছে হার মানে। এমন কোন জঘন্য কাজ ছিল না যা তাঁর দলের লোক দ্বারা সম্ভব হয়নি। বাচ্চুর দল বিভিন্ন হিন্দু বসতিপূর্ণ গ্রামের মাল লুট করে। সে কাহিনী বড়ই মর্মান্তিক। খানসেনাদের সহযোগীদের মধ্যে আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকার ছিলেন অন্যতম।

ফরিদপুর শহর, বোয়ালমারী থানা, সালথা থানা, নগরকান্দা থানার বিভিন্ন এলাকায় মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয় খাড়াদিয়ার আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারের নেতৃত্বে। বাচ্চুর দল বিভিন্ন হিন্দু বসতিপূর্ণ গ্রামের মাল লুট করে। সে অত্যাচারের কাহিনী বড়ই মর্মান্তিক। বড়খাড়াদিয়ার নিকটবর্তী হিন্দু গ্রাম যেমন ফুলবাড়িয়া, জগনন্দী, উজিরপুর, শ্রীনগর, হাশেমদিয়া ও ময়েনদিয়া প্রভৃতি গ্রামে হিন্দুদের ঘরবাড়ি নিশ্চিহ্ন করে ফেলা হয়। বাচ্চু রাজাকার এ সমস্ত হিন্দুর মাল লুট করে তাঁদের সর্বস্বান্ত করেছিলেন।

বেশকিছু হিন্দু বাসিন্দাকে বাচ্চু রাজাকার গুলি করে হত্যা করেন। হিন্দু মেয়েদের ধরে এনে তাঁদের ওপর তাঁরা পাশবিক অত্যাচার চালিয়েছেন। বহু সোনা ও টাকা ফরিদপুর মিলিটারি মেজরের কাছে জমা দিয়েছিলেন বাচ্চু রাজাকার।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।