আর কত দিন এই বিতর্ক যে স্বাধীনতার ঘোষক কে? আমরা আর সইতে পারছি না। এই বিতর্ক শুনতে শুনতে কান ঝালা পালা হয়ে গেল। এই বিতর্ক কি প্রজন্মের পর প্রজন্ম চলতে থাকবে? এর কি কোন শেষ হবে না? নাকি এরই নাম রাজনীতি। এই একটি বাক্যের উপর ভর করেই কি আমাদের দেশ চলবে? আমাদের দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের কি এটাই পুজি? হয়তোবা রাজনীতিতে আসবেন জিয়া পুত্র তারেক রহমান ও হাসিনা পুত্র জয়। তারাও কি এটাকে পুজি করে রাজনীতি করবেন? এ সকল প্রশ্নের কোন উত্তর আমি খুজে পাই না।
কে স্বাধীনতার ঘোষক ছিলেন এটা বড় কথা নয়। আমরা একটা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি এতাই বড় কথা। এ স্বাধীনতা অর্জনের পেছনে বেশী অবদান আছে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রাহমান ও মেজর জিয়াউর রাহমানের এ কথা সবাই জানে। আরও অবদান আছে লাখ শহীদের রক্ত। এতো রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন বাংলাদেশ এটাই এখন মুল বিষয়।
বাংলার জনসাধারন যে ইতিহাস জানে সেটা হলো মেজর জিয়া বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধিনতার ঘোষনা দিয়েছিলেন।
বর্তমান বিশ্বে যখন অর্থনৈতিক মন্দা নিয়ে তোলপাড়, যখন তারা তাদের সমস্ত মনজোগ দিচ্ছে কিভাবে তারা তাদের অর্থনীতিকে আবার পুনরুদ্ধার করবে তখন আমরা আমাদের সংসদে বিতর্কে ব্যস্ত কে স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়েছিল!
তাহলে আমাদের দেশ কিভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে? যখন মালয়েসিয়া, সিঙ্গাপুর, দুবাই, সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশের শ্রমিক প্রতিদিন ফিরে আসছে, তখন আমরা ব্যস্ত আমাদের দেশ চলার কেন্দ্র বিন্দু সংসদে বিতর্কে কে স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়েছিল?
আমি মনে করি কে স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়েছিল তা নিয়ে বিতর্ক না করে আমরা আমাদের দেশকে কিভাবে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি সেইদিকে মনজোগ দেয়া। এখেত্ত্রে এক দল আর এক দলকে কিছুটা ছাড় দেয়ার মন মানুসিকতা থাকতে হবে।
আমরা চাই একটি সম্ম্রিদ্ধ বাংলাদেশ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।