আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মওদুদ - একজন ধূর্ত মানুষের প্রোফাইল - (পর্ব ৫ -আবার ক্ষনিক যাত্রা ভংগ এবং পুনযাত্রা)

যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি

১৯৮২ সালে এরশাদ সামরিক শাসন জারি করে অন্যান্য নেতাদের সাথে মওদুদকেও গ্রেফতার করেন এবং জিয়ার আমলে যে অভিযোগে মন্ত্রীত্ব হারিয়েছিলেন তারই ভিত্তিতে সামরিক আদালতের রায়ে তার তার পাঁচ বছরের জেল হয়। যখন মওদুদ জেলে যাচ্ছেন - ঠিক একই সময় দেখা যায় মওদুদ সাহেবের সহধর্মিনী জেঃ এরশাদের লন্ডন সফরে সফরসংগী হচ্ছেন। সেই সফর থেকে ফিরেই এরশাদ মওদুদকে ক্ষমা করে দেন এবং দেশবাসী অবাক হয়ে দেখলো উনি জেনারেল এরশাদের মন্ত্রী সভার সদস্য হিসাবে শপথ নিলেন। তারপর তার যাত্রা শুরু হয় ক্ষমতার শীর্ষে একজন নীতিনির্ধারক হিসাবে। এরশাদের সামরিক সরকারের তার বিচরনের সংক্ষিপ্ত চিত্র হলোঃ- • ১৯৮৬ সালের মিডিয়া ক্যুর নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হন।

• ১৯৮৮ সালে একদলীয় নির্বাচনে আবারো এমপি নির্বাচিত হন। • ১৯৮৫ -১৯৮৮ - সামরিক সরকারের যোগাযোগ মন্ত্রী। • ১৯৮৬ - ১৯৮৮ - সামরিক সরকারের উপপ্রধান মন্ত্রী। • ১৯৮৮ - ১৯৮৯ - এরশাদ সরকারের প্রধানমন্ত্রী। • ১৯৮৯ - ১৯৯০ - এরশাদের ভাইস প্রেসিডেন্ট।

১৯৯০ সালে যখন এরশাদের শাসন বিরোধী আন্দোলন যখন তুংগে তখনকার একটা দৃশ্যটা অনেকে ভুলবেন না নিশ্চয় - মওদুদ সাহেব এরশাদের শাসনের বৈধতার বিষয়ে সাংবিধানিক ব্যাখ্যা বিষয়ে টিভিতে বক্তব্য রাখছিলেন - হঠাৎ করে এরশাদের পদত্যাগের খবর প্রচারে জন্যে তাকে টিভি পর্দা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আবার ক্ষনিক যাত্রা ভংগ এবং পুনযাত্রাঃ- বিচারপতি শাহাবুদ্দিনের অস্থায়ী সরকারের সময় মওদুদ আবারো নিজেকে আবিষ্কার করেন জেলের ভিতর। জেল থেকে ১৯৯১ এর নির্বাচনে অংশ গ্রহন করলেও নিজগ্রামের বাড়ীর আসনে পরাজিত হন। কিন্তু এরশাদের বিজয়ী ৫টি রংপুরে একটি আসনের উপনির্বাচনে বিজয়ী হন। শুরু হয় উনার নতুন যাত্রা।

সংসদে বিরোধী দলের আসনে বসলেও আওয়ামীলীগের বিরোধীতা করে বিএনপির সাথে আবার সখ্যতা গড়ে তোলেন। ১৯৯৬ সালে বিএনপিতে যোগ দিয়ে নির্বাচন করলেও নিজের আসনে আবারো পরাজিত হন। বিএনপির ভিতরে মেধাবী রাজনীতিকের অভাবের মওদুদ দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক স্থায়ী কমিটিতে আসন পেয়ে যান। ২০০১ সালে নির্বাচনে জামাতের সাথে জোট গঠনের ক্ষেত্রে মওদুদের ভূমিকা ছিল সবচেয়ে বেশী এবং সেই নির্বাচনে বিপুল সাফল্য তাকে স্টার হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করে এবং নিজে আইন ও বিচার মন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। ২০০৬ সাল পর্যন্ত উনি সেই পদে থেকে নিজের নামের প্রতি যথেষ্ঠ সুবিচার করেন।

শুরু হয় শেখ হাসিনার নিরাপত্তা বিষয়ক আইন বাতিল করা এবং শেষ করেন বিচার বিভাগকে বিতর্কের শেষ সীমানায় ঠেলে দেওয়ার মাধ্যমে। (পরের পর্বে..)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।