আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মওদুদ - একজন ধূর্ত মানুষের প্রোফাইল - (পর্ব ৩ -উত্থানের পালে লাগলো হাওয়া)

যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর জিয়াউর রহমানের সামরিক শাসনামলেই উনি প্রকৃতপক্ষে নিজের মতো পরিবেশ পান । জেনারেল জিয়া উপদেষ্টা হিসাবে নিয়োগ দানের মাধ্যমে চতুর মওদুদকে বাংলাদেশের ক্ষমতার রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে যান। পরে ১৯৭৯ সালে সীমিত গনতান্ত্রিক পরিবেশে বিএনপির নমিনেশনে প্রথমবারের মতো এমপি হিসাবে সংসদে আসেন। জেনারেল জিয়া তাকে জ্বালানী এবং বিদ্যুত মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব দিয়ে উপ-প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ দেন। কিন্তু জিয়াউর রহমান তার জীবনের শেষ ভাগে দূর্নীতির বিরুদ্ধে একটু সক্রিয় হবার চেষ্টা করেন।

এই প্রক্রিয়ায় ধরা পরেন মওদুদ আহমেদ - দূর্নীতির অভিযোগে তাকে মন্ত্রীসভা থেকে বহিষ্কার করেন জিয়া। কিন্তু মওদুদ সাহেব ততদিনে একজন বিরাট ব্যক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে গেছেন। জেনারেল জিয়া সামরিক বাহিনীর একটা আপাত অসফল ক্যুতে মারা যান। আসলে সেই যে একটা সফল ক্যু’ই ছিল - সেটা বুঝার জন্যে আমাদের আরো কিছু দিন অপেক্ষা করতে হয়েছে। জিয়ার উত্তরসূরী হিসাবে বিচারপতি সাত্তারকে একটা পুতুল হিসাবে ক্ষমতায় বসিয়ে জেনারেল এরশাদ ক্ষমতার পথ পরিষ্কার করা হয়।

কথিত আছে যে - তখন সাত্তারের মন্ত্রীপরিষদের মিটিং (শাহ আজিজ প্রধানমন্ত্রী) শেষ হওয়ার পর পরই একটা গাড়ী দ্রুত ক্যান্টনম্যান্টের দিকে যেতে দেখা যেত - যাতে বসা থাকতেন মওদুদ আহমেদ। (লক্ষ্য রাখুন- পরের পর্বে)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।