পোশাক শিল্পের স্বার্থে আর হরতাল না দেয়ার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার দুপুরে বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও বিটিএমএর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান ব্যবসায়ী নেতারা।
বিজিএমইএর কার্যালয়ে ওই সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি আতিকুল ইসলাম বলেন, “যত শিগগির সম্ভব আলোচনার মাধ্যমে সহিংসতার রাজনীতি পরিহার করে আমাদের পরিত্রাণ দিন। আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। আমরা আর পারছি না।
”
হরতালের কারণে এক দিনে পোশাক শিল্পে ২০০ কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে বলে দাবি করেন বিজিএমইএ সভাপতি।
বিকেএমইএর সভাপতি সেলিম ওসমান, বিটিএমএ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলামীন, বিজিএমইএর সহ-সভাপতি এস এ মান্নান কচি ও বিকেএমইএর সহ-সভাপতি মো. হাতেমও সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, “হরতাল এখন পোশাক শিল্পের জন্য দানব হয়ে দেখা দিয়েছে। হরতালের কারণে অর্ডার বাতিল হচ্ছে। একইসঙ্গে নতুন অর্ডার পাওয়াও কঠিন হয়ে পড়েছে।
“এছাড়া সময়মতো শিপমেন্ট করতে না পারার কারণে বিমানে পণ্য পাঠাতে অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে। এতে লোকসানে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে ক্রেতারা ডিসকাউন্ট করে মূল্য কমিয়ে দিচ্ছেন। ”
সংবাদ সম্মেলনে হরতালের ক্ষতি তুলে ধরতে বিজিএমইএর সদস্য ৩২টি কারখানার একটি হিসাব তুলে ধরা হয়।
এতে বলা হয়, সাম্প্রতিক হরতালের ৩২টি কারখানার ২৫ দশমিক ৬৫ লাখ ডলারের অর্ডার বাতিল হয়েছে।
১১ দশমিক ৩২ লাখ ডলারের ডিসকাউন্ট হয়েছে।
এছাড়া সময়মতো পণ্য জাহাজীকরণ করতে না পারায় ৩০ দশমিক ৪৭ লাখ ডলারের পণ্য বিমানে পাঠাতে হয়েছে এবং ৯২ দশমিক ৮১ লাখ ডলারের শিপমেন্ট দেরি হয়েছে।
আতিকুল ইসলাম বলেন, “বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা চলতে থাকলে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতিতে চলে যাবে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। ”
ব্যবসায়ীরা কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে বা বিপক্ষে নয় উল্লেখ করে সেলিম ওসমান বলেন, “আমরা দেশের কল্যাণ চাই। কিন্তু সম্প্রতি রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মকাণ্ডে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তাতে ব্যবসা টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়।
”
“এজন্য আমরা অনুরোধ করছি অর্থনীতি ও শিল্পের স্বার্থে হরতাল পরিহার করে সংসদে গিয়ে আলোচনা করার জন্য,” বলেন বিকেএমইএ সভাপতি।
বিটিএমএ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলামীন বলেন, “অর্থনীতি ও রাজনীতি সমান্তরালভাবে চললেই দেশের উন্নয়ন হবে। একটি বাদ দিয়ে অন্যটি চলতে পারে না। আমরা আশা করি, রাজনীতিবিদরা বিষয়টি বুঝবেন। ”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।