আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দেশে প্রকৃত দরিদ্রের সংখ্যা সাড়ে দশ কোটি দরিদ্রদের জন্য সরকারের কোনো অনুভূতি তো নেই-ই বরং সরকারই দরিদ্রদের মহাশোষণ করে চলছে।

অহন থিক্কা সব শয়তানরে দৌরের উপর রাখুম। সব প্রশংসা খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ ও সালাম মুবারক। দেশে প্রকৃত দরিদ্র মানুষের সংখ্যা সাড়ে ১০ কোটি। শুধু ক্যালরি গ্রহণের পরিমাপ দিয়ে দাতাদের মতো দারিদ্র্য পরিমাপ করা যায় না।

যে শিশুটি স্কুলে না গিয়ে ধানক্ষেতের আল দিয়ে বাবার জন্য খাবার নিয়ে যাচ্ছে সে অবশ্যই দরিদ্রের মধ্যে পড়বে; গ্রামের যে নারীর কাছে স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছাচ্ছে না সেও অবশ্যই দরিদ্রের মধ্যে পড়বে। দরিদ্র ভূমিহীন-প্রান্তিক কৃষকের মোট সংখ্যা আসলে কমছে না, তা বাড়ছে। ১৫ কোটি মানুষের বাংলাদেশে গ্রামীণ ১১ কোটি ৪০ লাখ জনসংখ্যার (দেশের মোট জনসংখ্যার ৭৬ শতাংশ) মধ্যে ৮ কোটি ৯ লাখ মানুষই দরিদ্র ভূমিহীন-প্রান্তিক, যা মোট জনসংখ্যার ৫৪ শতাংশ এবং মোট গ্রামীণ জনসংখ্যার ৭১ শতাংশ। আর শহুরে জনসংখ্যা মিলে দেশে বর্তমানে ৮১ শতাংশ লোক রয়েছে দারিদ্র্যসীমার নিচে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ বিশ্বের ১১তম দরিদ্র রাষ্ট্র।

দেশে বর্তমানে ৮০ লাখ বেকার ও ছদ্ম বেকার যুবক রয়েছে। প্রতি বছর শ্রমবাজারে যোগ হচ্ছে ৭২ লাখ নতুন মুখ। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ীই, দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক কর্মকা-ের সঙ্গে সম্পৃক্ততা নেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, মৌলিক চাহিদা পূরণের মতো আয়ের পথ না থাকায় বাড়ছে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা। বিশেষত প্রান্তিক কৃষকদের অবস্থা অত্যন্ত মর্মান্তিক।

ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলার বদরপুর গ্রামের কৃষক আমির হোসেন। পৈতৃক সূত্রে পাওয়া কয়েক বিঘা জমি চাষ করেই তার সংসার চলে। পণ্য বলতে দুই মওসুমে দু’বারই ধানই উৎপন্ন হয় ওই জমিতে। উৎপাদিত ধানের অর্ধেকে পরিবারের খাওয়ার বন্দোবস্ত হয়। বাকি অর্ধেক ধান বিক্রি করে সে টাকায় চলে সারা বছরের অন্যসব খরচ।

কিন্তু এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। সার-বীজ-সেচের উচ্চমূল্যের কারণে গত আউস মওসুমে যে ধান হয়েছে তাতে উৎপাদন খরচই ওঠেনি। একই অবস্থা নীলফামারী ডিমলা উপজেলার বাইশপুকুর চর গ্রামের দিনমজুর আবদুল আলীমেরও। কাজের সন্ধানে এক প্রতিবেশীর সঙ্গী হয়ে পাড়ি দেন রাজধানী ঢাকায়। কাকরাইলের দিনমজুরের হাটে উপস্থিত হচ্ছেন প্রতিদিন ভোরে।

দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে যায় কিন্তু আবদুল আলীমের শ্রম কিনে নিতে কেউ আসে না। নির্মাণ শিল্পে মন্দাভাবের কারণে মড়ক লেগেছে রাজধানীর শ্রমবাজারেও। কেবল কৃষক আমির হোসেন আর দিনমজুর আবদুল আলীমের পরিবারে নয়, অভাব-অনটন চলছে দেশের কোটি কোটি নিম্নবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারে। গ্রামাঞ্চলের বেশির ভাগ মানুষ বেঁচে আছেন আধপেট-সিকিপেট খেয়ে। কারণ যেসব পণ্য উৎপাদন করছেন তারা সেগুলোর উপযুক্ত মূল্য পাচ্ছেন না।

অথচ চালসহ দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় সব পণ্যের দামই আকাশছোঁয়া। শিক্ষা উপকরণের মূল্যবৃদ্ধির ফলে সন্তানের লেখাপড়ার ব্যয় বেড়েই চলেছে। চিকিৎসা খরচ লাগামহীন ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি বেড়েছে এক লাফে কয়েক গুণ। পরিবহন খরচ, কাপড়-চোপড়ের দাম সবই বাড়ছে হু হু করে। বাড়ছে না শুধু গ্রামীণ মানুষের জীবনযাত্রার মান।

কর্মহীন কষ্টক্লিষ্ট গ্রামীণ জনপদের এসব সাধারণ মানুষের দিকে এখনই নজর দেয়া না হলে দেশের সার্বিক অর্থনীতি হুমকির মুখে পড়বে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকের অবস্থা আজ সত্যিই নাজুক। এ বছর কোন ফসলেরই ভালো দাম পাননি তারা। সার, কীটনাশক, কৃষি উপকরণসহ যেকোন জিনিস কিনতে গেলে দাম বেশি। তবে উৎপাদিত পণ্য বেচতে গেলে দাম কম।

পণ্যের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় তারা হতাশ। এ বছর ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার বেদনার শুরুটা হয় তাদের বোরো ধান দিয়ে। তারপর একে একে পাট, ভুট্টা, আলু, সবজি, গমসহ সব ফসলেরই দাম কম। কোনটার উৎপাদন খরচই ওঠেনি কৃষকের। মওসুম শেষে আলুতে কিছুটা লাভের দেখা মিললেও তা-ও গেছে হিমাগার মালিক ও ফড়িয়াদের পকেটে।

গত বোরো মওসুমে ধানের উৎপাদন খরচ আগের বছরের তুলনায় ১৮ শতাংশ বেড়েছে। উৎপাদিত ধান বিক্রি করতে গিয়ে কৃষকের মণপ্রতি লোকসান হয়েছে ১৫০ টাকা। পালের গরু বিক্রি করে অথবা আবাদি জমি বন্ধক রেখে লোকসানের দায় পরিশোধ করেছেন অনেক কৃষক। লাভের আশায় বেশি দাম দিয়ে জ্বালানি তেল, সার, কীটনাশক কিনে বোরো চাষ করেছিলেন কৃষকেরা। প্রতি মণ বোরোতে ৬০০-৬৫০ টাকা খরচ পড়েছে তাদের।

তবে এসব ধান স্থানীয় হাটে বিক্রি হয়েছে মাত্র ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা মণ দরে। আগের বছর এক মণ গম ৯০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এবার গমের দাম ৭০০ টাকার বেশি ওঠেনি। বিশ্বব্যাংকের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় বলা হয়েছে, এমডিজির অন্যতম লক্ষ্য দারিদ্র্যবিমোচন করতে হলে বাংলাদেশকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচিতে বছরে রাষ্ট্রীয় ব্যয়ের ৩৫ শতাংশ অর্থ ব্যয় করতে হবে। বর্তমানে মাত্র ৫ শতাংশ অর্থ ব্যয় করা হয়।

কিন্তু বস্তুগত ক্ষেত্রে সরকার অনেক অপ্রাসঙ্গিক, অপ্রয়োজনীয় অর্থ শুধু বরাদ্দই করেনা বরং সেসবের নামে মহা লুটপাট করে। অভিযোগ উঠেছে, বড় কমিশন খাওয়ার লোভেই সরকার রাশিয়া থেকে ৮ হাজার কোটি টাকার অকেজো সমরাস্ত্র কিনছে। অপরদিকে কৃষিখাতে ভর্তুকি কমিয়েছে। সার, বিদ্যুৎ, জ্বালানির দাম বাড়িয়েছে। এতে করে কৃষকসহ সাধারণ মানুষ সর্বস্বান্ত হচ্ছে।

মূলত সাধারণ মানুষের সরকারের বিন্দুমাত্র দায়িত্ববোধ নেই। সরকার মূলত দেশের দরিদ্র জনসাধারণকে মহা শোষণ করে চলছে। কিন্তু শোষক সরকারের কোন অনুভূতি নেই। মূলত এসব অনুভূতি ও দায়িত্ববোধ আসে পবিত্র ঈমান ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাদের অনুভূতি ও প্রজ্ঞা মুবারক থেকে। আর তার জন্য চাই নেক ছোহবত মুবারক তথা ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ মুবারক।

যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ সে মহান ও অমূল্য নিয়ামত হাছিল সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের তা নছীব করুন। (আমীন) ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.