আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হাতের পাঁচ আঙুল সমান হয় না

সুন্দরী বালিকাদের যত্ন করে কামড়াই

মানুষের দৃষ্টির আয়ু সবসময় মানুষের আয়ুর সমান না-ও হতে পারে। জন্মান্ধ মানুষ বাস করে আমাদের মাঝে, কারো চোখে সলতে ফুরিয়ে আসে, কারো দেরিতে চোখ ফোটে। চোখ নিয়েও অনেকে সব রশ্মির মহত্ত্ব বোঝে না। স্বাভাবিক, হাতের পাঁচ আঙুল তো আর সমান হয় না। হাতের পাঁচ আঙুল সমান হয় না, এই বিশ্রী সত্যটাও আমি দেরিতে চোখে দেখি।

পাঁচ আঙুল সমান হলে নানা অসুবিধা হতো নিশ্চয়ই, বিশেষ করে যারা আপন শরীরের বিভিন্ন রন্ধ্রে আঙুল প্রবিষ্ট করিয়ে নেড়েচেড়ে আনন্দ খোঁজেন, তারা ঝামেলায় পড়তেন। আমি দেরিতে চোখ ফোটাদের দলে। ক্রমাগত ঠেকে ঠেকে আমার চোখ ফুটছে তো ফুটছেই, পারিজাতের পাঁপড়ির মতো, কেটলিতে চায়ের পানির মতো, একেবারে টগবগ করে প্রস্ফূটনরত আমার চোখ। কিন্তু গল্পটা আমি শুরু করবো আমার বারান্দা থেকেই। ওখানেই আমি খুব মজবুৎ হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম।

সাধারণত আমি ঘরে স্যান্ডো গেঞ্জি আর শর্টস পড়ি। ওগুলোই পরে বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকি। আকাশ দেখি, বৃষ্টি দেখি, চালতা গাছে শালিক, বুলবুলি আর লেজঝোলা দেখি, দেখি পর্যটক বানরের জবাকুসুমসঙ্কাশ হোগা, আর উল্টোদিকের বাড়ির ছাদে সতত সঞ্চরণরত কিশোরীদের। কিশোরীরাই বেশিরভাগ সময় আমার পাঁপড়িমেলা দৃষ্টির ফোকাস হয়ে ঘোরে। আকাশ সুন্দর, তবে একঘেয়ে, আমি গাই, নীড় ছোট ক্ষতি নেই আকাশ তো বড়, তারপর আবার কিশোরীদের দিকেই চোখ তাগ করি তুর্কি তোপের মতো গদাইলস্করি চালে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.