আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

“পুলিশ কথন” নায়কের আরেক রুপ যখন দানব তখন “বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাধবে কে”?

দেশের পতাকা কে স্যালুট এবং দেশের সংবিধান,আইন ,মান মরিয়াদা ও জনগনের জান মালের নিরাপত্তা বিধানের শপথ নিয়ে একজন সাধারন নাগরিক পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেয়। সেও কিন্তু আপনার আমার মতন মানুষই। কিন্তু কিছু দিনের মাথায় দেখা যায় সে একজন দুরনিতিগ্রস্ত, নিষ্ঠুর এবং নির্বোধ পুলিশ অফিসার এ পরিনত হয়। কিন্তু সে তো এই সপ্ন নিয়ে আসেনি এই পেসায় ! সে এসেছিল নায়ক হতে কিন্তু হয়ে গেল দানব। প্রতি পাচ বছরের সরকার পরিবর্তন রাষ্ট্র ও সমাজ এর প্রতিটি স্তরে যেই পরিবর্তন আনে সেটিরই একটি চিত্র আমরা দেখতে পাই বাংলাদেশ পুলিশে।

সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে থানার ওসির রুমের ছবিগুলির সাথে সাথে পুলিশের ভিতরকার যেই অন্তরাত্মার গোলামির পরিবর্তন হয় সেটি আসলে নতুন কিছু নয়। আসলে বাংলাদেশ পুলিশ নখ ও দন্তহীন নয়। রাজনীতিবিদদের কুচিন্তা এবং স্বার্থসিদ্ধির কারনে পুলিশকে যুগে যুগে করা নখ দন্তহীন। আজকের যেই পুলিশ বাহিনী আছে সেটি আসলে জন নিরাপত্তা কম বরং রাজনীতিবিদদের লাথিয়াল বাহিনীতে বেশী পরিনত হয়েছে। কিন্তু এমনতো হবার কথা ছিল না।

আমি বিশ্বাস করি যে অন্তত এই মানুষগুলির মনে দেশের প্রতি প্রেম আছে এবং সেটি আপনার আমার এবং রাজনীতিবিদদের থেকে বেশী। দেখুন আসলে পুলিশ এর ভাল কাজগুলি আমরা জানতে পারিনা এবং সেটি কিছুটা ঢাকা পড়ে এই কাজগুলিকে তাদের দায়িত্ব হিসেবে ব্যাখ্যা দেয়ার মাধ্যমে। আর আমাদের সামনে আসে খারাপগুলি এবং স্বাভাবিকভাবেই তারা সমালোচিত হন। কিন্তু খুব বেশি কি এদের করার আছে কিংবা তারা আসলে কতটুকু স্বাধীন এই কাজের জন্য সেটি কিন্তু একটি প্রশ্ন। থানায় গেলে সাধারন রিপোর্ট, নারী নির্যাতনের রিপোর্ট, খুনের রিপোর্ট থেকে শুরু করে যেকোনো রিপোর্ট গ্রহন করতেই যেখানে পুলিশের রাজনীতিবিদদের হস্তক্ষেপের শিকার হতে হয় সেখানে তদন্ত এবং রিপোর্ট প্রদান করা কিভাবে সম্ভব আমার ভাই ।

নানা রকম ভয়ের মাঝে কাজ করতে হয় পুলিশ বাহিনীকে । সাসপেন্ড হবার ভয় থেকে শুরু করে ট্রান্সফার পর্যন্ত এবং এমনকি পরিবারের নিরাপত্তাও হুমকির সম্মুখীন প্রতি মুহূর্তে। এসব এর মধ্য থেকে কাজ করার জন্যও অন্তত আমাদের পুলিশ বাহিনিকে ধন্যবাদ দেয়া যেতে পারে। শুধু যে রাজনীতিবিদরা তা না ধনী বনিক শ্রেণী ও স্বনামধন্য ব্যাক্তিরাও তাদের অবস্থানের মুনাফা লুটে পুলিশের কাছ থেকে এবং নানা আইনি সুবিধা নিয়ে থাকে। এই অবস্থায় পুলিশের সাথে এই সুবিধাভোগী লোক গুলিকে আলাদা করার উপায় একটিই এবং সেটি হল পুলিশের ভিতরকার পোস্টিং বা ট্রান্সফারটিকে একটি নির্দিষ্ট নিয়মের মাঝে নিয়ে আসা এবং সাথে সাথে তাদের বেতন ভাতা এবং সুবিধাদি বৃদ্ধি করা ।

ট্রান্সফারটির সিস্টেম যদি এমন করা যেত যে একজন পুলিসকে পরিবর্তন করে চাইলেই ইচ্ছেমত যায়গায় দেয়া যাবে না আনাও যাবে না সবাই রোটেটেড হবে একটি সার্কেলে। সুতরাং তখন অন্তত একজন পুলিশ এর রাঙ্গামাটি আর বান্দরবন যাওয়ার ভয় থাকবে না। আর বেতন বা অন্যান্য সুবিধাদি বারালে অন্তত দেখা যাবে যে দুর্নীতির প্রবনতা কমেছে। আমরা কোটি কোটি টাকা দিয়ে সেনাবাহিনীর সর্ব রকম পুনর্বাসন করলাম যারা কিনা দুর্যোগ এবং বিশেষ সময় ছাড়া কোন ব্যাবহার হয় না আর যেই পুলিশ ২৪ ঘণ্টা ৩৬৫ দিন কাজ করে দেশের তরে তাদের জন্য শূন্য থালি। একি নিষ্ঠুর বিমাতাসুলভ আচরন।

যাই হোক আমাদের এই বীর সেনাদের সম্মান জানাই । দেশের তরে তাদের অবদান অনস্বীকার্য। তবে আরও আসাধারন হতে পারত যদি দেশের ওই কিছু পাওয়ারফুল মানুষের আচরন আরও সুন্দর হত। ভাল এবং সুন্দর আগামীর আশা রাখছি এবং নায়কদের নায়করুপে দেখার আশাবাদ ব্যাক্ত করে শেষ করছি। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.